somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সোহানী
হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

কারন তুমিতো মানুষ নও তুমি মেয়েমানুষ

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্লিজ আমার শিশুটিকে বাঁচতে দিন। তার শৈশব শুরু না হতেই নরপশু শিশুলোভী হায়েনাদের থাবা থেকে আমার আপনার শিশুটিকে বাঁচতে দিন। শৈশবের আনন্দ আমরা তাকে দিতে পারিনি তাই বলে বাঁচার অধিকারটুকু তো কেড়ে নিতে পারিনা। যে ফুল বিক্রেতা আজ ধর্ষিত হলো কাল স্কুলে যাওয়ার পথে আমার মেয়েশিশু হয়তো বাঁচতে পারবে না..... পরশু আপনার শিশুটি কোথাও একা যাওয়ার পথে কিভাবে তাকে বাঁচাবেন হায়েনাদের থাবা থেকে?

আজ আমার ৮ বছরের শিশুটি আমাকে প্রশ্ন করে "মা, ধর্ষন কি?" প্রতিদিন সকালে খবরের কাগজে বড় বড় হেডিং এ ধর্ষন সংক্রান্ত খবর দেখে তার মনেও প্রশ্ন জেগেছে। আসলেও তো ধর্ষন কি? আজ এতটুকু বয়সে কোন শিশুর হয়তো উত্তর খুজতে হয়না কারন সেই এর শিকার....। আমরা কি জানি এর উত্তর?

ভারতের মেডিকেল ছাত্রী ধর্ষিত হওয়ার পর হাটে, মাঠে, টকশো, রাস্তার ব্যানারে, এনজিও কর্মকান্ডে, রেডিও, টিভিতে শুধু একটাই আলোচনা ধর্ষন ধর্ষন ধর্ষন, যেন এর আগে কখনো কেউ এমন অপরাধের খবর জানতো না। আজ আমি আপনি সবাই শুনছি কিন্তু এর কি কোন প্রতিকার করতে পেরেছি........, প্রতিদিনের নিউজে হেডিং আসা কি বন্ধ হয়েছে...., আমার আপনার শিশুটি কি নিরাপদে স্কুল থেকে বাসায় আসতে পেরেছে, কোন পরিমল, জয়নাল, রসুলরা কি তাদের পথ আটকায়নি? উত্তর......হাঁ আটকিয়েছে... প্রতিটি স্থানে, শহরে কি গ্রামে.....পথে ঘাটে স্কুলে কলেজে প্রাইভেট টিচারের কাছে অফিস আদালতে হাসপাতালে...... কিন্তু আমাদের মেয়েরা চুপ থেকেছে, সহ্য করেছে কারন আমরা তাকে শিখিয়েছি এসব কথা বলতে নেই তোমারই খারাপ হবে, তোমাকে খারাপ বলবে, তোমার বিয়ে হবে না, সমাজ তোমাকে দোষ দিবে...শালিসের নামে তোমাকে দোড়রা মারবে, পুলিশ তোমার কেস নিবেনা বরং তোমাকে শতবার ধর্ষন করবে, আদালতে তোমার বিচারের নামে প্রহসন হবে, আবারো তোমাকে ধর্ষিত হতে হবে কাঠগোড়ায়, পুলিশ কাস্টোডিতে... জেলে। কারন তুমিতো মানুষ নও তুমি মেয়েমানুষ ...তোমাকে ভোগ করার...অপমান করার.... মেরে ফেলার অধিকার তাদের আছে। তোমার বিচার চাওয়ার অধিকার নেই...... তোমার এত বড় সাহস ....... তাইতো ধর্ষনের বিচার চেয়েছো বলে জেল থেকে ছাড়া পেয়েই তোমাকে মেরে ফেলা হয়েছে। হাঁ মেরে ফেলা হয়েছে....... কিন্তু আর কতদিন আমরা সহ্য করবো..... রুখে দাড়াবার কি সময় হয়নি.....সময় হয়নি কি বিচার চাইবার?????

...............................আমার এ লেখা চলবে কারন আমার আর কোন ক্ষমতা নেই প্রতিবাদ করা ছাড়া, কলম ধরা ছাড়া, চিৎকার করা ছাড়া। আমার আপনার শিশুটিকে বাঁচাতে হবে....তাকে একটি চমৎকার শৈশব দিতে হবে..... তাকে একটি সুষ্ঠ পরিবেশ দিতে হবে..... তাকে একটি নিরাপদ সমাজ দিতে হবে.........। রাষ্ট্র যদি আমার আপনার শিশুটিকে নিরাপত্তা দিতে না পারে, সমাজ যদি তাকে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দিতে না পারে তাহলে আমাকে আপনাকেই এগিয়ে আসতে হবে ওদেরকে বাঁচাতে। ওদের ফুটফুটে মুখের দিকে তাকিয়ে আমার আপনার প্রতিবাদ করার সময় এখনই....আপনি কি পারবেন আপনার নিজের এবং আপনার আশেপাশের শিশুটির পাশে দাড়াতে????
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৩
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×