বাংলাদেশের জম্ম যদিও ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে জম্ম হয়েছিল, বাস্তবে এখন আর নেই।এরশাদ সরকার উনার বাবার সম্পত্তির মতই একে মুসলিম দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন। এর জন্য তিনি নেননি কোন জনসাধারণের মতামত। সাথে সাথেই বাংলাদেশের কপালে আরেকবার কালিমা লেপন করা হলো। পর্যায়ক্রমিকভাবে সময় এগিয়ে গেলেও অসভ্যতার মায়াজাল আরো ঘনীভূত হয় বাংলাদেশে।
২০০১ এর উপাত্ত অনুসারে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৯ শতাংশ ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্নী। মোট জনসংখ্যার মাত্র নয় শতাংশ মানুষ যদি আঃ লীগে ভোটও দেয়, তাহলে কোন ভাবেই আঃ লীগ জয়ী হতে পারেনা। এর মানে, এই হলো বাংলাদেশ সরকার গঠনে আঃ লীগকে ভোট সংখ্যা গরিষ্ঠতায় আংশিক বা পূর্ণাংগভাবে জয়ী হতে হলে, অবশ্যই অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরও সহযোগী থাকতেই হবে।
কিন্তু, দূর্ভাগ্য হলেও সত্যি, ২০০১ সালে সবচেয়ে বেশি হেনস্থা হতে হয়েছিল একদল মানুষদের যাদের ধর্ম ছিল হিন্দু। হত্যা, সম্পত্তি লুন্ঠন, অকথিত অত্যাচার ও গণধর্ষনের মতো বেশ ভয়াবহ অপরাধ উঠে আসে কোন এক দল রাজনৈতিক দলগোষ্ঠির কর্মীদের সাহায্যে। তাদের অপরাধ, তারা মালাউন। তারা আঃ লীগের ভোট ব্যাংক। ভোট যদি নাগরিক মৌলিক অধিকার হয়, তবে আঃ লীগকে ভোট দেওয়াও কোন অপরাধ নয়। তবে, এর শাস্তি হিন্দুসহ সমস্ত সংখ্যালঘুদের কেন দিতে হবে? মানবতা বিরোধী এই অসুস্থ মানসিকতার আসল হোতা কারা? তাদেরই বা কেন বিচার হলো না? আপনার বা আমার কারো কিছু হয় নি বলে মুখে কলুপ এটে কতক্ষণ?
বিস্তারিত
বাংলাদেশের যেকোন রাজনৈতিক দল সংখ্যালঘুদের ও তাদের স্বার্থ সংক্রান্ত মুখ ভরা বুলি থাকলেও বাস্তবে তার কোন প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায় না। শুধু সংখ্যালঘু কেন, কতো সাধারণ মানুষ হেনস্তা হয়েছেন। অনেকেই বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যা লঘুদের জামাই আদরে রাখা হয়েছে। আমি শুনি আর হাসি। সরকারী বড় কোন পোস্টে কতজন সংখ্যালঘু রয়েছে, বলুন তো? দেখাতে পারবেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সংখ্যালঘু কি কখনো প্রধান মন্ত্রী হয়েছেন, বা প্রেসিডেন্ট বা স্পিকার?
আমাদের নিজেদের ভাগ্যকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। বাংলাদেশে এখনো সংখ্যালঘু ভিত্তিক কোন উগ্র সম্প্রদায়ের উথ্থান ঘটেনি। ভুলে গেলে চলবে না, সময়ের সাথে সাথে অত্যাচারিত মানুষদের ভাষা প্রতিবাদ কঠোর হয়ে আসে। ভৌগলিক দিক থেকে বিবেচনা করলে বাংলাদেশের প্রায় সব অংশই ভারত দ্বারা পরিবেষ্টিত। নিজামীর ভাষায়, "বাংলাদেশ ভারতের তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্ত চলেছে"। সঠিকভাবে নির্বাচনপূর্ব ও পরবর্তি সময়গুলো সংখ্যালঘু ও সবার মানবাধিকার সঠিকভাবে পালন না করলে, আমাদের অনেক বেশি মূল্য দিতে হতে পারে।
একগাদা মানুষের অভিশাপ হাহাকার হয়ে পিছু লাগবে। শুধুমাত্র নির্বাচনপূর্ব ও পরবর্তি নয়, সব সময়ের জন্য সংখ্যালঘু নির্যাতন কঠোরভাবে বন্ধ করা হোক।
আলোচিত ব্লগ
সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?
যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।
নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন
আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত
বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!
কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে
সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে
আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?
এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন