ইতালির মানচিত্রে ফ্লোরেন্স শহরের অবস্থান । এ শহরেই মাইকেল এঞ্জেলো বেড়ে উঠেছিলেন। ফ্লোরেন্স ছিল আদি রেঁনেসা যুগের শিল্পসাহিতের রাজধানী। এ নগরেই জন্মেছিলেন মহাকবি কবি দান্তে (১২৬৫ -১৩২১) এবং বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী লিওনাদো দা ভিঞ্চি (১৪৫২ -১৫১৯)
ফ্লোরেন্স শহরের ৪০ মাইল পুবে কাপরেস গ্রাম । লডোভিকো বুনারোত্তি সেই কাপরেস গ্রামের সরকারি এজেন্ট । ১৪৭৫ খ্রিস্টাব্দের ৬ মার্চ। এক পুত্রসন্তানের জনক হলেন লডোভিকো বুনারোত্তি । ছেলের নাম রাখলেন মাইকেল এঞ্জেলো বুনারোত্তি। ছেলের বয়স এক মাসও হয়নি - লডোভিকো বুনারোত্তি সপরিবারে ফ্লোরেন্স ফিরে এলেন। শিশু এঞ্জেলোর মা (ফ্রানসেসকা নেরি) অসুস্থ। শিশু এঞ্জেলো কে দুধ খাওয়াল দাই মা। পরিবারটি পাথর কাটত। ঘরে হাতুরি ছেনি। শিশুটি ওসব নাড়ত, মন দিয়ে দেখত। তখন কে জানত শিশুটি পাথর চেঁছে তৈরি করবে জগদ্ববিখ্যাত সব ভাস্কর্য। যে কারণে কাপরেস গ্রামটির নাম বদলে রাখা হবে কাপরেস মাইকেল এঞ্জেলো।
মাইকেল এঞ্জেলোর ডেভিড (অংশ বিশেষ) । কে বিশ্বাস করবে নাক চোখ মুখ চুল সব নিরেট পাথর চেঁছে করা ...
শিশু এঞ্জেলোর মা মরল ৬ বছর বয়েসে। ... বিষাদক্লিস্ট ছেলে চকখড়ি দিয়ে ছবি আঁকে। মা হারা ভালোবাসা শূন্য জীবনে ছবি এঁকে আনন্দ পায় । বালক এঞ্জেলো ভীষণ সেনসেটিভ। কিছু জিজ্ঞেস করলে খেপে ওঠে। বালকের খিটখিটে মেজাজ পরবর্তী জীবনেও তীব্রতা বৃদ্ধি । আসলে মাকে হারিয়ে অভিমান ... প্রায় শেষ জীবনে মাকে অন্যভাবে ফিরে পেয়েছিলেন ... (সে কথা পরে বলব) যাক। লডোভিকো বুনারোত্তি ছেলেকে স্কুলে পাঠালেন। স্কুলে র শিক্ষক নাম ফ্রানসেসকো গালেওটা -লাতিন গ্রামার শেখান। এখানে বালক এক বন্ধু জুটল। সেই বন্ধুটি একদিন এঞ্জেলো কে বলল, এঞ্জেলো, তুমি তো খুব সুন্দর ছবি আঁকো। তুমি কি জান ফ্লোরেন্স নগরে ডোমেনিকো ঘিরলানডাইয়ো নামে চিত্রকর বাস করে। যারা ছবি আঁকা শিখতে চায়, তাদের সিনর ঘিরলানডাইয়ো ছবি আঁকা শেখান। এই বন্ধুটিই এঞ্জেলো কে বলেছিল চিত্রকরের জীবন বেছে নিতে। এঞ্জেলো উদ্বুদ্ধ হল।
লোরেনজো দ্য মেডিসি (১৪৪৯ ১৪৯২) ফ্লোরেন্স শহরের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এবং শাসক। উদার এবং শিল্পমনস্ক মানুষ ছিলেন লোরেনজো দ্য মেডিসি রেঁনেসা যুগের শিল্পী সাহিত্যিকদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন । এ জন্য তাঁকে বলা হত ‘লোরেনজো দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট।’ মাইকেল এঞ্জেলো ১৪৯০ থেকে ১৪৯২ - এই ২ বছর লোরেনজো দ্য মেডিসির প্রাসাদে থেকেছেন। ওই সময়টায় জীবন সম্বন্ধে কিশোর এঞ্জেলোর দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গিয়েছিল।
