তোমার আলোটুকুর দিকে চেয়ে হাঁটছি।
দিকচিহ্ণহীন এই, আমি সহসা বৃষ্টিতে মনে হয় মায়াবী তুমি
দাঁড়িয়ে পাশে।
২০০০ সাল। মাঝামাঝি। ভীষন মন খারাপ। জানি আর দেখা হবে না। দেখা হলেও কথা তো হবে না। দেখা হলেও ভীষন চমকে যাব। কল্পনার সঙ্গে বাস্তবের মিল থাকবে না। কাজেই,মন খারাপ। ভীষন খারাপ। বসে থেকে সিগারেট টানছি আর কাগজে আঁকবুঁকি কাটছিল। একটা সময় কতগুলি কথা ভাসল মনে। লিখলাম-
তবুও অপেক্ষায় থেকো রাত জেগে।
আমি ফিরতেও পারি কথার টানে।
তোমার অজস্র শব্দের মুঠোয় জীবন আমার
নিয়ত ক্ষয়ের পাশে কেন যে বাঁচতে চায়?
তখন কত পরিচিত মনে হয়েছিল ওকে। এখন কেমন অন্ধকার আর সুদূর। কেন এমন হল? আমার কি কোথাও কোনও ভুল হয়েছিল? তাই লিখলাম-
তবুও তোমার গান বুঝিনি আমি
বুঝেঝি শুধু তোমার কাছে যাওয়ার পথ নেই।
অথচ, হাঁটছি ম্লান জোছনায়
শোকার্ত উপকূল ছুঁয়ে।
নিজের মনের করুন অবস্থা তুলে ধরার জন্য আরও লিখলাম-
মাঝরাতে চাঁদ ডুবে গেলে, ঘুমের ঘোরে,
তোমার আলোটুকুর দিকে চেয়ে হাঁটছি।
দিকচিহ্ণহীন এই, আমি সহসা বৃষ্টিতে মনে হয় মায়াবী তুমি
দাঁড়িয়ে পাশে।
জন। যথাসময়ে এল। লেখাট দেখল। গিটার টেনে নিল।
তারপর?
তারপর ইতিহাস।
জন
গানটার নাম নিয়ে ভারি ঝামেলায় পড়েছিলাম। কী নাম দেই, কী নাম দেই। এমন মুশকিলে পড়লাম যে কী বলব; মাথার চুল ছেঁড়ার মতন অবস্থা। তখন সুমন এর (কবির সুমনের) একটা গান খুব ভাল লাগত।
চেনা দুঃখ, চেনা সুখ
চেনা চেনা হাসি মুখ ...
কাজেই, নাম দিলাম "চেনা দুঃখ"। কথাটা জন আজও জানে না। কেননা, ওদের জেনারেশন কবির সুমন শোনে না। অবশ্য ওর একটা গান (অন্ধ ) শুনে কবির সুমন কোলকাতা থেকে ওকে ফোন করে আর্শীবাদছিল। বলেছিল-উত্তরাধিকার নিয়ে আর দুশ্চিন্তা নেই!
যারা এ কথা শুনে মুখ বাঁকাবেন-তারা যেন "অন্ধ" গানটার সরোদটুকু শোনে।
জন ও বাতুল। বাতুল ওদের বন্ধু।
আমার লেখা আমার প্রিয় একটা কবিতার গানের সার্থক রুপায়নের জন্য জনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। (অবশ্য ওর অনেক উচ্চারণ নিয়ে আমার আপত্তি আছে। ওদের বাংলা উচ্চারণ আমি শিখাইনি। ...)
আর হ্যাঁ, চেনা দুঃখই ব্ল্যাক-এর প্রথম গান। জি সিরিজ থেকে বেরিয়েছিল।
"চেনা দুঃখ" গানটা শুনতে ইচ্ছে করলে-
http://www.mediafire.com/?jyjyzvtmvmb
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



