somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চলুন ঘুরে আসি ব্লাক হোলের ভিতরে (পর্ব-২)

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রথম পর্বে ব্লাক হোল কি সেটা জানলাম। বিশাল ব্লাক হোল এর উৎপত্তি সম্পর্কে জানলাম। কিভাবে কাজ করে সেটাও বুঝলাম। এইবার চলেন একটা ব্লাক হোলের মধ্যেদিয়ে আমরা ঘুরে আসি।


প্রথমেই একটা মজার বিষয় জেনেনেই। আমাদের অভিকর্ষ বা গ্রাভিটি সম্পর্কে আমরা যতটুুকুন বুঝি সেটা আমাদের সবার প্রিয় বিজ্ঞানি নিউটন সাহেব দিয়েছিলেন। এটা খুবই সিম্পল একটা থিউরি। আপেল উপরে না গিয়া নিচে কেন গেল। গিয়েছিল কারন পৃথিবী তারে টাইনা নিচে নিয়া আসছে। উনার ঘটনা মোটামুটি এখানে সমাপ্তি।


কিন্তু বিজ্ঞানি নিলস বোর এবং উনার সমসাময়িক বিজ্ঞানি আইনস্টাইন দুইজনে মিল্যা এই জিনিষটাকে জটিলতার চরম পর্যায়ে নিয়া পোছাইছিলেন। এর অবশ্য কারনও আছে। কারন জিনিষটাই আসলে এই রকমরেই জটিল। উনারা বলতেছেন নাহ এই টানাটানিটা আসলে কোয়ান্টাম পর্যায় থেকে শুরু হয়। মানে উনাদের কথা হচ্ছে এই টানাটানি বুঝতে হলে যে কোন বস্তুকে ভাঙতে ভাঙতে তার সবচেয়ে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র কনা মানে অনু অথবা পরমানুতে পৌছতে হবে। সেখানে লুকিয়ে আছে এই টানাটানির প্রধান কারন। ওইখান থেকেই আসলে এই সকল টানাটানির সুত্রপাত।


তাই নিলস বোর প্রথমে দিলেন তার বিখ্যাত quantum theory(কোয়ান্টাম থিওরি) যেটা আমরা মোটেই বুঝি না। উনার পরে বিজ্ঞানি আইনস্টাইন আরো কয়েক ধাপ আগাইয়া দিলেন theory of relativity(থিওরি অফ রিলেটিভিটি) যেটা আমি তো দুরের বিষয় বড় বড় বিজ্ঞানিরাই ভালো করে বুঝেন না। এই দুই শালায় মিল্যা অনু আর পরমানুরে নিয়া এতই টানাটানি করলেন যে আর এক আমেরিকান বিজ্ঞানি J. Robert Oppenheimer মাঝ খানদিয়া একটা আস্ত নিউক্লিয়ার বোমা বানাইয়া বইসা থাকলেন। যেটা দিয়া আমেরিকার সেনাবাহিনি জাপানে লক্ষাধিক মানুষ মাইরা ফালাইলো মুহুর্তের মধ্যে। এই সবেরই শুরু নিলস নিউটন বেটার আপেল টানাটানি থিউরির মধ্যে দিয়া।

এই টানাটানিটাই মুলত গ্রাভিটি। এখন এই প্রশ্ন উঠতে পারে গ্রাভিটির শক্তি কেমন হতে পারে। বলতে পারেন গ্রাভিটি আলো এবং সময় দুইটাকেই একই সাথে বাকিয়ে ফেলতে পারে। কঠিন লাগেতেছে?? ঠিক আছে উদাহরন সহ বুঝিয়ে দিচ্ছি।


আমাদের পৃথিবী থেকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে আমরা যখন আমাদের সুর্য মামার পিছনে অবস্থান করা কোন তারার দিকে তাকাই তখন আমরা সেটির যে অবস্থান দেখি আসলে সেটি আসলে ভুল অবস্থানে দেখি। কারন সুর্যের ওই তারা থেকে উৎপন্ন ফোটন কনা গুলো সুর্যের পাশ দিয়ে আসার সময় সুর্যের গ্রাভিটি বা মহাকর্ষ টানের কারনে কিছুটা বেকে যায় ফলে তিনটা জিনিষ ঘটে।

১) আমাদের চোখে তারাটির আসল অবস্থান থেকে অন্য অবস্থানে দেখায়
২) কনাগুলো বেকে যাওয়ার কারনে কিছুটা সময় বেশি খরচ করে ফেলে সুর্যের কাছে ফলে আমরা সময় ভুল গননা করি।
৩) এর মানে হেচ্ছ গ্রাভিটি শুধু আলোকেই বাকাচ্ছে না সময়কেও বাকিয়ে ফেলছে।