লডোভিকো বুনারোত্তি বাস্তববাদী মানুষ। ছেলেকে ব্যবসায়ী কিংবা ব্যাংকার হিসেবে গড়ে তুলতে চান। একরোখা উদ্ধত ছেলে
বাবাকে বলল, আমার এসব নীরস লাতিন গ্রামার ভালো লাগে না। আমি ছবি আঁকতে চাই । আমি ডোমেনিকো ঘিরলানডাইয়ো-এর আঁকার ইশকুলে যেতে চাই। লডোভিকো বুনারোত্তি নিশ্চয়ই ভীষণ শকড হয়েছিলেন। তবে মা হারা ছেলের পথে শক্ত প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন নি। কাজেই ১৩ বছর বয়েসে বালক এঞ্জেলোকে ডোমেনিকো ঘিরলানডাইয়ো-এর আঁকার স্কুলে যেতে দেখা গেল।
মহামহিম ঈশ্বর মাইকেল এঞ্জেলো কাজের ভিতর দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করবেন।
সেই জন্যই কি না এক অদ্ভূত এক ঘটনা ঘটল ...
তরুণ শিল্পীদের জন্য লোরেনজো দ্য মেডিসি ‘গার্ডেন অভ সান মারকো’ নামে একটি চারুকলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । লোরেনজো দ্য মেডিসি ডোমেনিকো ঘিরলানডাইয়ো কে অনুরোধ করলেন তাঁর প্রতিভাবান কোনও ছাত্রকে তাঁর কাছে পাঠাতে। ... এরপর কিশোর এঞ্জেলোকে মেডিসি পরিবারের সঙ্গে বসে খেতে দেখা গেল, থাকার ব্যবস্থাও মেডিসি প্রাসাদেই মহৎপ্রাণ লোরেনজো দ্য মেডিসি । মেডিসি প্রাসাদে রেঁনেসা যুগের শিল্পী দার্শনিক কবিদের ভিড় । তাদের কাছে সাহিত্য ও দর্শন সম্বন্ধে জানছে ততই বিস্মিত কিশোর এঞ্জেলো । নিয়মিত ‘গার্ডেন অভ সান মারকো’ যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বে ছিলেন ভাস্কর বারটোলডো দি গিওভান্নি । ইনি পঞ্চদশ শতকের মহান ভাস্কর ডোনাটেল্লোর গুরু ছিলেন। গিওভান্নির কাছেই প্রথম ভাস্কর্যশিল্প সম্বন্ধে সম্যক ধারণা হয়েছিল কিশোর এঞ্জেলোর। মানবশরীর অর্থাৎ এনাটমির জ্ঞানও সেই সময়েই হয়েছিল । মৃতদেহ কাটাছেঁড়া ষোড়শ শতকের ইতালিতে নিষিদ্ধ হলেও সৌভাগ্যক্রমে কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়েছিলেন তরুণ এঞ্জেলো ।
মেডিসি প্রাসাদের উঠান ( কোর্টইয়ার্ড )। জানালার নকশা করেছেন মাইকেল এঞ্জেলো।
