মগধের অবস্থান ছিল বর্তমান বিহারে।
প্রাচীন ভারতবর্ষের মানচিত্রে মগধের অবস্থান। প্রাচীন বাংলার অবস্থান লক্ষ্য করুন।
মগধের প্রথম রাজধানী ছিল রাজগৃহ। পরে রাজধানী সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল গঙ্গা নদীর পাড়ে -পাটলিপুত্র। (লক্ষ্য করুন, বানান পাটালিপুত্র নয়। পাটলিপুত্র ছিল সম্রাট অশোকের রাজধানী। (এই কথাটা মনে রাখবেন। কেননা, পরবর্তীতে সম্রাট অশোকের কথা আসবে।) তো, সর্ব প্রথম মগধ শাসন করেছিল হর্যঙ্ক বংশের রাজারা। এই হর্যঙ্ক বংশের একজন বিখ্যাত শাসক ছিলেন সম্রাট বিম্বিসার। জীবনানন্দের “বনলতা সেন” কবিতার সেই চরণ মনে পড়ে কি?
বিম্বিসার-অশোকের ধূসর জগতে ...
হ্যাঁ। সেই বিম্বিসার। ইনি ছিলেন বুদ্ধের সমসাময়িক।সম্রাট বিম্বিসার বুদ্ধকে অত্যন্ত সমীহ করতেন। নিয়মিত ধ্যান করতেন, দান করতেন। সম্রাট বিম্বিসারের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজগৃহে তখন প্রাচীন ভারতীয় দার্শনিকদের নগর হয়ে ওঠেছিল- অনেকটা প্রাচীন গ্রিসের পেরিক্লিসের সময়কার এথেন্স নগরীর মতন। কাজেই বিম্বিসারকে প্রাচীন ভারতের পেরিক্লিস বলাই যায়।
বুদ্ধ যখন রাজগৃহে গিয়েছিলেন সে সময় বিম্বিসার নিজে বুদ্ধের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সম্রাট বিম্বিসার- এর উদারতা এবং নমনীয়তা লক্ষ করুন। (এই ছবিটি পরবর্তীকালের ভারতীয় শিল্পীর আাঁকা)
যা হোক। এই পোস্টের শিরোনাম আশ্রয়ী প্রাচীন বাংলা। প্রশ্ন উঠতেই পারে-মগধ, রাজগৃহ, বিম্বিসার-এসবের সঙ্গে প্রাচীন বাংলার মহত্বের কি সম্পর্ক। সম্পর্ক আছে। উদার রাজা বিম্বিসার পার্শ্ববর্তী একটি রাজ্য আক্রমন করেছিলেন। প্রাচীন সেই রাজ্যের কিছু সংখ্যক শরণার্থীর জন্য প্রাচীন বাংলা হয়ে উঠেছিল মানবিক। আশ্রয়ী।
এই হচ্ছে এই পোস্টের বক্তব্য।
কিন্তু, কি ভাবে সেই অসাধারণ ঘটনাটি ঘটেছিল?
তখন আমি ষোড়শ মহাজনপদের কথা বলেছি। তারই একটি ছিল অঙ্গ রাজ্য। রাজ্যটি ছিল মগধের পুবে। চম্পা নামে একটি নদী ছিল মগধ আর অঙ্গরাজ্যের মাঝখানে। অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ছিল চম্পানগরী। বিম্বিসার সেই অঙ্গরাজ্যের চম্পানগরী আক্রমন করেছিলেন।
এবার আমাদের চাকমাদের আদি ইতিহাস সম্বন্ধে কিছু কথা জানতে হবে। উল্লেখ্য, চাকমাদের আদি ইতিহাস সম্বন্ধে আমি জেনেছি আতিকুর রহমান রচিত গবেষণা কর্ম: পার্বত্য চট্টগ্রাম বইটি থেকে। (চট্টগ্রামের প্রবীণ গবেষক আতিকুর রহমান আমার গুরুস্থানীয়। কেননা, আদিবাসী নৃতত্ব্ সর্ম্পকে আতিকুর রহমান -এর গভীর জ্ঞান এবং সহৃদয়তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ) ...সে যাই হোক। চাকমা উপকথায় আছে, এককালে চম্পক নামে চাকমাদের এক নগর ছিল। সেই নগরের যুবরাজের নাম ছিল বিজয় গিরি। তার সেনাপতির নাম রাধামোহন।
বিজয় গিরি নাকি ২৬ হাজার সৈন্য নিয়ে অভিযানে বেরিয়েছিলেন। নদীপথে। কত দিন যে কাটল। কত কত জনপদ যে জয় করলেন বিজয় গিরি।একটি চাকমা গানে সে কথা রয়েছে-
তরকারী রেঁধে ভাত খেলে,
সমুদ্র সাগর লাগ পেলে।
সঙ্গে নিয়ে সৈন্যগণ,
রোয়ং কূলে পৌঁছে গেল রাধামোহন।
বিজয় গিরির অভিযাত্রা ছিল পুবমুখো। অর্থাৎ, প্রাচীন বঙ্গের দিকে।
কেননা, যাত্রাপথে পড়ল মেঘনা দয্যা (মেঘনা দরিয়া?), চাটিগাঙ (চট্টগ্রাম) ... তো, বিজয় গিরির সসৈন্য যাত্রা অব্যাহত রইল। চাকমা উপকথামতে বিজয় গিরির অভিযানের সময় কাল ছিল ১২ বছর।
গৌতম বুদ্ধ ওই পথেই ঠিক ওই সময়েই (কিছু আগে বা পরে ) আরাকানে গিয়েছিলেন। অহিংসার আলো ছড়াতে। হ্যাঁ। প্রাচীন বাংলার ওপর দিয়ে বর্তমান মায়ানমারে গিয়েছিলেন বুদ্ধ। (প্রথম মানচিত্রটি দেখুন) আরাকানের লোকজন বুদ্ধবাণীতে মুগ্ধ হয়েছিল ঠিক তবে আজ তারf সে বাণীর মহত্ব ভুলে গেছে!
