somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প: ভারি মজার একটা যুদ্ধ

১৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্ব

ঘুমিয়ে ছিল সালমা। কাল ভোর ভোর সময়ে উঠে পড়তে হবে। অনেক রাত ওব্দি অঙ্ক কষেছে। সামনে পরীক্ষা। ভোর ভোর সময়ে উঠবে বলে ঘুমিয়ে পড়ল। ভোরে আবার পড়া শুরু করবে। সালমা বরাবরই ক্লাসে ফাস্ট হয়। আর ফাস্ট হতে হলে একটু বেশিই খাটতে হয়। সালমার খাটতে অবশ্য আপত্তি নেই। রেজাল্প বেরোলে সব খাটুর
ওরর ঘরের জানালায় খুট করে শব্দ হল। সালমার ঘুম পাতলা। ওর ঘুম ভেঙ্গে গেল। জানালাটা মাথার কাছেই। জানালা খুলেই ও ঘুমায়। ও উঠে উঁিক দিয়ে দেখল দেখল কুটুস দাঁড়িয়ে। কী রে কুটুস এত রাতে?
কুটুস বলল, আঁকা না হারিয়ে গেছে।
সালমা হাই তুলে জিগ্যেস করল, কে আঁকা?
আঁকা একটা নীল পরি। কুটুস বলল।
সালমা আড়মোড়া ভেঙ্গে জিগ্যেস করল, নীল পরি আঁকা তোমার বন্ধু?
কুটুস মাথা নেড়ে বলল, না। পিদিমের বন্ধু।
সালমা অবাক হয়ে জিগ্যেস করল, পিদিম আবার কে?
কুটুস বলল, একটা সাদা ভুত।
পিদিম তোমার বন্ধু?
হ্যাঁ। কুটুস বলল।
সালমা বলল, তা হলে তো আঁকাকে খুঁজতে যেতেই হয়। তুই দাঁড়া কুটুস, আমি মুখচোখে একটু পানি দিয়েই আসছি।
আচ্ছা।
একটু পর সালমা বাড়ির পিছনে আমবাগাটায় চলে এসে বলল, চল।
চল।
সালমা চিন্তিত হয়ে বলল, কিন্তু আঁকাকে কোথায় পাওয়া যেতে পারে বল্ তো?
আমি কী জানি। কুটুস একটা ছোট্ট লাফ দিয়ে বলল।
ওদের ভাগ্য ভাল। কারণ এই সময় গড়ানকে উড়ে আসতে দেখা গেল । গড়ানও ওদের দেখে একটা আমগাছের ডালে এসে বসল। বসে বলল, তোমরা আঁকাকে খুঁজতে বেরিয়েছ তো?
হ্যাঁ। হ্যাঁ। কুটুস বলল।
গড়ান বলল, তা হলে বিলাইমারির জঙ্গলের দিকে যাও, ওখানেই আঁকাকে পাবে। বলে ও উড়ে চিরিদের গেল।
সালমাবলল, চল কুটুস। আমি বিলাইমারি জঙ্গলটা ভালোই চিনি। আঁকা কোথায় আছে আশা করি খুঁজে বার করতে পারব।
চল, তা হলে। কুটুস বলল।
ওদিকে চিরির সঙ্গে উড়ে উড়ে পরির দলটা যাচ্ছিল।
হলুদ পরি আফসানার হঠাৎ খুব পানির পিপাসা পেল। সে কথা বলতেই চিরি বলল, ওই তো একটা উঠান আর টিউবওয়েল। ওখানেই পানি খেয়ে নিও।
চল।
চিরি উঠানে টিউবওয়েলের ওপর বসল। পরির দলটা লাউয়ের মাচার ওপর বসল।
ওদিকে মনোয়ারেরও পানি পিপাসা লেগেছিল। ওর ঘুম তাই ভেঙ্গে গেল। অন্ধকার হাতড়ে জগটা ধরে বুঝল পানি নেই। কী আর করা। টিউবওয়েলটা উঠানে। উঠতেই হল। গলা শুকিয়ে কাঠ। ও জগটা নিয়ে সাবধানে দরজা খুলল, মা আর ফরিদা ঘুমিয়ে আছে, ওদের যাতে ঘুম না ভাঙ্গে তাই।
মনোয়ার উঠানে এসে দেখল উথালপাথাল বাতাস আর জোছনা। ও উঠানে পা দিয়েই অবাক হয়ে দেখল এত রাতে টিউবওয়েলের ওপর একটা ফিঙ্গে পাখি বসে। ও অবশ্য পরির দল দেখল না পরির দলটা লাউয়ের মাচার ওপরে বসেছিল বলে।
মনোয়ার জানতে চাইল, তুমি কে ভাই?