১৪৯২ খ্রিস্টাব্দ। মহৎপ্রাণ লোরেনজো দ্য মেডিসির মারা যান। ফ্লোরেন্স নগরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অরাজক হয়ে ওঠে। লোরেনজো দ্য মেডিসি ছিলেন উদারপন্থী। এবার খ্রিস্টান মৌলবাদীরা ফ্লোরেন্স দখল করে নিল। খ্রিস্টীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যায় এমন সব সেকুলার আর্ট পুড়িয়ে ফেলার জন্য ঘরে ঘরে সৈন্য পাঠায়। মাইকেল এঞ্জেলো ফ্লোরেন্স ত্যাগ করে প্রথমে ভেনিস তারপর বোলোগনা হয়ে রোম পৌঁছলেন। মাইকেল এঞ্জেলো জাত শিল্পী । রোমের ধ্রুপদী সব ভাস্কর্য দেখে মুগ্ধ হলেন। তেমন কিছু একটা করার ইচ্ছে হল। সৌভাগ্যক্রমে কাজ পেলেন। ব্যাক্কাস ছিলেন প্রাচীন গ্রিসের মদের দেবতা। ১৪৮৭ খ্রিস্টাব্দে তারই একখানি প্রমাণসাইজের ভাস্কর্য নির্মাণ করে রোমের সবার দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হলেনন মাইকেল এঞ্জেলো । এটিই তাঁর প্রথম ভাস্কর্য।
ব্যাক্কাস। মার্বেল পাথরের ভাস্কর্য। সুরার দেবতা মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন । পাথর আবেগ ফোটানোর ব্যাপারে মাইকেল এঞ্জেলো ছিলেন তুলনারোহিত। এটি এখন রয়েছে ফ্লোরেন্সের বারগেলো আর্ট মিউজিয়ামে।
মা মেরি ক্রশ থেকে সদ্য নামানো যিশুর মৃতদেহটি নিয়ে বসে আছেন। এমন থিমকে বলা হয় Pietà. এই বিষয়টি ছবির চাইতে সাধারণত ভাস্কর্য ফুটিয়ে তোলা হত। মাইকেল এঞ্জেলো ১৪৯৭-১৫০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে একটি Pietà নির্মাণ করলেন। এটি তাঁর স্মরণীয় ভাস্কর্যের অন্যতম। এটি রয়েছে ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় ( ব্যাসিলিকা= সুবিধাপ্রপ্ত রোমান ক্যাথলিক গির্জে) ...
Pietà পাথর খুদে আবেগ ফোটানোর এ এক কালজয়ী নজীর। ভাস্কর্যটি গড়ে তোলার সময় শিল্পগুরু ওপর স্বয়ং ঈশ্বর ভর করেছিলেন। মা মেরির শান্ত মৌনতা যে কোনও ধর্মবর্ণের দর্শককে বেদনায় সিক্ত করে।
১৫০১ খ্রিস্টাব্দ। মাইকেল এঞ্জেলো ফ্লোরেন্স ফিরে এলেন। ততদিনে ফ্লোরেন্সে একটি প্রজাতন্ত্র গঠন করা হয়েছে। যা হোক। ততদিনে মাইকেল এঞ্জেলোর খ্যাতি ফ্লোরেন্স পৌঁছেছে। ওল্ড টেস্টামেন্টে ডেভিড (দায়ুদ নবী) এবং গোলিয়াথ কাহিনীটি রয়েছে। তরুণ ডেভিড (ভবিষ্যৎ ইজরাইলের রাজা) গুলতিতে পাথর ছুড়ে দৈত্য গোথিয়াথকে হত্যা করে হিব্রুভাষীদের রক্ষা করেছিলেন। ফ্লোরেন্স-এর গির্জে কর্তৃপক্ষ ডেভিড এর একটি যুদ্ধরত ভাস্কর্য নির্মাণ করানোর কথা ভাবছিল। কাজটি মাইকেল এঞ্জেলো কে দেওয়া হয়। মাইকেল এঞ্জেলো কঠিন কাজ পছন্দ করতেন । ফেলে দেওয়া বিশাল পাথর খন্ড খুদে খুদে ১৭ ফুট উঁচু ডেভিডকে গড়লেন। ১৫০১-১৫০৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কাজটি শেষ করেন মাইকেল এঞ্জেলো ।