সে যা হোক। ১২ বছর পর নাকি সেনাপতি রাধামোহন চম্পক নগরে ফিরে গিয়েছিলেন। পরে বিজয়গিরি শুনলেন যে তার ভাই চম্পক নগরের রাজা হয়েছে। বিজয় গিরি সংঘর্ষ এড়াতে চম্পক নগরের আর না ফিরে পুবের অরণ্যের দিকে যেতে থাকলেন। কোথায়? পার্বত্য চট্টগ্রাম? আরাকানে? তিনি তো মেঘনা দয্যা পার হয়েছেন; চাটিগাঙও পেরিয়ে গেছেন। তা হলে আরাকানই হবে। আতিকুর রহমানের গবেষণাও তাই বলে। তবে মনে হয় না সে সময়ের আরাকানের জীবন নিরাপদ ছিল। আরাকান ছিল মগদের রাজ্য (এরাইরাখাইন, আজকের বাংলাদেশে বলে মারমা।)।
দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্রে আরাকানের অবস্থান।
প্রাচীন কাল থেকে আরাকানীরা মগ নামে পরিচিত। তারা হয়তো নতুন হলুদাভ মঙ্গোলয়েড টিবিটো-বারমান ভাষী অভিবাসীদের তাদের অঞ্চলে গ্রহন করতে অনিচ্ছুক ছিল। তা ছাড়া ছিল বাঘের উৎপাত। গহীন অরণ্য। বাঘ তো থাকবেই।
একটি চাকমা গানে সে দুরাবস্থার কথাও আছে।
ঘরত গেলে মগে পায়
ঝারত গেলে বাঘে খায়,
মগে ন পেলে বাঘে পায়
বাঘে ন পেলে মগে পায়।
যা হোক। তখন বলছিলাম যে, বিম্বিসার অঙ্গরাজ্যের চম্পানগরী আক্রমন করেছিলেন। ইন্টারনেট বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া চাকমাদের আদি ইতিহাস সর্ম্পকে লিখেছে Ethnically, the Chakmas are Tibeto-Burman, and are thus closely related to tribes in the in the foothills of Himalayas. Their ancestors came from the Magadha Kingdom (now Bihar, India) to settle in Arakan and most of them later moved to Bangladesh known as Cox's Bazar, Korpos Mohol and Tega-Toyong-Borgang area of present Mizoram.তা হলে কি বলা যায় বিজয় গিরি ছিলেন অঙ্গ রাজ্যের চম্পা নগরীর রাজপুত্র? সম্রাট বিম্বিসার তাঁকে যে কোনও কারণে হত্যা না করে নির্বাসিত করেছিলেন।সম্রাট বিম্বিসার ইনি ছিলেন বুদ্ধের সমসাময়িক।সম্রাট বিম্বিসার বুদ্ধকে অত্যন্ত সমীহ করতেন। নিয়মিত ধ্যান করতেন, দান করতেন। সম্রাট বিম্বিসার মনে হয় অহেতুক হত্যা পছন্দ করতেন না। কিন্তু, বিজয় গিরির কি হল?
সেসব কথাই তো এতক্ষণ বললাম। সসৈন্য পূর্বমুখী অগ্রসর হয়ে মগরাজ্য আরাকান অবধি এসেছিলেন বিজয়গিরি। সেখানেই কি কোনও নগর গড়ে তুলেছিলেন? যা আজও আবিস্কার হয়নি?