চিরি বলল, আমার নাম চিরি। আমি হলাম একটা ফিঙ্গে পাখি।
এত রাতে এখানে কী করছ?
হলুদ পরি আফসানা উড়ে এসে বলল, আমার পিপাসা পেয়ে ছে যে।
আমারও। আইরিন বলল।
মনোয়ার অবাক হয়ে পরিদের দেখল। তারপর চিরিকে জিগ্যেস করল, এরা কারা চিরি?
এরা হল পরির দল। আমার বন্ধু। এ হল আনিলা, আর এ হল সাবা, আর এ হল রাকা, এ হল আইরিন, আর এ হল আফসানা।
মনোয়ার জিগ্যেস করল, ও তোমারা পানি খেতে চাও?
হ্যাঁ ভাই। আইরিন বলল।
আচ্ছা একটু অপেক্ষা কর। আমি দিচ্ছি। বলে মনোয়ার আবার ঘরে ফিরে গেল। সাবধানে কুপি জ্বালিয়ে খুঁজেপেতে শিকে থেকে একটা রুপার বাসন বার করল। ওটা ভালো করে মুছে উঠানে এসে টিউবওয়েলের হাতল চেপে পানি ভরে সেই রুপার বাসনটা দাওয়ার ওপর রেখে বলল, নাও, এবার তোমরা যত ইচ্ছে পানি খাও।
আফসানা আর আইরিন পানি খেল।
মনোয়ার জিগ্যেস করল, তোমরা কি বেড়াতে বেড়িয়েছ?
চিরি বলল, ঠিক তা না। আঁকা নামে একটা পরি হারিয়ে গেছে। তাকে খুঁজছি।
মনোয়ার জানে জোছনা রাতে ঝিলিমিলি নদীর কিনারে পরিরা নামে। ও ভাবল, ইস, আমাদের গ্রামে বেড়াতে এসে একটা পরি হারিয়ে গেল। এখন পরির দেশের পরিরা কী ভাববে। আহা, পরি হারিয়ে গেলে তো বিপদ। মনোয়ার বলল, আমিও যাব।
তাহলে তো ভালোই হয়।
ওদিকে উঠানে কথাবার্তা শুনে মনোয়ারের ছোট বোন ফরিদার ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল । ও উঠে এসে পরিদের দেখে আর ফিঙে পাখি দেখে ভারি অবাক হয়ে গেল। ফরিদা কাঁদতে কাঁদতে বলল, এ এ আমিও যাব। আমিও যাব।
মনোয়ার মৃদু ধমক দিয়ে বলল, যাবি তো চল। এত কাঁদছিস কেন?
ওরা উঠান নেমে রাস্তায় নেমে আসতেই গড়ানকে দেখল উড়ে আসতে। গড়ান হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, চিরি, চিরি আমি না আঁকাকে খুঁজে পেয়েছি।
চিরি চমকে উঠে বলল, কোথায়?
গড়ান বলল, বিলাইমারির জঙ্গলে একটা কাঠের ঘরের ভিতরে। আমি এখন যাই ভুতুম আর লালসারিকে খবর দিয়ে আসি। বলে গড়ান উড়ে গেল।
মনোয়ার বলল, জায়গাটা আমি ভালোই চিনি। সবাই আমার পিছন-পিছন এসো।
সবাই জোছনাকে অনুসরণ করল।
ওদিকে একটা ঝাঁকড়া গাছের তলায় কাঠের বাড়িটা খুঁজে পেল পিদিম। ঘরের পিছনে এসে দেখল একটা জানালায় আলো জ্বলছে। পিদিম মুহূর্তে জানালায় একে উঁিক দিল। ভিতরে একটা হ্যাজাক বাতি জ্বলে আছে। তারি আলোয় দেখল আঁকা একটা টেবিলের ওপাশে হাতলভাঙ্গা চেয়ারে বসে আছে। কাঁদতে কাঁদতে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে।
ঘরের ভিতরে চারজন। এর মধ্যে তিনজন হল গরুচোর। অন্যজন একটা লম্বা মোটাসোটা লোক। সে টেবিরের ওপর পা ঝুলিয়ে বসে চুরুট টানছে।
পিদিম ওদের কথাবার্তা শুনতে লাগল।
গাবু বলল, তোমরা পরির বিনিময়ে একটা সাদা ঘোড়া চেয়েছিলে, ঠিক?