ডেভিড। ধ্রুপদি শৈলি অনুযায়ী ভাস্কর্যটি নগ্ন । মনে রাখতে হবে মাইকেল এঞ্জেলোর সময়টা ছিল রেঁনেসার কাল । শিল্পীরা গ্রিক ও রোমের শিল্পের প্রতি আগ্রহী ছিল। গ্রিক ও রোমের ধ্রুপদি ভাস্কর্যগুলি নগ্নই ছিল। উপরোন্ত, মাইকেল এঞ্জেলো মনে করতেন:the male nude to be the foremost subject in art এবং তাঁর শিল্প কর্মে নগ্নপুরুষ বারবার ফিরে এসেছে। অনেক শিল্পসমালোচকের মতে মাইকেল এঞ্জেলো ডেভিড রূপে নিজেই গড়েছেন ...আসলে বড় মাপের শিল্পীদের পুরোটা বোঝা যায় না ...অনেক কিছু উহ্যই থেকে যায়। যা হোক। এই ভাস্কর্যটি রয়েছে ফ্লোরেন্সের গাল্লেরিয়া দেল আকাদেমিয়ায়।
১৫০৩ খ্রিস্টাব্দ। রোমে পোপ ২য় জুলিয়াস নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বৃদ্ধ হয়েছেন। নিজের একটি সমাধি সৌধ তৈরি করানোর কথা ভাবছিলেন। পোপ ২য় জুলিয়াস মাইকেল এঞ্জেলোর Pietà এবং ব্যাক্কাস দেখে মুগ্ধ। কাজেই মাইকেল এঞ্জেলো ডাক পেলেন। ১৫০৫ খ্রিস্টাব্দে সমাধি সৌধের কাজে হাত দেন মাইকেল এঞ্জেলো । অবশ্য ধারাবাহিকভাবে সমাধি সৌধ কাজ করতে পারেননি । মাঝখানে অন্য কাজও করতে হয়েছে। যে কারণে পোপ ২য় জুলিয়াস এর সমাধি সৌধ শেষ করতে ৪০ বছর লেগেছিল।
পোপ ২য় জুলিয়াস-এর সমাধি সৌধের অভ্যন্তরভাগ। এটি রোমের ভিনকোলির চার্চ অভ সেন্ট পিয়েটরো তে অবস্থিত। সমাধি সৌধের প্রধান বৈশিষ্ট্য মুসা নবীর ভাস্কর্য। মাইকেল এঞ্জেলো অবশ্য ভাস্কর্যটির ওপর পুরোপুরি সন্তুষ্ট হননি।
বলছিলাম পোপ ২য় জুলিয়াস-এর সমাধি সৌধের কাজ সমাপ্ত না হতেই মাইকেল এঞ্জেলো কে অন্য কাজও করতে হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সিস্তিন চ্যাপেলের ছাদে ফ্রেসকৌ । ফ্রেসকৌ হল: দেয়াল কিংবা ছাদের ভেজা পলেস্তরার ওপরে আঁকা চিত্র। মাইকেল এঞ্জেলো মূলত ভাস্কর। ফ্লোরেন্স নগরের চিত্রকর ডোমেনিকো ঘিরলানডাইয়োর আর্টের ইশকুলে কিছুদিন ছবি এঁকেছিলেন। তারপরও পোপ ২য় জুলিয়াস অন্য কাউকে সিস্তিন চ্যাপেলের ছাদে ফ্রেসকৌ আঁকতে দেবেন না-পাগলাটে ভাস্করের ওপর এমনই ভক্তি ! ১৫০৮ থেকে ১৫১২ খ্রিস্টাব্দ । এই চার বছরে কাজ শেষ করলেন । কথিত আছে পাগলাটে ভাস্করের নাকি ভারার ওপর চিৎ হয়ে শুয়ে আঁকতেন। আসলে তথ্যটি সঠিক নয়। বিশেষ ভাবে ভারা তৈরি করেছিলেন মাইকেল এঞ্জেলো, ভারাটি ছোট হলেও চিৎ হয়ে শুয়ে আঁকতে হয় নি।
