somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খালেদা জিয়ার বাড়ি,আদালতের রায় এবং হরতাল

২৯ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কোন দলকে ঠিক ওভাবে সাপোর্ট করি না। বলতে গেলে রাজনীতি নিয়েই কথা বলতে যাই কম। কিন্তু আওয়ামী লীগ এবার ক্ষমতায় এসেও তো দেশের জন্য খুব ভাল কিছু করছে তা না। তার উপর জনগনের মুডটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেবার জন্য খালেদার বাড়ি নিয়ে টানাটানি। এটা সবাই বুঝে। কারণ ১/১১ এর পর বিএনপি ছিল মৃতপ্রায়। এখন একটু একটু করে জেগে উঠছিল,গুছিয়ে নিচ্ছিল ঘরে বসে বসে। অনেক জাতীয় ইস্যুতেও বিএনপিকে রাজপথে টেনে আনা যায়নি। এটাই ছিল আওয়ামীলীগ এর সামনে শেষ সুযোগ বিএনপিকে রাজপথে টেনে এনে আবার ভঙ্গুর করে দেয়ার। বাড়ি দখল করেছে বাকশালী কায়দায়। আর বিএনপি স্রেফ ওদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ঈদের আগে হরতাল দিয়েছে। একটা ঘৃণ্য কাজ করেও তাই আওয়ামী লীগকে ততটা কটূক্তি শুনতে হয়নি যতটা হয়েছে বিএনপিকে তাদের এই হরতাল এর জন্য।
আদালত রায় দিয়েছে। তার উপর একটা স্থগিতাদেশ টি এইচ খান নিয়েছিলেন। তিনি নিয়েছেন অসুস্থতার কথা বলে এবং সেটা ছিল মুলতবি করার আদেশ। যদিও সেটা প্রচলিত অর্থে স্থগিতাদেশ নয় কিন্তু সাধারণত এরকম আদেশ থাকলে আগের রায়টা কার্যকর করা হয়না। খালেদার ব্যাপারে সরকার কেনই বা এতোটা হিংস্র হয়ে উঠল হুট করে সেটাও বোধগম্য নয় যে সেই আইনের ফাঁক ফোঁকড় বের করেই আইএসপিআর কে কাজে লাগিয়ে রাতারাতি তাকে উচ্ছেদ করতে হবে। এবং সেটা ঈদের ঠিক আগে আগে।২৯ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করলে কি এমন ক্ষতি হত? দেশ কি ধংস হয়ে যেত? নাকি এই বাড়ির জন্য দেশের কিছু লোক না খেয়ে ছিল? এই অসহিস্নুতার রাজনীতি আমাদের পরিহার করা উচিত।
অনেক শুশীলকেই বলতে শুনেছি খালেদা জিয়া বাড়িটা ছেড়ে দিলেই পারতেন। আসলে আমিও ব্যাপারটার সাথে কিছুটা একমত। তবে আমার যেটা মনে হয়েছে ফখরুদ্দীন সরকার এবং আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে খালেদা জিয়ার সব এক এক করে কেড়ে নিচ্ছিল বা নিয়েছে এরপর হয়তো বা এই বাড়ি রক্ষাটাকেই উনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন। একটা বাড়ি কিছু না। উনি এরকম ১০টা বাড়ি কিনার যোগ্যতা রাখেন। কিন্তু সম্মানটুকু নিয়ে উনি এ বাড়িতে থাকতে চেয়েছিলেন। সেটা যখন পেলেন না তখন আবেগটুকু আর ধরে রাখতে পারেননি মিডিয়ার সামনে। এটা বাড়ির জন্য কান্না নয়। এটাকে আমার কাছে অপমানের কান্না,অসহায়ত্তের কান্না বলেই মনে হয়েছে।এই কান্না নিয়েই আওয়ামীলীগের মন্ত্রী-এমপিরা যখন টক-শোতে সমালোচনা করেছে নগ্ন ভাবে, আমার কাছে ওদেরকে বিকৃত রুচির মানুষ ছাড়া কিছুই মনে হয়নি।ব্লগেও দেখেছি অনেকে না বুঝেই নেচেছে কুঁদেছে।
এই কান্না শুধু খালেদার বলেই নয়,হাসিনার হলেও আমি সমান সম্মানই করতাম। এতটুকু সম্মান পাবার মত নেত্রী নিশ্চই উনারা?
যে বিএনপি কিছুদিন আগেও ঘরকুনো হয়ে বসে ছিল। তারা এখন আবার রাজপথে। হরতাল গেছে,আবার কাল আরেকটা হবে। আবার আসবে। আওয়ামীলীগ গতবার ১৫০ দিনের উপরে হরতাল দিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করে দিয়েছিল এবার বিএনপি শুরু করতে যাচ্ছে। আসলেই আমি হরতাল সাপোর্ট করি না। আমার কেন যেন মনে হয় বিএনপিও বহুদিন ধরে হরতাল না দেয়ার পক্ষপাতীই ছিল। কিন্তু হরতাল না হলেতো আগামী ৩ বছর পর মানুষ বিএনপির কোন খারাপ দিক বের করতে পারবে না। আওয়ামীলীগের জন্য সেটা মাইনাস পয়েন্ট। তাই চাপাও,দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দাও নীতি গ্রহণ করেছে আওয়ামীলীগ। আর বিএনপি দিচ্ছে সেই পাতা ফাঁদে পা।

আর আমজনতা? আমরা পাচ্ছি হরতাল।দেশের কি আদও কোন লাভ হচ্ছে দুই দলের কামড়াকামড়িতে?
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫৮
১৪টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×