১. একবার গণপূর্ত মন্ত্রী থাকার সময় মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, বরাদ্দ দিলেও আমরা নিয়মের মধ্যেই দিব( কোন এক প্লট প্রকল্পে নিজের লোকদের বরাদ্দ দেয়া সম্পর্কিত অভিযোগের ব্যপারে বলেছিলেন)। অর্থাৎ অনিয়ম করলেও সেটা নিয়মের মধ্যেই অনিয়ম হবে! ঠিক যেমন সাংবিধানিক ভাবে খালেদা জিয়ার ২য় বার প্রধানমন্ত্রী হওয়া অথবা সর্বশেষ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংবিধানিক ভাবে শেখ হাসিনার ৩য় বার নির্বাচিত হওয়া। শেয়ার মার্কেটে তো সব নিয়ম মেনেই উত্থান পতন করানো হয়।
২. বেশীরভাগ বুদ্ধিজীবি বলে থাকেন আমাদের দেশে চলছে গণতান্ত্রিক রাজতন্ত্র। লোক দেখানো যদি ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ, বি এন পিতে নেতা নির্বাচিত হত তাও মনকে সান্ত্বনা দেয়া যেত। কিন্তু সভাপতি থেকে শুরু করে সব কিছুই হয় রাজতন্ত্রের মত রাজার ইচ্ছাতে। এক সময় ছিল নেতার মৃত্যুতে সেই আসনের সিট পাওয়ার জন্য স্ত্রী বা সন্তানকে নিয়ে আসা যাতে সেন্টিমেন্ট কাজে লাগিয়ে আসন ধরে রাখা যায়। ঐ সময় নেতা কর্মীরা এসব মেনে নিত। কিন্তু এখন নেতা জীবিত থাকা অবস্থাতেই তার উত্তরাধিকার রেখে যাচ্ছেন। এটা খুবই খারাপ গণতন্ত্রের জন্য।
৩. একজন রাজনৈতিক কর্মীর আশা থাকে ধাপে ধাপে সে সুস্থ রাজনীতি করবে। কিন্তু এভাবে হঠাৎ করে বয়স্ক নেতার ছেলে কিংবা মেয়ে এসে তাদের উপরে বসিয়ে দিলে সৎ কর্মী দিন দিন কমে যাবে। এসব রাজপুত্রদের আবার চামচার অভাব হয় না। তাই কোন বিবেকবান কর্মী যদি কোন প্রতিবাদ করে তাহলে তাকে নগদেই তার দাম দিতে হয়।
৪. আমাদের দেশে ব্যক্তি দেখে ভোট হয় না। হয় মার্কা দেখে। তাই কোন ব্যক্তির সন্তানকে রাজনীতি আনার আগে হাসিনা খালেদার উচিত নেতা কর্মীদের মন বুঝা। ঐ সন্তানকে সুযোগ না দিয়ে কোন ত্যাগী নেতা কর্মীকে সুযোগ দিলে অন্যরা উৎসাহিত হবে। এভাবে গণতন্ত্রের নামে রাজতন্ত্র চলতে থাকলে কোন এক সময় বিশৃঙ্খলা শুরু হবে।
ছবি - চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে
ঢাকার বি এন পি নেতা আবদুল আওয়াল মিন্টুর ছেলে
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২২