এই শিক্ষামূলক লেখাটা সেইসব ছোট, নাদান, অবুঝদের জন্য যারা এখনও জানেনা বাম কি জিনিস?? যারা জানেনা বিএনপি-লীগ, জামায়াত কিংবা লুল সম্রাট এরশাদর লুল পার্টির বাইরেও বাম নামক বিশেষ রাজনৈতিক ধারা আছে।।
তোমরা অনেকে হয়তো বামদল কিজিনিস বাপের জন্মেও শোননাই।। ভাবছো বাম হাত দিয়ে আমরা যেমন শৌচ কাজ করে থাকি তেমন কিছু?? - " না না মোটেই তেমন কিছু নয়।। বামদল হচ্ছে এক প্রকারের রাজনৈতিক দল যাদের নির্দিষ্ট কিছু আদর্শ এবং বৈশিষ্ট আছে।।তোমরা নিশ্চয় সাম্যবাদী, সমাজতান্ত্রিক, কমিউনিস্ট প্রভৃতি নাম শুনেছো।। এই দলগুলাকেই বামপন্থী বা আদর করে বাম বলে ডাকা হয়।।
** বামদলের ছেলে-মেয়েদের দেখতে কেমন? তাদের বৈশিষ্ট কি? তাদের মূল মন্ত্র কি? তাদের তীর্থস্থান কোথায়??
বাংলাদেশে(বিশেষ করে ঢাকায়) তাদের তীর্থস্থান হুচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের সামনে সোহরাওয়ার্দী পার্ক নামে একটা পার্ক আছে সেটা।। আর সেই পার্কের মধ্যে অধিকতর পূণ্য স্থানটা হচ্ছে "ছবির হাট" বলে একটা জায়গা আছে সেটা।। সেখানে বসে তারা ছেলে-মেয়ে একসাথে বসে গাজা সেবন করে, প্রগতিশীলতার বুলি আওড়ায়, চে গুয়েভারার ছবি যুক্ত টি শার্ট পরে তার আদর্শের কথা, বিপ্লবের কথা বর্ণনা করে।। বাম ঘরানার কবিদের কবিতা আবৃত্তি করে ইত্যাদি।। তাদের মূল মন্ত্র হচ্ছে, " কেউ খাবে কেউ খাবেনা তা হবেনা তা হবেনা" তাদের আদর্শ হচ্ছে " গরীবী হটানো"
বাম ছেলদের বৈশিষ্ট হচ্ছে, লম্বা ঝুটি করা চুল, গালে চে গুয়েভারা স্টাইলের দাড়ি, মেয়েলী টাইপের চলাফেরা , কাধে লম্বা ঝোলা।। আর বাম মেয়েগুলা- একটু ছেলে টাইপের।। কোন কোন বিশেষজ্ঞ বামদলের ছাত্র সঙ্গঠনকে হিজড়া পার্টি মনে করে কারণ এই দলের ছেলেদের মধ্যে মেয়েলী বৈশিষ্ট আর মেয়েদের মধ্যে ছেলেলী বৈশিষ্ট দেখা যায়।। অর্থাৎ না সম্পূর্ণ ছেলে না সম্পূর্ণ মেয়ে।। যাকে বলে সাম্যবস্থা।। তবে বাম ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের একটা কমন বৈশিষ্ট হচ্ছে উভয়ে বেশ ভাল গাজা সেবন করতে পারে।। গাজা টানাতে সিদ্ধহস্ত হওয়া ছাড়া প্রকৃত বাম হওয়া যায়না বলে মনে করা হয়।। যে যার চেয়ে যত বেশি গাজা টানতে পারে সে তত বড় সাম্যবাদী, গরীব দরদী, প্রগতিশীল।। আর সিগারেটতো এদের হাতের ময়লা।। সিগারেট খায়না এরকম কোন বাম ছেলে দেখা পৃথিবীর অস্টাশ্চার্য দেখার সমান।। এদিকে বড়লোক বাবার যেসব সন্তান শখের বশে, স্টাইলের তাগিদে বামে নাম লেখায় তারা আবার এলকোহল বলতে বুঝে রাশিয়ান ভদকা।( কারণ বাম দলগুলোর অন্যতম প্রধান আন্তর্জাতিক তীর্থস্থান হছে রাশিয়া।। ফলে রাশিয়ান ভদকাকে পবিত্র জল হিসবে তারা পান করে থাকে) । অন্যদিকে গ্রাম থেকে নতুন উঠে আসা, শহরের চাকচিক্য নতুন দেখা যেসব বামদের ভদকা কেনার টাকা থাকেনা তারা দেশী মদে অর্থাৎ বাংলাতে বিশ্বাসী ।। তারা বলে থাকে সদেশী পণ্য(সেটা মদও হতে পারে), কিনে হও ধন্য।।
তোমাদের মধ্যে যারা এই বছর ঢাকা ভার্সিটিতে ভর্তি হবে, তারা অবশ্যই সোহরাওয়ার্দি পার্কে গিয়ে দেখে আসবে।। উপরে উল্লিখিত বৈশিষ্টগুলা যদি কোন ছোট ছোট গ্রুপের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে পাও তবে ধরে নিবে সে বাম।।
**তোমার মনে হয়ত প্রশ্ন জাগতে পারে, যাদের মূল মন্ত্র হচ্ছে কেউ খাবে, কেউ খাবেনা তা হবেনা তা হবেনা তারা কিভাবে গাজা, ভদকা কিংবা বাংলা খেয়ে টাকা নস্ট করে।। ঢাকার অনেক মানুষ যেখানে এখনো ডাস্টবিন থেকে খাবার কুড়িয়ে খায় সেখানে তারা কিভাবে এই প্রগতিশীলতা, সাম্যবাদ কিংবা গরীবী হটাও এর নামে আমোদ-ফূর্তিতে মজে থাকে?
