১. জিয়াউর রহমান যতদিন ক্ষমতায় ছিলেন ততদিন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোন বাজে মন্তব্য করেছিলেন কিনা আমরা জানতে পাইনা। টক শো কিংবা জনকন্ঠে আমরা এসব পাইনা। তিনি সামরিক সরকার হয়েও 'যার পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন' তাকে নিয়ে কটুক্তি করেননি। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর সমসাময়িক আওয়ামী লীগ ও জাসদের অনেক নেতা প্রকাশ্যে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছিলেন। যেমন - আওয়ামী লীগের মালেক উকিল বলেছিলেন, ফেরাউনের শাসনের পতন হয়েছে। কর্ণেল তাহের বলেছিলেন, শেখ মুজিবের লাশ সমুদ্রে ফেলে দেয়া উচিত ছিল। বঙ্গবন্ধুকে খারাপ করার জন্য তখনকার রাজনীতিকরা অনেক সময় ব্যয় করেছিলেন। মতিয়া চৌধুরী, ইনু'রাও অনেক কটু বক্তব্য দিয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে।
২. আওয়ামীলীগারদের পক্ষ থেকে জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো করা হয় সাধারণত -
ক. জিয়া বঙ্গবন্ধুর উপর নাখোশ ছিলেন কারণ তাকে সেনাপ্রধান করা হয়নি।
খ. জিয়া জানতেন বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অভ্যূত্থান হবে তবু তিনি বাধা দেননি।
গ. জিয়া বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর খবর শুনে বলেছিনে, সো হোয়াট? আপহোল্ড দি কনস্টিটিউশান।
ঘ. জিয়া বঙ্গবন্ধুর কয়েকজন খুনীকে পুনর্বাসন করেছিলেন।
৩. জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় গিয়ে যেসব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা নিয়ে আলাদা চর্চা হবে। তবে এই পোস্টের মূল কথা হলো, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালীন মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান কে অসম্মান করেননি। তাই তার দল বি এন পি'র উচিত ১৫ ই আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন(সত্য হলেও) পালন না করা। খালেদা জিয়া যদি মৃত্যুর আগে এইটা বন্ধ করেন এই বলে যে, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জন্মদিন আর এই দিনে পালন করবো না তাহলে অনেক ভালোর দিকে যাবে দেশের রাজনীতি।
পুনঃশ্চ - ১৫ ই আগস্ট যাদের জন্মদিন তারা জন্মদিন পালন করতেই পারে। তবে যেহেতু এই দিনে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন দৃষ্টিকটু ও বিতর্কিত তাই এটা বন্ধ হওয়া উচিত...
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