চাকমারা চম্পক নামে এক নগরীর কথা বলে। সুখস্বপ্ন দিয়ে ঘেরা সেই নগরী। চাকমা জাতির নিজস্ব নগর। চাকমারা ওখানেই ফিরতে চায়। কেননা ওখানেই উত্থান হয়েছিল ওদের।
রাজপুত্র বিজয় গিরির সময়ে আরাকানের গহীন অরণ্যে গড়ে ওঠা নগরীই কি চম্পক নগরী?
নাকি বিম্বিসার যে অঙ্গরাজ্যের চম্পানগরী আক্রমন করেছিলেন সেটি?
আমি বলছি না যে চাকমামানসে যে চম্পক নগরী রয়ে গেছে সেটিই অঙ্গরাজ্যের চম্পানগরী। না, এমন আমি বলছি না। কেননা, ইতিহাস ভীষন ধূসর। ইতিহাস অনেক অনেক দিন আগে দেখা একটি স্বপ্নের মতন। তারপরও একটা ছবি আঁকলাম; ...
যে ছবিতে প্রাচীন বাংলা তার আশ্রয়ী ভূমিকায় স্থির ...কেননা, প্রাচীন বাংলাই তো রাজপুত্র বিজয় গিরির পূর্বমুখি অভিবাসনের (মাইগ্রেশন?) নিরাপাদ আশ্রয় হয়েছিল। চাকমাদের উপকথা বিশ্লেষন করে বলা যায় না কি যে সম্রাট বিম্বিসার এর সময়ে প্রাচীন বাংলা অঙ্গরাজ্যের শরনার্থীদের জন্য হয়ে উঠেছিল আশ্রয়ী?বলা তো যায়।
এবার সম্রাট বিম্বিসার থেকে সম্রাট অশোক।
সম্রাট অশোকের সময়ও বাংলা শরনার্থীদের জন্য হয়ে উঠেছিল আশ্রয়ী। তবে এবারের শরনার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি।
ব্যাখা করি।
সম্রাট অশোকের সময়কাল ছিল ৩০৪/২৩২ খ্রিস্টপূর্ব। ইনি ছিলেন মগধের মৌর্যবংশের শাসক। সম্রাট বিম্বিসার যেমন ছিলেন মগধের হর্যঙ্ক বংশের নৃপতি । এর বাবার নাম সম্রাট বিন্দুসার; দাদার নাম সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। ইনি সম্রাট আলেকজান্দারের সমসাময়িক। তো, সম্রাট অশোকের রাজধানী ছিল মগধের উত্তরে গঙ্গা নদীর ধার ঘেঁষে পাটলিপুত্র নগরে।
পাটলিপুত্র। মনে থাকার কথা মগধের প্রথম রাজধানী ছিল রাজগৃহ। পরে রাজধানী সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল গঙ্গা নদীর পাড়ে।
রাজাগজাদের সিংহাসনে বসে যুদ্ধ করতে হয়। সম্রাট অশোকও একটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। নানা কারণে সেই যুদ্ধটি ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছে। যুদ্ধের নাম, আমরা অনেকেই জানি, কলিঙ্গযুদ্ধ। কলিঙ্গ রাজ্যটি ছিল বর্তমান উড়িষ্যায় ।দাপট দেখাতেই সম্ভবত সম্রাট অশোক সেই কলিঙ্গরাজ্য আক্রমন করে বসেন। সময়টা-২৬২/২৬১ খ্রিস্টপূর্ব। এই যুদ্ধের বিভৎসতা দেখে সম্রাট অশোক যুদ্ধবিগ্রহ পরিহার করে করেছিলেন। বুদ্ধের অহিংস নীতি গ্রহন করেছিলেন-এই পোস্টের বক্তব্য তা নয়।
উড়িষ্যার মানচিত্র। উইকিপিডিয়ায় লিখেছে Orissa is a state of India, located on the east coast of India, by the Bay of Bengal. লক্ষ্য করুন, উড়িষ্যার উত্তরেই প্রাচীন বাংলা ( বাংলাদেশ!)