এখন এইটা তো সুর্য নামক একটা সামান্য ছোট তারার গ্রাভিটির শক্তি। কিন্তু যখন এই গ্রাভিটি একটা আস্ত গ্যালাক্সি বা বিশাল একটা ব্লাক হোলের হয় তখন সেটা কত শক্তিশালি হয়?? আর কি করতে পারে।

হ্যা আলো এই বিশাল গ্রাভিটেশনাল শক্তিসম্বলিত বস্তুগুলোর কাছে যাওয়ার পরে শুধু বাকায় না গোলাকার হয়ে চক্কর দিতে থাকে। মানে আলোর মাথা খারাপ হয়ে যায় আরকি। ফলে সময়ও উল্টাপাল্টা হয়ে যায়।


ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটা তারা আমাদের পৃথিবী থেকে দেখা যাচ্ছে গোলাকার রিং এর মতন কিন্তু তারা রিং এর মতন তো হবার কথা নয়। তারাটা ঠিকই আছে। কিন্তু তারা থেকে আসার আলোটা আসার সময় অত্যান্ত শক্তিশালি আবেং আরো বিশাল একটা তারার শক্তিশালি গ্রাভিটি বা মহাকর্ষ টানে সেই তারাটার চার পাশে গোল একটা চক্কির মতন ঘুর্নি দিয়ে আসছে। ফলে আমরা প্রথম তারাটাকে রিং এর মতন দেখছি। এই পুরো জিনিষটাকে বলে gravitational lensing।

ব্লাক হোল হচ্ছে এই gravitational lensing এর রাজা। ব্লাক হোল গুলোকে মনে হবে মহাকাশে একটা ছিদ্র এর মতন। কারন আলো এর কাছে এসে শুধু বাকেই না একেবারে বিকৃত হয়ে ছেরাবেরা অবস্থা হয়ে যায়। এখন মনে করেন যদি পৃথিবী একটা ব্লাক হোলের চারিদেকে ঘুরতে যেত তাহলে কি হত?


পৃথিবীর যদিও কিছুই হত না কিন্তু ব্লাক হোলের প্রচন্ড গ্রাভিটির কারনে পৃথিবী থেকে আগত আলোর এমন ভাবে বাকাতো যে পৃথিবীর চেহারা তখন দেখানো উপরের ছবির মতন।


বাদ দেন এত কঠিন কঠিন প্যাচাল। চলেন একটা খুবই সাধারন ব্লাক হোলের মধ্যে চলে যাই। এমন একটা ব্লাক হোল যেটা কোন তারাকে গিলে খাচ্ছে না, নরাচরা করছে না এবং সে তার জন্য যথেস্ট পরিমানের বস্তু নিজের মধ্যে টেনে ফেলেছে। ফলে এটি আর কিছুই করতেছে না। শুধুই অন্ধকারের মধ্যে একা একা পরে আছে। তার উপস্থিতি বোঝা যাচ্ছে শুধু মত্র যখন কোন আলোর কনিকা তার পাশদিয়ে যাচ্ছে তখনই সেটা একটা চরকির মতন ঘুর্নি দিয়ে যাচ্ছে।


এখন যখনই আমরা এই ব্লাক হোলটার দিকে আস্তে আস্তে যেতে থাকবো আকাশের distortion বা বিকৃতি আস্তে আস্তে বারতে থাকবে। একটা কালো ছিদ্রের মত বিন্দু আস্তে আস্তে বড় হতে থাকবে। আর তার চারপাশের বস্তু এবং আলো গুলো বিকৃত হতে থাকবে।


আমরা ব্লাক হোলের যতটা কাছে যেতে থাকবো একটা সময় দেখা যাবে যে আলো ওই কালো গোলাকার বস্তুটির চার পাশে ঘুরতেছে। এটাকে photon sphere বলে। এই অবস্থায় ব্লাক হোলের গ্রাভিটির আকর্ষন এতটাই বেশি থাকে যে আলোর ফোটন কনিকাগুলো এর চারপাশে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে। যেভাবে চাদ পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে। কিন্তু এই ব্লাক হোলটাতে ওই পরিমান আকর্ষন না থাকায় আলোর কনিকা গুলো অন্যান্য ব্লাকহোলের মতন একেবারে টেনে ভিতরে নিয়ে যায় না। এ জন্যই আমরা আমাদের ভ্রমনের এ ধরনের একটা ব্লাক হোল সিলেক্ট করেছি। বুঝতেই পারতেছেন বেশি না প্যাচাইয়া অল্পতে আপনাদের বুঝানোর চেস্টা করতেছি।