ঠিক? কটূ বলল।
গাবু বলল, এখন তা হলে তার সঙ্গে হাতির বাচ্চা চাচ্ছ কেন? একটা হাতীর বাচ্চার দাম লাখ টাকা জান?
কটূ বলল, ভেবে দেখ গাবু। এই পরি দেখিয়ে তোমরা কত টাকা আয় করবে। একটা বাচ্চা হাতির জন্য এত কিপ্টেমি করছ কেন?
কটূর কথা শুনে খ্যাকখ্যাক করে হাসতে লাগল রাব্বানী ।
জানালার পাল্লায় খস করে শব্দ হল। পিদিম চেয়ে দেখল গড়ান। ফিসফিস করে বলল, সবাইকে খবর দিয়েছি পিদিম।
ধন্যবাদ গড়ান। ফিসফিস করে বলল পিদিম।
পিদিম আবার ঘরের ভিতরে উকিঁ দিল।
গাবু বলছে, ভালোয় ভালোয় রাজী হয়ে যাও নয়তো ...
নয়তো কী। বলে তিতা বুক ফুলিয়ে দাঁড়াল
আমাদের এলাকায় মাস্তানী, না? জান আমরা কার ছেলে?। কটূও ছেড়ে কথা কওয়ার ছেলে না।
ঘরের ভিতরে প্রায় মারামারির উপক্রম হল। হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় আর কী।
পিছনে খুট শব্দ হল। পিদিম চেয়ে দেখল কুটুস আর তার সঙ্গে একটা দারুন সুন্দর দেখতে একটা। পিদিম ভাবল: এর নামই মনে হয় সালমা, আমবাগনে থাকে। পিদিম একটু সরে গেল। সালমা ঘরের ভিতরে উঁকি দিয়ে তিতা-কটূকে দেখে ভীষন অবাক হয়ে গেল। ওরা, মানে তিটা আর কটূ সালমার সঙ্গেই গড়পাড়া ইশকুলে একই ক্লাসে পড়ে। তিতা-কটূ যদিও রেগুলার ক্লাস করে না, ক্লাস ফাঁকি দেয়। তিতা-কটূ একবার সালমার বইখাতা খালের পানিতে ফেলে দিয়েছিল। এমনি-এমনি কোনও কারণ ছিল না। সালমা অপেক্ষা করছিল তিতা-কটূকে জব্দ করার জন্য। আজই যে ওর ইচ্ছে পূরণ হবে ও জানত না।
একটু পর চিরি, পরির দল ও মনোয়ার এসে পড়ল কাঠের বাড়ির পিছনে। মনোয়ারকে দেখে খুব অবাক হল পিদিম। ও যে আসবে ভাবতে পারেনি। চিরি পাল্লার ওপর বসল গড়ানের পাশে। পরিরা জানালার ওপরে ভেসে রইল শুন্যে। মনোয়ার এসে বসল পিদিম আর সালমার পাশে।
একটু পর ভুতুমরাও এল একটু পর। ওর পিঠে লালসারি। লালসারিদের উত্তেজিত দেখাল।
সবাই এসে গেছে দেখে পিদিম নিশ্চিন্ত হল। ও ঘরের ভিতরে উকিঁ দিল। ঘরের ভিতরে গাবু ততক্ষনে পিস্তল বার করে কর্কস স্বরে বলছে, বেশি তেড়িবেড়ি করলে তোদের মাথার খুলি উড়ায়ে দিব। গড়পাড়ার মাস্তান। না?
