somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সোহানী
হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

কেরিয়ার কাউন্সিলিং বা বেকার বন্ধুদের জন্য ফ্রি উপদেশ (যারা স্বকার তাদের জন্য ও) ........ পর্ব-২

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিদেশে একজন তরুন সর্বোচ্চ ২১ থেকে ২২ বছরে গ্রাজুয়েশান শেষ করে প্রফেশনাল লাইফে ঢুকে। আর আমরা প্রায় ২৫ থেকে ২৭ বছর বয়সে ইউনিভাসিটি থেকে বের হয়ে চাকরির পিছনে যখন দৌড়াই তখন দেখি দুনিয়া অনেক কঠিন। বড় জোর ৩০বছর বয়স সীমায় ২টা বিসিএস এটেন্ড করতে পারি আর বিসিএস সোনার হরিণ ধরতে না পারলে তো চাকরির বাজার যে কতটা খারাপ তা হাড়ে হাড়ে টের পা্ই তখন।

আজ যদি আমরা ২২/২৩ বছরে প্রফেশনাল লাইফে ঢুকতে পারতাম তাহলে আমাদের হাতে থাকতো ৭/৮ বছর আর বিসিএস এটেন্ড করতে পারতার ৬/৭ টা, জীবনটা স্টাবলিশ করতে সময় পেতাম অনেক। এখন দেখুন আমার আপনার জীবনের ৪ থেকে ৬ টা বছর কিভাবে নস্ট হয়ে গেল আর তার জন্য আমরা নিজেরা কোনক্রমেই দায়ী নই অথচ তার মাশুল গুনতে হচ্ছে আমার আপনার প্রতিটি মুহূর্তে। বাবার পকেটের টাকা, আপনার আমার হতাশা, আত্বীয় স্বজনের কটাক্ষ, প্রেমিক/প্রেমিকার ধাক্কা (আর মেয়ে হলে তো কথাই নেই.... বাড়তি চাপ হিসেবে আইবুড়ো খেতাবের ধাক্কা....... ) সবই কিন্তু আপনার আমার জন্য অথচ আপনি বা আমি এর জন্য দায়ী নয় কিছুতেই।

আমার কাছে অনেকেই আসে কেরিয়ার কাউন্সিলিং এর জন্য....... হতাশার মাঝে একটু আশার বাণী শুনতে............ আর তাই আমার অভিজ্ঞতার আলোকে এ ধারাবাহিক লিখা যাতে তোমাদেরকে কিছুটা হলেও আলোর দিশা দিতে পারি।

আমার আগের উপদেশ :
http://www.somewhereinblog.net/blog/belablog/29904526

যা বলছিলাম,

পাবলিক বা ভালো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি ঢুকতে পারো তাহলে ও কথা আছে, কোন সাবজেক্ট পেলা তা একটা বড় বিষয়। কারন বাংলাদেশে চাকরীর বাজার ভয়াবহ, ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করলেই যে চাকরী পাবা তার কোন গ্যারেন্টি নেই কোনক্রমেই। অনেক ভালো সাবজেক্ট থেকে ভালো রেজাল্ট করেও মামা চাচার রেফারেন্স না থাকলে চাকরী পাওয়া কঠিন। তাই তোমাদের যাদের মামা চাচার রেফারেন্স নাই তাদের জন্য উপদেশ, আজকের লিখা;

এক : চোখ বন্ধ করে বিসিএস এর জন্য ট্রাই করো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবা আর বিসিএস প্রিলিমিনারি ও মেইন গাইড কিনবা। সময় পেলেই পড়বা, প্রয়োজনীয় নোট করবা, প্রতিদিন পেপার পড়বা আর নিজেকে যেকোন নিউজে আপটুডেট রাখবা। বিসিএস হয়ে যাবে আশা করি।

দুই: যদি বিসিএস না হয় প্রথমবারে তাহলে অবশ্যই হতাশ হবে না। আবার চেস্টা করবা অবশ্যই সঙ্গে প্রাইভেট জবের চেস্টা করবা। যেকোন জবকেই ছোট করে দেখবা না। যেকোন অভিজ্ঞতাই জীবনে কোন না কোন কাজে লাগে। আগে চাকরী তারপর হিসাব তা ছোট না বড়।

তিন: কাজের ক্ষেত্রে.... পরিশ্রম, সততা, কাজের প্রতি ডেডিকেশান, সিনসিরিয়াটি, সদ্বব্যবহার, সবার সঙ্গে সুস্ম্পর্ক তোমাকে অবশ্যই ভালো জায়গায় নিয়ে যাবে। সব প্রতিষ্ঠানেই অনেক পলিটিক্স থাকে আর নিজেকে তার থেকে দূরে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।

চার: চাকরী জীবনের প্রথমেই টাকার পিছনে দৌড়াতে হয় না। আগে নিজেকে এ ফিল্ডে প্রতিস্ঠিত কর দেখবে টাকা তোমার পিছনে এমনিতেই দৈাড়াবে। কারন বাংলাদেশে এখনো অভিজ্ঞতার দাম আছে। ভালো কাজ জানলে চাকরীই কিছুদিন পর তোমার পিছনে ছুটবে।

এবার আসি আসল কথায়... চাকরী খুঁজলেই যে চাকরী হবে তা কিন্তু না। কাজেই হতাশ হবে না কিছুতেই। ওয়েব সাইট, পেপার, অনেকভাবেই চাকরীর খোঁজ তুমি পাবা। তবে ভালো হয় বিভিন্ন প্রতিস্ঠানে তোমার সিভি ড্রপ করা। নেক্সট্ লিখায় তোমাদের জন্য কিছু ওয়েব সাইট এড্রেস নিয়ে আসবো, সেখানে তোমরা সিভি ড্রপ করে রাখলে প্রয়োজনে তারা তোমাকে ডাকবে।

এর পর আসি সিভি প্রসঙ্গে, অবশ্যই একটি চমৎকার সিভি তৈরী করবা তোমরা। নেক্সট্ কোন লিখায় তোমাদের জন্য সিভি তৈরীর গাইড লাইন নিয়ে আসবো আশা করি।

চাকরীর বিকল্প অনেক কিছুই আছে...... সেটা তোমাকেই খুজেঁ দেখতে হবে... .............।

আজ এটুকুই থাক......... চাকরীর বিকল্প ও ওয়েব সাইট এড্রেস নিয়ে পরের পর্ব লিখি ......... কি বলো.........
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×