- তোমার এই সুন্দর প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারবোনা কারণ আমিতো আর বাম নয়।। যদি জীবনে কখনও কোন বামের সাথে পরিচিত হও তাহলে তাকে ধরে জিজ্ঞেস করো।।
**তোমার মনে হয়তো এখন প্রশ্ন আসতে পারে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বামদের কি অবদান?
বর্তমান বাম ছেলেদের পূর্বসূরীরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকে দুই ভাগে বিভক্ত ছিল।। একদল চীনপন্থী বাম(মানে চীনের বিখ্যাত বাম নেতা মাও সে তুং এর আদর্শের অনুসারী) আর এক দল রাশিয়ান বা মস্কোপন্থী।। যারা ৭১ এ চিনপন্থী বাম ছিল তারা বেশিরভাগই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল।। কারণ- মুক্তিযুদ্ধের সময় এদের আদর্শের নেতা এবং দেশ পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছিল, তারা আমাদের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল।।
আর অন্যদল মানে রাশিয়ান পন্থিরা-৭১ এরও অনেক আগে থেকে এদের সপ্ন ছিল অখ পাকিস্তান বা অভিবক্ত পাকিস্তান ভিত্তিক বাম শাসন কায়েম করবে।।বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাওয়া মানে ছিল এদের সপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাওয়া।।তাই এরাও পাকিস্তান ভাঙ্গা তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাইনি।। অন্যদিকে তাদের আদর্শ দেশ মানে রাশিয়া আবার যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়ায়।। তাই এরা পড়ে ফাটা বাঁশের মাঝখানে।। এরা তখন সরাসরি বিরোধীতা না করলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা মন থেকে চায়নি।। একমাত্র মাওলানা ভাসানী সহ হাতে গণা আরো কয়েকজন বাম নেতা বাম ধারার রাজনীতি করার পরও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করেছিলেন।।
**তোমার মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে, আজ হঠাৎ করে তোমাদের বাম শিক্ষা দিচ্ছি কেন?
কারন আজ যে, বামদের হরতাল চলছে সারা দেশ ব্যাপি।।
**এবার আবারো হয়তো প্রশ্ন জাগবে কই রাস্তা ঘাটেতো একটা বাম গাধাও দেখলামনা।।
তবে শোন- আগেই বলেছিলাম বামের ছেলেরা একটু মেয়েলী টাইপের।। এরা বড় বড় কথা বলবে, বিপ্লবের স্লোগান দিবে, মুখ দিয়ে বদলে দিবে পুরো দেশ।। কিন্তু ঐ বড়জোর তাদের তীর্থস্থান সোহরাওয়ার্দী পার্কে তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ।। এরা মিছিলে গেলে এদের সবসময় মূল লক্ষ্য থাকে পিছনের দিকে থাকা যাতে উল্টা-পাল্টা কিছু ঘটলে কাধের ঝোলাটা নিয়ে পিঠটান দেয়া যায়।। ফলে কে কার পিছনে দাঁড়াবে সেই প্রতিযোগীতা চলতেই থাকে, মিছিলটা আর এগোয়না।। এরা যদিও চে গুয়াভারার বিরত্তের কথা মনে-প্রাণে ধারণ করে কিন্তু মারাতো দূরের কথা ধমক দেয়ার আগেই এরা কাপড়-চোপড় নস্ট করে কাঁদতে কাঁদতে চলে যায়।। এরপর মিডিয়া, ফেসবুক ব্লগ তথা অনলাইনের বিভিন্ন সাইটে গিয়ে প্রতিবাদ লিপি পেশ করে।।
বাচ্চারা আজকের মত এখানে বিদায়।। ভবিষ্যতে আবারো দেখা হবে।। ধন্যবাদ/।
লেখাটা ফেসবুকে পাবেন এই পেইজে।।পেইজটাতে লাইক দেয়ার অনুরধ রইলো।।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




