somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবীর সেরা কিছু বিস্ময়কর হোটেল (পর্ব-১)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হোটেল বলতে আমরা সাধারন একটা বিল্ডিং এর ভিতরে কিছু ছোট ছোট বদ্ধ আর বোরিং রুমই বুঝি। কিন্তু পৃথিবী প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। আর সেই পরিবর্তনের ছোয়া লাগছে এই হোটেল সেক্টরেও। অসাধারন সব আইডিয়া আর বিস্ময়কর সব কাজ। এই ধরনের কিছু হোটেল নিয়েই আজকের এই আয়োজন।

১) Äscher Cliff, Switzerland


সুইজারল্যান্ড এ অবস্থিত এই হোটেলটা সমুদ্র পৃস্ঠ থেকে ১৬০০ মি উপরে। তার মানে এটার প্রায় ১.৫ কিলোমিটার উপরে। এখানে যাওয়ার জন্য আপনি কোন গাড়িতে চরতে পারবেন না। কারন এখনে গাড়ি চলার মত রাস্তা নেই। যাওয়ার জন্য বেশ কিছু ধাপ আপনাকে অতিক্রম করতে হবে। প্রথমে হাইকিং করতে হবে। হাইকিং এর জন্য কর্তৃপক্ষ ভালো ব্যাবস্থা করে রেখেছে।


আর দ্বিতিয় হচ্ছে কেবল কারে করে যেতে পারেন। কেবল কারের সিস্টেমটাতে আপনাকে বারতি পয়সা গুনতে হবে সাথে সাথে আপনি পাহারি চমৎকার জঙ্গলের পরিবেশ মিস করবেন। তাই এই হোটেল এর বেশিরভাগ গেস্টই হাইকিং মানে পায়ে হেটে আসেন।


হোটেলের ভিতরে শুধু মাত্র হাইকারদের জন্য অল্পকিছু ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এই হোটেলটার আসল সৌন্দর্য হচ্ছে এর সামনের বারান্দার অংশটুকু। সামনেই বিশাল গিরিখাত। তার সামনে জঙ্গলঘেরা পর্বত। হরেক রকমের পাখি আর বন্যপ্রানির বাসস্থান। অসাধারন এক পরিবেশ আপনাকে অসাধারন একটা ফিলিংস দেবে।

২) Hotel Kakslauttanen, Finland


এটি ফিনল্যান্ড এ অবস্থিত। মেরু অঞ্চলের খুব কাছাকাছি হওয়াতে সারাবছরই বরফে ঢাকা থাকে এই এরাকাটি। ফলে এস্কিমোদের বাসস্থান ইগুলুর আদেলে তৈরি করাহয়েছে এই পুরো হোটেলটি।


এখানে অনেক ধরনের থাকার ঘর পাওয়া যাবে। এর মধ্যে কাঠের কেবিন গুলো অন্যতম। সম্পুর্ন কাঠের তৈরি বাড়িগুলো দেখতে খুব পুরোমনে হলেও এগুলোতে ব্যাবহার করা হয়েছে পৃথিবীসেরা প্রযুক্তি।এই ঘরগুলোর মজার বিষয় হচ্ছে কাঠের গুরিগুলোকে কোন কাটাকাটি করা হয় নি। মানে একবোরে আসল কাঠের গুরিদিয়ে প্রত্যেকটি ফার্নিচার তৈরি করা হয়েছে।
আর একটি অসাধারন জিনিষ হচ্ছে গ্লাস ইগলু।


পুরোছাদটি স্বচ্ছ কাচের তৈরি হওয়াতে বরফের জঙ্গলটি পু্রোপুরি ভাবে আপনি উপভোগ করতে পারবেন। বিশেষ করে রাতের বেলা আকাশের মেরুর অরোরা দেখার দৃশ্য কেউ ভুলতে পারবে বলে মনে হয় না।


এছারাও এখানকার পুরো অঞ্চলটি বরফাবৃত জঙ্গল হওয়াতে আপনি স্লেজিং, হাইকিং সহ চমৎকার সময় কাটাতে পারবেন।

৩) Ladera Resort, St. Lucia


ক্যারিবিয়ান দ্বিপপুঞ্জের সেন্টলুসিয়াতে অবস্থিত। সেন্টলুসিয়া পর্বতে ঘেরা খুব ছোট ছিমছাম পাহারি জঙ্গলে ঘেরা একটি দ্বিপ। মাত্র ৩২ টা সুইট আছে হোটেলটাতে। প্রত্যেকটাতে রয়েছে বেড, নিজস্বড্রইং, ডাইনিং, কিচেন, এবং অসাধারন একটা সুইমিং পুল।


