
১. জনপ্রিয় 'হোমল্যান্ড' সিরিজের প্রথম পর্বে দেখা যায় নিকোলাস ব্রোডি নামক জনৈক আমেরিকান সৈন্য ইরাকে যুদ্ধ করতে গিয়ে ইরাকীদের পক্ষাবলম্বন করে। প্রথম দিকে জানা যায় না এটার মূল কারণ (বর্তমানের জনপ্রিয় শব্দ ব্রেইন ওয়াশ)। পরে আমরা দেখি ইরাকে আহত ও বন্দী অবস্থায় যার বাসায়(আবু নাজির) ব্রোডি ছিল সেই বাসায় একবার আমেরিকান সৈন্যরা বিমান হামলা করে। যার ফলে আবু নাজিরের বাচ্চা ছেলে ঈসা মারা যায়। ঈসা ছিল ব্রোডির কাছে খুবই আদরের। ঈসার মৃত্যু ব্রোডির মনে রেখাপাত করে। সে বুঝতে পারে কেন ইরাকীরা আমেরিকানদের দেখতে পারে না। ধীরে ধীরে আবু নাজিরের অনুপ্রেরণায় সে মুসলিম হয় এবং আবু নাজিরের নির্দেশে আমেরিকাতে গিয়ে সুইসাইড বোম্বিং এর প্ল্যান করে।
২. নির্বাস নাকি শ্রদ্ধা কাপুরের ভক্ত ছিল। পড়তো নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার ছবি ও লাইফ স্টাইল দেখে বোঝা যায় খুবই আধুনিক মনস্ক ছিল সে। কিন্তু বাংলাদেশে ইসলামের কী এমন ঘটে গেল যে তাকে ইসলামিক জঙ্গি হতে হবে তা এখনো রহস্য। আবার তাহমিদ নাকি ক্লোজআপ ওয়ানের টপ ১৫ তে ছিল। সেও আধুনিক জীবন ধারাতেই ছিল। রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে পি এইচ ডি করতে গিয়েছিল। সে এখনও জীবিত আছে। তবে তার পূর্ণ সমর্থন আছে গুলশান হামলায় এবং সে এরকম আরো হামলা করতে চায়।
৩. বর্তমান সরকার আসার পর ইসলামের ক্ষতি অনেক করেছে। সেসব বিষয়ে যাচ্ছি না। তবে এতটা ক্ষতি হয়নি যে, তার জন্য বাংলাদেশে ইসলামের জন্য যুদ্ধ করতে হবে। তর্কের খাতিরে ধরে নিলে, সেজন্য সরকারের উপর আক্রমণকে তাদের কাছে সমীচীন বলে মনে হতে পারে। কিন্তু তাই বলে বিদেশীদের কেন? তারা ইসলামের আবার কী ক্ষতি করলো?
৪. বাংলাদেশকে মডারেট মুসলিম দেশ ধরা হয়। গুটিকয়েক মুক্তমনা, নাস্তিক ছাড়া সবাই মোটামুটি ধার্মিক। এখানে কীভাবে এই ছেলেগুলোর ব্রেইন ওয়াশ হয়েছে সেটা নিয়ে গবেষণা করা উচিত। আমার মনে হয় তাদের কোন ড্রাগ দিয়ে পরিবর্তন করা হয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞান অনেক কিছুই করতে পারে। যে দেশে প্রতিটা মার্কেটে নামাজের জায়গা, যে দেশে প্রতিটা বাণিজ্যিক ভবনে নামাজের জায়গা, যে দেশে ধর্ম পালনে কোন রকম বাধা(দাড়ি, হিজাব) নেই সেই দেশের ছেলেরা ৩/৪ মাসে ব্রেইন ওয়াশ হওয়ার পেছনে কোন ওষুধের বা কেমিক্যালের হাত আছে বলে মনে হয়...
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




