somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সোহানী
হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

ইহা কিঞ্চিত ভ্রমন গাইড সহ ছবি পোস্ট......... ড্রেসডান, জার্মান

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এবারের শহর জার্মানের ড্রেসডান !!!

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানের যে শহর সম্পূর্ন ধ্বংস করেছিল তা হলো ড্রেসডান। ড্রেসডান নিয়ে জার্মানবাসীদের অনেক অহংকার ছিল কারন তারা এ শহরটিকে মনের মত সাজিয়েছিল। আর ঠিক এ কারনেই বিশ্বযুদ্ধে শহরটিকে সম্পূর্ন ধ্বংস করেছিল বোমা ফেলে। যাহোক জার্মানবাসীরা শহরটিকে আগের মতই করে ফেলেছে ইতিমধ্যে যা তাদের এখনো অহংকার।

শহরটির প্রাকৃতিক সৈান্দর্য্য বা আর্কিটেকচারাল ভিউ দেখলে যে কাররেই মাথা ঘুরে যাবে। আমি একটু ও বাড়িয়ে বলছি না...... যেকোন স্থাপনা এমনভাবে ওরা সেট করেছে যে আপনি ওর ইতিহাসের মধ্যে ঢুকে যেতে বাধ্য। আমার মনে হয়েছিল আমি যেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই সময়ে দাড়িঁয়ে..........। অপূর্ব সব আর্কিটেকচারাল ভিউ সারা শহর জুড়ে। যাক বেশী কথা হয়ে যাচ্ছে ছবি দেখার পালা.........







আরেকটা কথা বলে রাখা ভালো ফেব্রুয়ারীর ১৩ তারিখ ড্রেসডান এ যাবেন না কারন ওই দিন তারা বিদেশী প্রতিহত ডে হিসেবে পালন করে এবং বিদেশীদের পথে লাঞ্চিত হবার ঘটনার অনেক ঘটে। তাই ওই দিন বিদেশীদের বের না হবার পরামর্শ দেয়া হয়... কিন্তু আমার দূভার্গ্য বা সৈাভাগ্যই বলেন আমি ১৩ তারিখেই ড্রেসডান এ উপস্থিত হই। যাহোক ১০ মিনিটের পথ দেড় ঘন্টা ঘুরে গন্তব্যে পৈাছেছিলাম........ তার গল্প আরেকদিন।




এটা কোন মসজিদ নয়... ওটা টোবাকো ফ্যাক্টরি.......


শহরে বন্যা হয়েছিল কয়েক বছর আগে তার স্মরনে...














দ্বিতীয় বিস্বযুদ্ধে আমেরিকা যখন জার্মান আক্রমন চালায় তখন শহরের হাজার হাজার বাসিন্দা বিশেষ করে শিশুরা এ গির্জায় আশ্রয় নেয়। তারা ভেবেছিল শত্রুরা ক্যাথলিক গির্জা আক্রমন করবে না কিন্তু তাদের ধারনা ভুল প্রমানিত করে সেখানে বোমা ফেলে সবাইকে মেরে ফেলা হয়। যুদ্ধের পর ধ্বংস গির্জা ড্রেসডান বাসিন্দা আবার তৈরী করে তাদের স্বরনে। যুদ্ধ কতটা ঘৃনার হতে পারে জার্মান ইতিহাস না জানলে তা অপূর্ন থেকে যাবে।


এখানে ঢুকে আমি ভুতের দেশে হারিয়ে গিয়েছিলাম প্রায়... অস্ভুত একটা মরা গাছের বাগান। দিনের বেলা ঢুকেও মনে হয়েছিল রাত দুপুরে আমি...
















দূর থেকে মূর্তি মনে হলে ও এরা মূর্তি নয় ... মানব মূর্তি । সামান্য ইউরো দিয়ে ছবি তুলতে পারেন পাশে দাড়িঁয়ে। কিন্তু আমার প্রশ্ন সারা দিনে এরা কয় টাকা পায় ????? এতো ঠান্ডার মধ্যে সারা দিন দাড়িঁয়ে সামান্য কয়টা ইউরো পায় তার থেকে অড জবে ও অনেক পয়সা। আমি প্রায় ৩ ঘন্টা ছিলাম ওখানে বাট আমরা ছাড়া কাউকে পয়সা দিতে দেখিনি। তবে বার্লিনে ওদের ইনকাম ভালো মনে হলো কারন ট্যুরিস্ট বেশী।


চাইলে ঘোড়ার গাড়িতে ও শহর বেড়াতে পারেন.........




শহরের ভীতরে বিয়ার পার্ক...


স্মার্ট কার...... আমার দারুন পছন্দ হয়েছে.........


স্কি খেলতে পারেন আর্টিফিসিয়াল স্কি প্লে গ্রাউন্ডে.......


চাইলে ৫০ লাখ টাকা দামের ঘড়ি ও কিনতে পারেন...... সবই সাজানো আছে আপনার জন্য.......

আপনাদের জন্য কয়টা ড্রেসডান শহরের ছবি ও নেট থেকে দিলাম ধ্বংসের পর.. পার্থক্য ধরতে পারবেন...



এটা ধ্বংসে আগের ছবি...


খুব খেয়াল করলে আমার ছবিগুলোতে খুঁজে পাবেন ধ্বংস হয়ে যাওয়া পরের ছবি......


আমার আগের বার্লিন পর্ব......
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×