somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আত্মবিশ্বাসী হোন। Be self-confident (একটি শিক্ষামুলোক পোষ্ট)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

- পোষ্টটি সকল উঠতি ব্যবসায়ী বন্ধুদের উতস্বর্গ করলাম। একইসাথে তাদের পড়ার অনুরুধ রইলো।

এক ব্যবসায়ি গভীর ঋণে পতিত হলো। ঋণদাতারা টাকার জন্য চাপ দিতে লাগলো। সাপ্লাইয়াররা সাপ্লাই বন্ধ করে দিল। বেতন দিতে না পারায় শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করলো। ভদ্রলোক কোন পথই খুজে পাচ্ছিল না। তাহলে বাড়ি গাড়ী বন্ধক রেখে তিলে তিলে গড়া এত স্বাদের কম্পানী কি শেষ পর্যন্ত দেউলিয়াই হয়ে যাবে!!!

কোন উপায় না পেয়ে অফিস ছেড়ে বের হয়ে পার্কের একটি বেঞ্চে হাতের উপর মাথা রেখে হতাশ হয়ে বসে পড়ল

এমন সময় এক বৃদ্ধ লোক তার দিকে এগিয়ে আসলো....

বৃদ্ধ লোক: জনাব আপনাকে দেখেই বুঝা যায় আপনি গভীর হতাশার মধ্যে ডুবে আছেন। আপনি মনে হয় কোন বড় কম্পানীর মালিক। তাছাড়া আপনাকে পুর্ব পরিচিত ও মনে হচ্ছে। তাহলে আমি কি জানতে পারি আপনার সমস্যার কথা???

লোকটি মথা উচু করে বললো: তাতে যে কোন লাভ হবে না।


বৃদ্ধ লোক: "আমার বিশ্বাস আমি আপনাকে আপনার বিপদ থেকে উঠে আসতে সাহায্য করতে পারি।"

লোকটি বললো: আপনার নাম।

বৃদ্ধ লোকটি পকেট থেকে একটি কাগজে নিজের নাম লিখে ভাজ করে লোকটির হাতে দিয়ে বললো: এটি নিয়ে যান। এখানে আমার নাম লিখা আছে। আর আজ থেকে ঠিক এক বছর পর ঠিক এই দিনে ঠিক এই সময়েই ঠিক এই বেন্চেই আমি থাকবো। আশা করবো সে সময় আপনি ভাল বন্ধুর পরিচয় দিবেন। বৃদ্ধ লোকটি দ্রুত চলে গেলো।




---
বিরতি।
---
ব্লগার বন্ধুদের নিকট প্রশ্ন: এমন পরিস্থিতিতে আপনি ঐ বৃদ্ধ লোকটির নিকট থেকে কি আশা করছেন। মানে, ঐ কাগজে কি আছে বা কি থাকলে আপনি খুশি হবেন?? একটু চিন্তা করুন তারপর নিচে পড়ুন.....








ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। আপনারা পড়ছিলেন ..আত্মবিশ্বাসী হোন। Be self-confident (একটি শিক্ষামুলোক পোষ্ট)..

==> এবার লোকটি কাগজের ভাজ খুললো। কাগজটি কোন মামুলী কাগজ নয়। এটি $৫০০,০০০ এর একটি ব্যাঙ্ক চেক। (পাঁচ লাখ ইউএস ডলার মাত্র)

লোকটির হাতে কম্পন সৃষ্টি হলো। নিজের চোখকে যেন সে বিশ্বাস করতে পারছে না। পৃথিবীকে স্বর্গ মনে হতে লাগলো। আনন্দে চিৎকার করতে লাগলো। কিছুক্ষন পরে যখন বাস্তবে ফিরে আসলো তখন চিন্তা করতে লাগলো কে এই ব্যক্তি! চেকের নিচে সাইন দেখলো: ''জন ডি রকফেলর''।
এই শহড়েই বসবাসকারী বিশ্বের নাম করা ধনীদের একজন হলেন 'জন ডি রকফেলর'।
নাম দেখার পর বিষয়টি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হতে লাগলো।




---
বিরতি নং-২। -আমাদের সাথেই থাকুন।
---
প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা
- আপনি এমতোবস্থায় কি করতেন। সংক্ষেপে কমেন্টে লিখুন যাতে নিজেকে যাচাই করতে পারেন। তারপর নিচের অংশ পড়ুন।





ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। আপনারা পড়ছিলেন ... আত্মবিশ্বাসী হোন। Be self-confident (একটি শিক্ষামুলোক পোষ্ট)..

