আমি যখন প্রথমবার ভারত গিয়েছিলাম তখন নিয়মকানুন এত জটিল ছিলনা। আবার এখনকার মতো এত শেয়ারিং এন্ড কনসেপ্ট সাইডও ছিলনা। তাই আগে পরিচিতদের মধ্যে কেউ গেলে তাদের কাছ থেকেই ধারনা পাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম এবং কারনে অকারনে অনেক হয়রানির ও শিকার হয়েছিলাম। মুলত ঐ ক্ষোভ থেকেই এই লেখা যাতে আমার মতো কেউ অকারনে হয়রানি না হয়। এবং এই লেখা কারো কাজে আসলেই স্বার্থকতা।যাই হোক, মুূল কথাই ফিরে আসি। ভারতের পরিবহন কর্তৃপক্ষ চাপাচাপি করে তাদের কাউন্টার থেকে ডলার ভাঙ্গানোর জন্য। কিন্তু এক্ষেত্রে আশেপাশের কয়েকটি কাউন্টার ও এজেন্সি যাচাই করে নিলে ভালো । যার কাছে ভালো রেট পাবেন তার কাছ থেকেই ভাঙ্গাবেন এবং অবশ্যই রিসিভ নিতে ভুলবেন না। আর পরিবহন কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে ডলার না ভাঙ্গালে তাদের গাড়ী মিস্ করিয়ে দেয়া বা অযথা ভয় দেখাতে পারে। তাই তাদের কাছে হাজার খানেক বাংলা টাকা ভাংগিয়ে নিলে আপনার পথের হাতখরচটার জন্য চিন্তা হয় না আবার কাউন্টারের সাথেও সম্পর্ক ভালো থাকে।আর গাড়ীতে উঠার আগে অবশ্যই পেট পুরে খেয়ে নিবেন। কারন বনগাঁ টু কোলকাতা ১.৩০ঘন্টার রাস্তা হলেও জানযটে ৩ঘন্টারও বেশী লাগে। অবশ্য গাড়ী মধ্যরাস্তায় একবার লাঞ্চব্রেক দেয়, কিন্তু হোটেলটা মোটেই মানে গুনে কোনভাবেই উন্নত নয়। সাধারণত ২টা-৩টা বাজে কোলকাতায় গাড়ি পৌঁছায়। কোলকাতা পূর্ব নির্ধারিত কোন থাকার জায়গা না থাকলে মারকুইজ ষ্ট্রীট, সাদার রোড, মীর্জা গালিব ষ্ট্রীট সহ নিউমার্কেটের আশেপাশে হাজার হোটেলের যে কোন একটা দেখে উঠে গেলেই হলো। কারন আমার মনে হয়েছে নিউ মাকেট এরিয়ায় থাকতে পারলে বাংলাদেশে আছি মনে হয় বা বাংলাদেশের সব ফ্যাসিলিটিগুলো বেশ ভালোই পাওয়া যায়। আর বিদেশ গেলে খাবার কষ্টটাই একটু বেশী হয়। তাও ভালো যদি পশ্চিম বঙ্গের ভিতরে হয়। এর বাইরে গেলে তো আমাদের বাঙ্গালীদের রিতীমতো না খেয়ে থাকার উপক্রম হয়। কেননা দক্ষিনে ইডলি-দোসার দাপট আবার উত্তরে ঘি-মাখন-ক্ষীর-পনিরের দাপট। না পারবেন কারো সাথে প্রাণখুলে বাংলায় কথা বলতে না পারবেন পেট পুরে খেতে। কারণ দুনটারই অভাব। কোনটাই মুখে তোলা যায় না। একমাত্র পশ্চিমবঙেগই আমরা বাঙ্গালী একটু বলে-কয়ে বা খেয়ে দেয়ে সুখ পাই। নিউমার্কেটের আশে পাশে প্রচুর বাঙ্গালী হোটেল আছে। তো খাওয়া দাওয়ার জন্য ও কষ্ট পেতে হয় না আবার শপিং করা যায় আনন্দে। ######তবে আপনার চার ভাগের তিনভাগ কষ্টই লাঘব হয়ে যাবে যদি আপনার হাতে লোকার ইন্টারনেট সহ একটি স্মার্টফোন থাকে। কারন ভারত ৯০%ডিজিটাল। এখানে বাস, ট্রেন, প্লেন, শপিং ইত্যাদি সবকিছুই ইন্টারনেট-এ করা যায়। আবার এমন কিছু বিষয় আছে আপনি ইন্টারনেট ছাড়া ম্যনুয়ালি করতেও পারবেন না। যেমন ভারতে স্পেশাল বা প্রিমিয়াম বাস, ট্রেন এবং প্লেন এর টিকেটগুলো আপনি নেট ছাড়া কিনতে পারবেন না। অবশ্য এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কোন ট্রাভেল এজেন্সির দারস্থ হতে হবে যেহেতু আপনার ইন্টারনেট থাকলেও ডেবিট কার্ড নেই। অবশ্য ইন্টারন্যশনাল ক্রেডিট কার্ড থাকলে তার ক্রেডিট তো পাবেনই।
ভারত ভ্রমনের পূর্ব প্রস্তুতি ও পরবর্তী কার্যঃঃ(৩)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন
'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!
হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।