এইবার একটা চরম মজার কথা বলি। আমরা জানি আলো সবসময় সোজা পথে চলে। যার কারনে আমরা আমাদের চোখের ঠিক সোজা সামনে যা আছে তাই দেখতে পাই। পেছনে বা পাশের কোন কিছু দেখতে পাই না। ব্লাক হোলের কাছাকাছি যাওয়ার পরে ঠিক এই ধরনের একটা পয়েন্টে যেখানে আলোর কনিকাগুলো সোজা না চলে একটা বক্রাকার পথে চলে তখন আপনি কি দেখবেন? আপনি যদি সামনে তাকান তাহলে আপনার মাথার পিছনের অংশ দেখতে পারেন। অর্থাৎ পেছনের বস্তুগুলোর উপরে পরা আলোর কনিকাগুলো পুরো ব্লাক হোলের গোলার পথ ঘুরে এসে আপনার চোখের উপরে পরবে। তার মানে চোখের সামনে সোজাসুজি যা আছে সেগুলো কোন ভাবেই দেখতে পারা যাবে না। যখনই সেটা পেছনে চলে যাবে শুধুমাত্র তখনই সেটা দেখা যাবে।


এখন চিন্তা করে দেখেন যেই পরিমান আভিকর্ষের টান আলোর কনিকা বাকাতে পারে সেটা কি সময়কে বাকাতে পারবে না?? অবশ্যই পারবে। আমরা পৃথিবীতে বিষয়টা টের পাইনা। কিন্তু যখনই আপনি একটা ব্লাক হোলের ভিতরে লাফ দেবেন সেটা একটু আলাদা হবে। মনে করেন একটা স্পেস শিপ থেকে আপনি লাইফ জ্যাকেট পরে একটা ব্লাক হোলের ভিতরে লাফ দিলেন। আমরা সেই স্পেস শিপের ভেতর থেকে আপনাকে দেখতে লাগলাম। মজার বিষয় হচ্ছে সাধারনত যেটা ঘটে যে আপনি লাফ দিলেন আর পরতে পরতে অন্ধকার সেই ব্লাক হোলের গর্তের ভিতরে হারিয়ে গেলেনে। এক্ষেত্রে সেটা হবে না। এক্ষেত্রে আমরা দেখতে থাকবো আপনি পরছেন তো পরছেনই, পরছেন তো পরছেনই, কিন্তু সেই পরার গতিটা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। সেই গতিটা আস্তে আস্তে একটা সময় এতটাই কমে যাবে যে স্থির অবস্থায় চলে যাবে। দেখা যাবে আপনি লাফ দেয়ার এক বছর পরেও আমরা আপনাকে দেখছি আপনি নিচে পরছেন তো পরছেনই। কারন আলোর সাথে সাথে ব্লাক হোল সময়কেও বাকিয়ে একেবারে স্লো করে ফেলেছে।


এক সময় আপনি এমন একটা পয়েন্টে পৌছাবেন যেটার নাম হচ্ছে Event horizon। এটা প্রত্যেকটা ব্লাক হোলে থাকে। এটা একটা ব্লাক হোলের এমন একটা সিমানা রেখা যেখান পর্যন্ত একবার গেলে আর ফেরত আসার কোন উপায় নাই। মানে হচ্ছে আপনি ব্লাক হোলের প্রচন্ড অভিকর্ষ বলের আওতার মধ্যে চলে গিয়েছেন। এই পয়েন্ট থেকে আর আলোর কনিকগুলো বের হতে পারে না। মানে হচ্ছে আমরা যে আপনাকে দেখছিলাম পরতেছেন, ওই পয়েন্টে গেলে আপনি একেবারে স্থির হয়ে যাবেন। এবং যেহেতু আপনার শরির এর উপর থেকে কোন আলোক কনিকা জাম্প করে বাইরে বের হতে পারছে না তাই আমরা আপনাকে আস্তে আস্তে লাল বর্নের হতে হতে এক সময় অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখবো। মানে হচ্ছে বাইরের পৃথিবীর চোখে ব্লাকহোলের ভিতের আপনার যাত্রার এখানেই সমাপ্তি। কারন আলো ছারা আমরা কোনকিছুই দেখতে পাই না। তাই Event horizon এর পরে আপনার কপালে কি ঘটবে সেটা আপনি ছারা আর বাইরের কারো দেখার কোন সাধ্য নাই।


তৃতীয় এবং শেষ পর্ব পোস্ট করব আগামি কাল। লেখা গুলো লেখার সময় আমি বুঝতে পেরেছি আমার নিজের জ্ঞান কত কম আর তার পরিধি কতটা ছোট। অথচ এই ছোট জ্ঞান নিয়ে আপনাদেরকে এত শক্তএকটা জিনিষ বোঝানার চেস্টা করতেছি। আশা করি ভুলগুলোকে ধরিয়ে দেবেন। আরো অনেক অনেক সাইন্টিফিক মজার মজার বিষয় নিয়ে লিখছি। আশা করি সেগুলোর সাথেও থাকবেন।

(ন্যাস্টিক ন্যাস্টিক কমেন্টস গ্রহনযোগ্য হবে না। আর আমাকে দয়া করে ন্যাস্টিক ট্যাগ দিয়েন না। আমি যদি ন্যাস্টিক হই তাইলে কিন্তু এস্টিক খুতে কস্ট হয়ে যাবে)
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
১৮টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×