==>> লোকটি ঘটনাটি নিয়ে চিন্তা করতে লাগলেন। চিন্তা করে বের করলেন:
-১) টাকা পয়সাই সব কিছু নয়।
-২) মানুষের উপর ভড়সা রাখতে হবে।
-৩) মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে।
-৪) হৃদয় অনেক বড় করতে হবে।
-৫) বিন্দুমাত্র লোভ থাকা যাবে না।


বিষয়গুলো রিয়েলাইজ করার পর তার ভিতর চেতনার সৃষ্টি হলো। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি চেক ক্যশ করবেন না। তিনি তার ভিতরের দুর্বল সাইড গুলো বের করতে লাগলেন। তিনি শ্রমিকদের সাথে ভাল ব্যবহার ও মিষ্টিভাষায় কথা বলে তাদের থেকে আরো কিছুদিন সময় নিতে পারলেন। ডিলারদের আরো বেশি সুবিধা দিয়ে তাদের থেকে আরো কিছুদিন কাজ করার আস্বাস পেলেন। গুডাউনের কিছু মাল কিছুটা ক্ষতি দিয়ে বিক্রি করে ব্যংকের কিছুটা লোন পরিশোধ করলেন। এইভাবে কয়েক মাস কঠোর পরিশ্রম করার পর তার কম্পানি বেশ ভাল ভাবে চলতে থাকলো। পরিশ্রমের মাত্র বড়িয়ে দিলেন। কয়েক মাস পর সে তার সমস্ত পাওনাদারের টাকা শুধ করে ফেললেন। এক বছরের মধ্যে তার কম্পানি এখন অনেক টাকার মালিক হলো। কিছু গিফট এবং ঐ চেকটি হাতে নিয়ে লোকটি সেই আগের বেন্চে বৃদ্ধ লোকটির জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো।

কিছুক্ষন পরই বৃদ্ধলোকের আগমন ঘটলো। সে পকেট থেকে বের করে চেকটি বৃদ্ধ লোকটির দিকে এগিয়ে দিলেন।

এমন সময় একটি নার্স দৌড়ে তাদের দিকে ছুটে এলো। নার্সটি লোকটির নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে বলল: আমি দুঃখিত। এই অসুস্থ বৃদ্ধ লোকটি আপনার কোন ক্ষতি করে নি তো?? আসলে লোকটি কয়েকবছর যাবত মানসিক ভাবে পর্যুদস্ত। ডাক্তার তাকে চিকিৎসা দিয়েছেন। তাকে রেষ্টে থাকতে বলেছেন। কিন্তু সে প্রায়ই বাসা থেকে বের হয় এই পার্কে চলে আসে। আর সকলের নিকট নিজেকে ''''জন ডি রকফেলর'' বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। আপনার কোন ক্ষতি করে থাকলে আপনি আমাদের উভয়কেই ক্ষমা করে দিবেন। বলতে বলতে নার্সটি বৃদ্ধলোকটিকে নিয়ে গেলো।



বিস্মিত হয়ে লোকটি দাঁড়িয়ে রইলো, স্তব্ধ হয়ে গেলো তার হৃদয় স্পন্ধন। কত কঠোর সময়ই না পার করছেন তিনি গত একটি বছরে। আর তার সুখে দুখে তার পাশে ছিল ঐ $৫০০,০০০ (হাফ মিলিয়ন ডলার)। - আজ সে জানতে পারলো সেটা নাকি ফেইক। তাহলে আমি কি গত একটি বছর মৃত লাশ বুকে নিয়ে ঘুমিয়েছি? এমনটাই মনে হতে লাগলো তার।

একটু পরে সে রিয়েলইজ করলো: কোন টাকাই নয়, বাস্তবতার টাকা না কল্পনার টাকাও না। তার জীবন পরিবর্তন করেছে তার খুজে পাওয়া নিজের আত্নবিশ্বাস। যা কিনা হাফ মিলিয়ন কেন লক্ষ বিলিয়ন ডলারের চেয়েও মুল্যবান। আর সেটা সে পরে প্রমান ও করেছিল।

---
একটি ইংরেজি গল্পকে নিজের মত করে লেখা...
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
৩১টি মন্তব্য ৩১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×