পুরো হোটেলটা নির্মান করা হয়েছে দুইটা পর্বতের মাঝসন্ধিখনে। এমন একটা পজিশনে যেখন থেকে আপনি পুরো সাগরটার একটা বিশাল অংশ দারুন ভাবে উপভোগ করতে পারবেন। বিশেষ করে ঝরের দিনে অথবা শিতের কুয়াসাতে। প্রত্যেকটি মুহুর্ত মেমেরবিল হবে আপনার জন্য।


পাহার গুলো আগ্নেয় পাথর হওয়াতে এই ধরনের একটা রিস্কি পজিশনে এতবর একটা স্ট্রাকচার নির্মান করা সম্ভব হয়েছে। এটি নির্মানের সময় নির্মাতাদের প্রতি কর্তৃপক্ষের শর্তছিল কোন গাছ কাটা যাবে না। অসাধারন এইকাজটি সম্পন্য হয়েছিল কাঠদ্বারা।
কারন সিমেন্টিং করতেগেলেই পচুর পরিবেশ দুষন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।


হোটেলের দুই পাশদিয়েই খারা গিরিখাদ নেমে গেছে। যার ফলে কোন বারান্দায় গিয়ে দারালেই আপনার মধ্যে আলাদা ভয় মিশ্রিত একটা ভাললাগার সৃস্টি হবে। তাছারা রয়েছে সমুদ্রের ফ্রেস বাতাস আর দৃস্টিনন্দন প্রকৃতি।
৪) The Manta Resort, Zanzibar


কল্পনাতে মাঝে মধ্যে যে জিনিষ গুলা আসে এরা সেই জিনিষগুলাই করে রাখছে। হোটেলটা করা হয়েছে মাঝ সমুদ্রে। দ্বিতল বিশিষ্ট হোটেল রুমগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে নিচের তালাটি পানির নিচে অবস্থিত।


একেবারে লাইভ একুরিয়াম এর মতন। ডিফারেন্ট হচ্ছে এখনে মাছের বদলে মানুষ বাক্সের মধ্যে থাকবে। এখানে আপনার বেডের জানালা গুলাই সেই একুরিয়ামের মাছ দেখার উপায়। প্রশান্ত মহাসাগরিয় ছোট দ্বিপ জাঞ্জিবারে অবস্থান হওয়াতে পানি একদম পরিস্কার। ফলে খুব সহজেই ডুব দিতে পারবেন কাধে অক্সিজেন আর মাস্ক লাগিয়ে।


অথবা চাইলে ঘুরে আসতে পারেন দ্বিপের পাহারি প্রাকিতিক পরিবেশ। অসাধারন একটা হোটেল। আমার ইচ্ছে করতেছিল এইটারে একনাম্বারে দেয়ার জন্য।
৫) Conrad Maldives, Rangali Island


এইটা খুব কাছেই আছে। আমাদের সার্কভুক্ত দেশ মালদ্বিপের রাঙ্গেলি দ্বিপে অবস্থিত এই হোটেলটি। এখানকার পানি, মাটির শেইপ এবং মাছের প্রজাতি এতটাই বিচিত্রকর যে নির্মাতারা এই পুরো বিষয়টা কেই অন্যভাবে দেখেছেন। তারা পুরো হোটেলটাকেই পানির নিচে নিয়ে এনেছেন


পানির নিচ থেকে এর এক্সেটেরিয়র দেখলে মনে হবে কোন সাইন্সফিকশন মুভির ট্রেইলার দেখা যাচ্ছে। পুরো হোটেলটারে পানির নিচে প্রিফেব্রিকেশন করে বসানো হয়েছে। কাচের ছাদ হওয়ার কারনে চারপাশের মাছ এবং প্রাকিতিক পরিবেশ অসাধারন ভাবে দেখা যায়।
এখানে রয়েছে ডাইনিং, সার্ফিং এর ব্যাবস্থা এবং একটি অত্যাধুনিক হোটেলের সকল সুবিধাদি। রয়েছে অটোমেটিক টেম্পারেচার কন্ট্রোল সুবিধা। রয়েছে অসাধারন সব বেডরুম সু্ইটস এবং সবচেয়ে মজার জিনিষ আন্ডার ওয়াটার এলিভেটর।


অনেকে আবার বিয়েস্বাদিও সেরে নেন এমন অসাধারন একটা স্থানে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
২০টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×