১. অনেক আগে হুমায়ুন আহমেদের একটা গল্প কিংবা উপন্যাসে একটা জায়গায় ছিল এরকম - জনৈক ব্যক্তি কারো দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুপথযাত্রী। পুলিশ এলো। তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় জিজ্ঞেস করলো, কে মেরেছে। লোকটি কয়েকজনের নাম বললো। পুলিশ চলে যাওয়ার পর লোকটির কাছে এসে তার আত্মীয় বললো, ওরা তো মারেনি, ওদের নাম কেন বললে? লোকটি জবাব দেয়, ওরাও তো আমার শত্রু, এক চান্সে ৪ জনরে ফাঁসাই দিলাম। লোকটির মৃত্যু হলো।
২. আবদুল গাফফার চৌধুরী বাংলাদেশে কলামিস্টদের মধ্যে এক পরিচিত নাম। তিনি মূলত আওয়ামী লীগের সমর্থনেই লিখতেন। ২০০১ এর পর একটা পুরো সিরিজ তিনি ব্যয় করেছিলেন শুধু প্রমাণ করার জন্য বি এন পি জালিয়াতি করে ক্ষমতায় এসেছিল। ’আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানটি লেখার জন্য উনি সবসময় শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। কিন্তু কলামের মাধ্যমে একচোখা আওয়ামী সাপোর্ট করতেন বলে পরবর্তীতে জনপ্রিয়তা নেমে আসে। এক সময় উনার দীর্ঘদিনে সাথী ‘প্রথম আলো’ও উনাকে ত্যাগ করে। যাই হোক, উনার ব্যপারে উনার মত বিরোধী কলামিস্টরা প্রায়ই একটা কথা বলতেন, উনার লেখাতে ১০ জনের নাম থাকলে সেখানে ৮ জনই থাকেন মৃত। আর বেঁচে থাকা ২ জন প্রতিবাদ করতেন লেখা প্রকাশের পর! তাই কারো সাথে ক্রস চেক করা যেত না!
৩. গত দুই দিন এমন একটা বিষয় নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, যেখানে যাদের ব্যপারে বলা হয়েছে তারা এখন মৃত। তাই এখন আর তারা কী বলেছিল কেউই জানবে না কোনদিন। কিন্তু একটা পক্ষ তাদের মৃত্যুর সুযোগে যতটুকু পারছেন ফায়দা নিচ্ছেন।