গল্পটা বলি শোনেন। ৩১৪ খ্রিষ্টাব্দ। জাপানের সম্রাট ছিলেন নিনতোকু। দারুন প্রতাপশালী সম্রাট। তো, সম্রাটের এক সঙ্গীনি ছিল, নাম: আইওয়ানোহিমে। বললাম সঙ্গীনি- কারণ সম্রাট নিনতোকু সম্ভবত আইওয়ানোহিমেকে বিবাহ করেননি। তবে আইওয়ানোহিমে অসম্ভব ভালোবাসতেন সম্রাটকে। একবার সম্রাট নিনতোকু ভ্রমনে বেরিয়েছিলেন। বিরহে অস্থির হয়ে উঠেছিলেন আইওয়ানোহিমে। বিরহের ঘোরে কবিতা লিখেছিলেন। সেই কবিতাগুলিই আজ জাপানের প্রেমের কবিতা হিসেবে আদৃত। কবিতাগুলোয় সম্রাট নিনতোকুর প্রতি আইওয়ানোহিমের গভীর প্রেমের আর্তি ফুটে উঠেছে।

বর্তমান কালের শিল্পীর কল্পনায় কবি আইওয়ানোহিমে।
দীর্ঘদিন
যতই ঘুরছ
দিনগুলি দীর্ঘ হচ্ছে।
আমি কি অপেক্ষা করব?
না, তোমাকে পাহাড়ে খুঁজতে বেরুব?
আমি বরং মরব
আমি বরং মরব
শুয়ে মরে যাব।
তোমাকে না চেয়ে বরং
রুক্ষ পাহাড়ের পাথরকে
করব বালিশ ।

সম্রাট নিনতোকু
আমি অপেক্ষা করব
যতদিন বেঁচে থাকব
আমি অপেক্ষা করব।
যতক্ষণ না আমার কালো পোশাক
তুষারে সাদা হয়ে যাবে।
আমার আকাঙ্খা কি ম্লান হয়ে যাবে?
এই বসন্তের প্রান্তরে
আমার আকাঙ্খা কি ম্লান হয়ে যাবে?
ভোরের কুয়াশা ধান গাছের ফাঁকে
উবে যায়!
জাপানের সম্রাট নিনতোকু মনে হয় আইওয়ানোহিমের স্পর্শকাতর হৃদয়কে বুঝতে পারেননি-কেবল ভোগই করেছেন। পরবর্তীতে নিজেকে জাপানের সাম্রাজ্ঞী দাবী করেছিলেন আইওয়ানোহিমে । সম্ভবত ভালোবাসার তাড়নায় কেমন একটা ঘোরের ভিতরে চলে গিয়েছিলেন আইওয়ানোহিমে ...

একালের আইওয়ানোহিমে?
মূল জাপানি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ : আয়ামে ফুকুদা
কবিতাসূত্র:
Willis Barnstone এবং Tony Barnstone সম্পাদিত Literatures of Asia, Africa, and Latin America. (From Antiquity to the Present)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