পিস্তল দেখে তিটা-কটূ ভ্যবাচেকা খেয়ে গেল। ওরা ঠকঠক করে কাঁপতে লাগল। ওরা যতই দুষ্টুমি করুক জীবনে কখনও সত্যিকারের পিস্তল দেখেনি। ওদের বাপের একটা বন্দুক আছে বটে কিন্ত সেটা কখনও ছুঁয়ে দেখার সাহস হয়নি। গাবুর হাতের ওটা সত্যিকারের বলেই তো মনে হচ্ছে। কটূ তোতলাতে তোতলাতে বলল, আপনি ...আপনি জানেন না গাবু ভাই, আমরা ... আমরা ঠিক করেছিলাম পরিটাকে ...পরিটাকে এমনি এমনি ...এমনি আপনাকে উপহার দেব।
তাই?
হ্যাঁ।
বেশ ভালো। উস্তাদ আপনে এখন এই দুইটারে ভালো করে বান্ধেন। আমি এইটা ধরছি।
দড়ি দে। বলে রাব্বানী চুরুট ফেলে দিল, টেবিল থেকে লাফ দিয়ে নামল। ।
ওই কোণায় দেখেন।
রাব্বানী দড়ি খুঁজে বার করল।
কটূ বলল, ঠিক আছে বাঁধেন, কিন্তু গুলি করেন না।
চুউউপ। বলে রাব্বানী গর্জে উঠল। সেই গর্জন শুনে ওদের আত্মার পানি শুকিয়ে গেল।
বাঁধা শেষ হলে রাব্বানী উঠে দাঁড়াল।
গাবু বলল, উস্তাদ আপনি পরিটারে নিয়া ঘরের বাইরে যান। আমি শেষবার চেক করে আসছি।
রাব্বানী মাথা ঝাঁকাল। আঁকাকে কাঁধের ওপর তুলে বসিয়ে দিল। তারপর বাইরে বেরোবে বলে দরজার কাছে এগিয়ে যেতে লাগল।
পিদিম একটা কিছু কর। রাকা পিদিমের পাশে এসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলল।
করছি। বলে চোখের পলকে ও কাঠের বাড়িটা ঘুরে দরজার সামনে চলে এল। রাব্বানী তখনও দরজা খোলেনি। চাঁদের আলোয় স্পষ্ট দেখা যায় দরজার সামনে পাকা মেঝে আর শুকনো পাতার স্তুপ। সবাই সাবধানে পিদিমকে ফলো করে দরজার একপাশে এসে দাঁড়াল।
করকর শব্দে দরজাটা খুলল। রাব্বানী তারাপর বাইরে এসে দাঁড়াল। এদিক-ওদিক দেখে নিচ্ছে। শিস দিচ্ছিল। দারুন ফুর্তিতে আছে লোকটা। ততক্ষনে পিদিম একটা শক্ত দড়ির রুপ ধরে রাব্বানীর পা দুটো বাঁধতে শুরু করেছে। তাই একটা পা ফেলতেই “একী!, একী!” বলে চেঁিচয়ে উঠল সে। কারণ রাব্বানী ধপাস করে পড়ল শক্ত শানের ওপর। আঁকা পরেই যাচ্ছিল। গড়ানই ওকে শূন্যে ধরে ফেলে নিরাপদে মাটিয়ে নামিয়ে আনল।
সালমা চটপট দরজার ভারী খিলটা তুলে দিল। ওপাশ থেকে গাবু দুমদুম করে দরজায় কিল ঘুঁষি মারতে শুরু করেছে। এই দরজা বন্ধ করেছে কে? এই দরজা খোল।
সালমা ঘুরে মনোয়ারকে বলল, চল মনো, এবার থানায় যাই। পুলিশকে সব বলে আসি।
চল।
কুটুসও ওদের পিছনে ছুটল।
পিদিম ততক্ষনে রাব্বানীকে আগাগোড়া বেঁধে ফেলল। বেঁধে ফেলে তারপর গড়াতে লাগল ঝিলিমিলি নদীর পাড়ের দিকে। বিলাইমারির জঙ্গলের ধার দিয়ে ঝিলিমিলি নদীটা বেঁকে গেছে। পাড়টা এখানে অনেকই উঁচু। গড়াতে গড়াতে ধপাস করে নদীতে পড়ল পিদিম।
ওদের পিছন পিছন সবাই এসে দাঁড়াল পাড়ের কাছে। চিরি হাততালি দিয়ে বলল, বেশ হয়েছে। যেমন কর্ম তেমন ফল।
হ্যাঁ। শয়তানটার উচিত শাস্তিই হল। আইরিন বলল।
কটুস কয়েকবার লাফিয়ে নিল খুশিতে। লালসারিও খুশির চোটে চিনচিন করে উঠল। ভুতুমও ঘোৎ মতন একটা শব্দ করল আনন্দে।
রাব্বানী খাবি খাচ্ছিল ঝিলিমিলি নদীর জলে। আর চিৎকার করে বারবার বলছিল, আমায় ছেড়ে দে বাপ, আর বাপের জন্মেও এমুখো হব না ...ছেড়ে দে ... কথা দিচ্ছি ...