এবার সম্রাট অশোকের দাদা সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যর আমলের এক বুদ্ধিমান লোকের কথা বলব। সেই লোকের নাম ছিল- চাণক্য। চাণক্য ছিলেন সম্রাট অশোকের দাদা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যর উপদেস্টা। খুব বেশি নৈতিকতার ওপর জোর দেননি চাণক্য। বলেছেন: খাড়া গাছ আর ভালো মানুষ ধরাশায়ী হয় আগে। রাষ্ট্রপরিচালনায় তাঁর কুটিল নীতির জন্য তার নাম হয়েছিল কৌটিল্য (Kautilya)। প্রাচীন ঋষিদের তুলনায় চাণক্যের এখানেই ফারাক। ছিলেন বাস্তববাদী। তবে আধ্যাত্মিকতাকে অস্বীকার করেননি। বলেছেন-“The happiness and peace attained by those satisfied by the nectar of spiritual tranquillity is not attained by greedy persons restlessly moving here and there.”কামশাস্ত্রের রচয়িতা যে বাৎসায়ন-তার সঙ্গে অনেকেই চাণক্যর সঙ্গে অভিন্ন মনে করেন। চাণক্যর অন্যনাম বিষ্ণুগুপ্ত।
চাণক্য।মুখচোখে খল ধূর্ততা ফুটে উঠেছে ঠিকই।
কিন্তু কলিঙ্গ যুদ্ধে সঙ্গে চাণ্যকর কথা কেন? প্রাচীন বাংলার আশ্রয়ী মানবিক ভূমিকার কথাই -বা কেন আসছে? আসছে এই কারণে যে -চাণক্য ১৫ পর্বের রাষ্ট্রনীতি নিয়ে গ্রন্থ লিখেছিলেন। সেই গ্রন্থের নাম: অর্থশাস্ত্র। অর্থশাস্ত্রের অধ্যায়গুলি হল-
* I Concerning Discipline
* II The Duties of Government Superintendents
* III Concerning Law
* IV The Removal of Thorns
* V The Conduct of Courtiers
* VI The Source of Sovereign States
* VII The End of the Six-Fold Policy
* VIII Concerning Vices and Calamities
* IX The Work of an Invader
* X Relating to War
* XI The Conduct of Corporations
* XII Concerning a Powerful Enemy
* XIII Strategic Means to Capture a Fortress
* XIV Secret Means
* XV The Plan of a Treatise
সেকালে প্রশ্ন উঠেছিল যে-যুদ্ধবন্দিদের নিয়ে কি করা হবে। তো, চাণক্যের নির্দেশ ছিল- যুদ্ধবন্দিদের আপন রাজ্য থেকে উৎখাত করা।এই উৎখাতের একটা সংস্কৃত শব্দ আছে। এই মুহূর্তে আমার মনে পড়ছে না। যা হোক। এই উৎখাতে পিছনে চাণ্যকের নিজস্ব যুক্তি ছিল। সম্রাট অশোক কলিঙ্গবাসীকে উৎখাত করেছিলেন। ঐতিহাসিকদের মতে, কলিঙ্গবাসী উত্তরের পথ ধরে প্রাচীন বাংলায় এসেছিল। তার মানে প্রাচীন বাংলা তাদের আশ্রয় দিয়েছিল। ঐতিহাসিক গবেষনায় এ তথ্য উঠে এসেছে। (এই ঘটনার সূত্র উল্লেখ করতে পারছি না বলে দুঃখিত। বছর কয়েক আগে কলকাতা থেকে প্রকাশিত একটি সাহিত্য পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি নিবদ্ধ পড়েছিলাম )
সূত্র মনে নেই ঠিকই। তবে মনে আছে, প্রাচীন উড়িষ্যার (অর্থাৎ কলিঙ্গরাজ্যের ) অনেক শব্দ বাংলায় অর্ন্তভূক্ত হয়েছে। তার একটি হল "খালি"। তো, খালি মানে কি? খালি মানে ১. (সাগরসংগমের নিকটবর্তী) সরু শাখানদী;২. নদীর মোহানা; ৩. সাগর নদী খাল প্রভৃতির সংকীর্ণ অংশ। দেখুন,
Click This Link আর মনে করুন, নোয়াখালি কোন্ নদীর তীরে বা কোন্ মোহনায় অবস্থিত?
নোয়াখালি এবং মহেশখালি শব্দের খালি মানে খাঁড়ি। প্রাচীন কলিঙ্গবাসীর ব্যবহৃত শব্দটি আজও বাংলাদেশে টিকে আছে।
সম্রাট অশোকের সময়ও বাংলা শরনার্থীদের জন্য হয়ে উঠেছিল আশ্রয়ী। তবে এবারের শরনার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি।তবে সেকালে বর্ডারে কড়াকড়ি ছিল না, ছিল না জনসংখ্যার আধিক্য।বাংলা/বাংলাদেশকে আমরা বলি মাতৃতান্ত্রিক বাংলা। যিনি আশ্রয় দেন তিনিই তো মা।
ছবি। ইন্টারনেট।
তথ্যসূত্র:
আতিকুর রহমান রচিত গবেষণা কর্ম: পার্বত্য চট্টগ্রাম
উইকিপিপিয়া।
এবং অন্যান্য সূত্র।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১২ সকাল ৭:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




