somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

‘নতুন চলচ্চিত্র, নতুন নির্মাতা’ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকারদের নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য, পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং প্রামাণ্যচলচ্চিত্রের বছরব্যাপি প্রতিযোগিতামূলক উৎসব

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

‘নতুন চলচ্চিত্র, নতুন নির্মাতা’

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকারদের নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য, পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং প্রামাণ্যচলচ্চিত্রের বছরব্যাপি প্রতিযোগিতামূলক উৎসব

বাংলাদেশের তরুণ এবং স্বাধীন চলচ্চিত্রকারদের জন্য একটি কর্মসূচির চিন্তা করছি দেড় বছর ধরে। কর্মসূচিটি অনেকটাই প্রাত্যহিক ধরণের হবে। এই ভাবনা ভাবতে ভাবতে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীকে দিয়েছিলাম গত বছরের জুলাই মাসে। একটি বাৎসরিক কর্মসূচির আকারে। সেই প্রস্তাবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী সম্মত হয়েছে তিন মাস আগে। তারপরেও এই কর্মসূচি এখনও আমরা ঘোষণা করতে পারি নি। কেন পারি নি তা পরে বলছি... আগে বলি কর্মসূচিটি কি?

আমরা লক্ষ্য করছি বাংলাদেশে এখন অনেক তরুণ-তরুণী চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী এবং তারা যখন যেভাবে পারছে তাদের সাধ্যমত স্বল্পদৈর্ঘ্য, কাহিনী এবং প্রামাণ্যচলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন। এই তরুণদের চলচ্চিত্র তারা কোথায় দেখাবেন? আমাদের এখানে বছরে একবার অথবা দুই বছরে একবার চলচ্চিত্র উৎসব হয়। সেখানে ছবি জমা দেয়ার পর কারো কারো ছবি নির্বাচিত হয় দেখানোর জন্য আর অন্যদের হয় না। এই নির্বাচিত ছবির একবার প্রদর্শনী হয়; তারপর ছবিটির কি হয়? ইউটিউবে কেউ কেউ তুলে দেন অথবা নিজেই বন্ধুদের দেখানোর চেষ্টা করেন... এই তো!

এই পরিস্থিতিতে কীভাবে একজন তরুণ অথবা তরুণীর নির্মিত কাজের প্রসার ঘটবে? ঘটছে না। পরিস্থিতি অনেকটাই হতাশাজনক।

আমরা ভাবছিলাম কিভাবে এই পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে? সেই ভাবনা থেকেই সিদ্ধান্ত নেই তরুণদের নির্মিত কাজ নিয়মিত সাধারণ মানুষের মধ্যে বড় পর্দায় মিলনায়তনে প্রদর্শনীর আয়োজন করতে হবে। যাতে কাউকে তার নির্মিত ছবির প্রদর্শনীর জন্য এক বছর অথবা দুই বছর অপেক্ষা করতে না হয়।

আমাদের পরিকল্পনা যা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী তিন মাস আগেই সম্মত হয়েছে তা হলো; বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর যে কোনো একটি মিলনায়তনে প্রতি মাসের শেষ শুক্রবার বিকাল ৩টা, বিকাল ৫টা এবং সন্ধ্যা ৭টায় তিনটি প্রদর্শনী হবে। প্রদর্শিত চলচ্চিত্র একটি বাছাইয়েে ভেতর দিয়ে নির্বাচিত হবে। ছবি নির্বাচনের জন্য একটি বাছাই কমিটি থাকবে। প্রতি মাসের প্রথম ১০ দিনের মধ্যে ছবি জমা দিতে হবে। জমাকৃত ছবি বাছাই করে ১৫ তারিখে ঐ মাসের জন্য নির্বাচিত ছবির নাম ঘোষণা করা হবে। ১৫ তারিখ থেকে ঐ মাসের প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলোর প্রচারণা শুরু হবে। মাসের শেষ শুক্রবার ছবিগুলোর প্রদর্শনী হবে নুন্যতম দর্শনীর বিনিময়ে। যে ছবির প্রদর্শনীতে যতগুলো টিকেট বিক্রি হবে সেই বিক্রিলব্ধ টাকা ঐ প্রদর্শনী শেষ হওয়ার পর নির্মাতার হাতে দর্শকের সামনেই তুলে দেয়া হবে।

এভাবে প্রদর্শনী পুরো বছর ধরে চলবে। বছর শেষে সারাবছর ধরে প্রদর্শিত সকল চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে তিন জন সেরা নির্মাতাকে পুরস্কৃত করা হবে। পুরস্কারের অর্থ দিয়ে যাতে সে তার পরবর্তী ছবির কাজ শুরু করতে পারেন।

এই কর্মসূচির নাম রাখা হয়েছে ‘নতুন চলচ্চিত্র, নতুন নির্মাতা’। এটি বছরব্যাপি বাংলাদেশের তরুণ নির্মাতাদের নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য, পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনী এবং প্রামাণ্যচলচ্চিত্রের প্রতিযোগিতামূলক উৎসব।

এই কর্মসূচি শুরু করতে পারতাম তিন মাস পূর্বেই। এই পুরো কর্মসূচি সারা বছর ধরে বাস্তবায়নের জন্য যে নুন্যতম অর্থের প্রয়োজন তার সংস্থান করতে না পারাতে তা এখনও শুরু করতে পারিনি। ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনো কর্মসূচিতে আর্থিক কোনো পৃষ্ঠপোষকের কৃপাপ্রার্থী হইনি। আমাদের নিজেদের সামর্থ্যে নিজেদের অর্থায়নেই করেছি। করার চেষ্টা করে গেছি। কিন্তু এই বছরব্যাপি কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা আমাদের সক্ষমতার অতিরিক্ত ভেবে আমরা গত ৬ মাস পৃষ্ঠপোষক খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছি। নানা সময়ে নানাজনের আশ্বাস এবং প্রতিশ্রুতি শুনে শুনে কর্মসূচি শুরু করার সময় চলে যাচ্ছে। অথচ আমরা জানি এটি ভীষণভাবে প্রয়োজনীয় একটি কর্মসূচি। শুরু করা দরকার এখনই!

অবশেষে আজ কিছুটা বিরক্ত এবং ত্যক্ত হয়েই পৃষ্ঠপোষক খোঁজার এই ভুল সিদ্ধান্ত থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছি। যদি ৮ বছর আর্থিক পৃষ্ঠপোষক ছাড়াই এতটা পথ চলতে পারি তাহলে এখন কেন নয়! আর কাউকে খুঁজতে যাব না। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি নিজে থেকে আগ্রহী হয়ে আসে আসবে.. না হলে... একলা চলো রে...

‘নতুন চলচ্চিত্র, নতুন নির্মাতা’ বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা চাই... বিশেষত তরুণ চলচ্চিত্রকারদের... আমাদের নিজেদের ছবি নিজেরা নিয়মিত দেখানোর এই প্রয়াস সবাই মিলে চাইলে সফল হবে না তা হতেই পারে না!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×