পিদিমের মায়া হল। সে বলল, সত্যি বলছ তো? আর এদিকে আসবে না?
না না বাপ। মরে গেলেও না। একটা পরির জন্য কেউ জান খোয়ায়?
আচ্ছা তোমায় তাহলে ছেড়ে দিচ্চি। বলে ও রাব্বানীকে ছেড়ে দিয়ে নদীর পাড়ে উঠল। ফরিদা ওর ওড়নাটা দিয়ে বলল, এটা দিয়ে মাথা মুছে নাও পিদিম ভাই, নইলে সর্দি লেগে যাবে।
দে। বলে পিদিম ফরিদার কাছ থেকে ওড়না নিল। এখন ভালো করে মাথা মোছাই ভালো। নইলে আবার যদি সর্দি বেধেঁ যায়।
রাকা জড়িয়ে ধরল পিদিমকে। পিদিম ওর নীল রঙের চুলের হাত বুলিয়ে দিল। কী রে রাকা, চুলে আজ শ্যাম্পু করিস নি কেমন চটচট করছে।
রাকা বলল, না। আজ সময় পায়নি । কাল করব।
তাই করিস।
আঁকা কাছে এসে বলল, আমায় তুমি বাঁচালে। তোমায় ধন্যবাদ পিদিম।
পিদিম হেসে বলল, বাহ্, আমায় একা ধন্যবাদ দিলে চলবে? সবাই মিলে যে তোমায় বাঁচাল, সবাইকে ধন্যবাদ দাও।
সবাইকে ধন্যবাদ।
চিরি হাততালি দিয়ে উঠল
গড়ানও দুবার মাথা নাড়ল।
একটু পর সালমা আর মনোয়ারদের আসতে দেখা গেল। সঙ্গে কুটুস।
পিদিম বলল, তোমরা কোথায় গিয়েছিলে?
থানায়।
থানায় কেন?
পুলিশকে খবর দিতে।
পুলিশকে খবর দিতে কেন?
আহা, তিতা আর কটূকে ধরতে, ওরা অন্যায় করল। ওদের ধরে শাস্তি দিতে হবে না?
ও। পিদিম এবার যেন বুঝল।
পুলিশ এসেছে? আফসানা জিগ্যেস করল।
সালমা বলল, না। দারোগা থানায় নেই। কোথায় গেছে কোন্ ডাকাত ধরতে। অন্য পুলিশরা সব এত রাতে ঘুমাচ্ছে। আমরা থানায় সব বলে এসেছি। পুলিশ বলেছে পরে মনে থাকলে এসে ধরবে।
রাকা বলল, আমাদের যাওয়ার সময় হল ভাই। আমাদের এখন যেতে হবে।
ফরিদা জিগ্যেস করল, তাহলে, আবার কবে আসবে?
আনিলা বলল, ভরা পূর্নিমায়। কাল থেকে কয়েকদিন আসা যাবে না। দেখছ না চাঁদের আলোয় টান পড়েছে কেমন।
সবাই আকাশে তাকিয়ে দেখল সত্যিই তাই।
সালমা কী ভেবে বলল, তাহলে তোমরা আবার এলে আমরা সবাই মিলে অশথ তলায় একটা পার্টি করব।
পার্টি! কী মজা! চিরি হাততালি দিয়ে উঠল।
পিদিম তিনবার শূন্যে ডিগবাজী খেল।
সবাই হেসে উঠল।
পরিরা আকাশে উড়ে গেল।

শেষ:)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:১৩
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×