রোমের সিস্তিন চ্যাপেলের ছাদ। ছবির বিষয় বাইবেলের কাহিনী ।ওল্ড টেস্টামেন্টের সৃষ্টিতত্ত্ব থেকে নুহ নবীর আমল। ছোট বড় ৩০০ চরিত্র রয়েছে। দ্বিমাত্রিক। সিস্তিন চ্যাপেলের ছাদ দৈর্ঘে ১৩১ ফুট এবং চওড়ায় ৪৩ ফুট । সব মিলিয়ে ৫,০০০ স্কোয়ার ফুট এঁকেছিলেন মাইকেল এঞ্জেলো ।
http://www.wga.hu/tours/sistina/
১৫১৩ খ্রিস্টাব্দে পোপ ২য় জুলিয়াস মারা গেলেন। দশম লিও পোপ নির্বাচিত হলেন। ইনি মেডিসি পরিবারের সন্তান । মাইকেল এঞ্জেলোর সঙ্গে কৈশরে পরিচয়। ফ্লোরেন্সের চার্চ অভ সান লোরেনজো তে মেডিসি পরিবারের সমাধি সৌধ ছিল। এটি ‘টুম অভ লোরেনজো দ্য মেডেসি’ নামে পরিচিত ছিল। দশম লিও পোপ মাইকেল এঞ্জেলো কে সমাধি সৌধে ভাস্কর্য নির্মানের অনুরোধ করেন। ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দে মাইকেল এঞ্জেলোর ‘টুম অভ লোরেনজো দ্য মেডেসি’-র কাজ শুরু করেন । অবশ্য একটানা কাজ করতে পারেনি। ১৫৩৪ খ্রিস্টাব্দে রোমে চলে যাওয়ার কারণে কাজটি আর শেষ হয়নি।
‘টুম অভ লোরেনজো দ্য মেডেসি’ তে লোরেনজো দ্য মেডেসি । একদিন এক অপরিচিত কিশোর কে ডেকে নিয়ে নিজ পরিবারের সদস্য করে নিয়েছিলেন । এত দিনে সেই কিশোরটির ঋণ শোধ করার সময় হল। অসাধারণ মানুষ ছিলেন ‘লোরেনজো দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট।’
সেই রেঁনেসার যুগের শিল্পীদের প্রধান পৃষ্টপোষক ছিলেন।
টুম অভ লোরেনজো দ্য মেডেসির আর ছবি
লরেন্সিয় গ্রন্থাগারটি ( Laurentian Library ) ফ্লোরেন্সের চার্চ অভ সান লোরেনজোর নিকটেই অবস্থিত । ১৫২৪ থেকে ১৫৩৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মাইকেল এঞ্জেলো গ্রন্থগারটির নকশা করেন। ভবনটির উদ্বেগ এবং আন্দোলন প্রকাশ করতে ডান কোণ এবং বাঁকের বদল ঘটিয়েছেন-উত্তল এবং অবতল রূপের মাধ্যমে ... আর এভাবেই ইউরোপের শিল্পগুরু সেই ষোড়শ শতকে Mannerist শিল্পের পথ খুলে দিয়েছিলেন। Mannerism সম্বন্ধে বলা হয় ...style in art and architecture of the 16th century, characterized by the distortion of elements such as proportion and space...

লরেন্সিয় লাইব্রেরি। ঢোকার সিঁড়ি। একালেও আমাদের বোধকে বিস্মিত করে দেয় ...
Click This Link
পরবর্তী অংশ দ্বিতীয় পর্বে ...
ছবি। ইন্টারনেট।
তথ্যসূত্র: পরবর্তী পর্বে ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




