১. সেই কিশোর বেলা থেকে বাসায় বিনোদন ম্যাগাজিন বা পত্রিকার বিনোদন অংশে সমকালীন দেশী/বিদেশী(ভারতীয়) নায়িকাদের একটা কমন প্রশ্নের কমন উত্তর পড়তাম। প্রশ্নটা করা হয় অন্তরঙ্গ দৃশ্য আর খোলামেলা পোশাক নিয়ে। আর উত্তরে সবাই বলে, চরিত্রের প্রয়োজনে সব করতে রাজি! আজ পর্যন্ত কোন নায়ককে প্রশ্নটা করা হয়নি। মানে নায়কের জন্য তো কোন ব্যপারই না(!) তবে নায়িকার জন্য 'ঐসব' দৃশ্য ও পোশাকে রাজি করানোটা সবসময়ই জটিল। যদিও আমাদের ও তেনাদের নায়িকারা 'নাচতে এসে ঘোমটা দেয়া'র পক্ষপাতী নন। তাই সবাই পরিচালকের নির্দেশে অভিনয় করেন নিজ নিজ 'সাহস' দেখিয়ে...
২. তবে 'চরিত্রের প্রয়োজনে' কথাটা যে একদম গাঁজাখুরি- সেটা সবাই জানে। কী ধরনের চরিত্রের জন্য অশ্লীল(তেনাদের ভাষায় চরিত্রের প্রয়োজনে) দৃশ্যের প্রয়োজন হয়? আমরা কী জানিনা বিপরীত লিঙ্গের সহাবস্থানে কী হয়? এটা চরিত্রের প্রয়োজন তো না-ই বরং সম্পূর্ণ দর্শক টানার ধান্দা। একটা সময় দরজা বন্ধ ও লাইট নেভানো কিংবা দু'টি ফুলের স্পর্শ দিয়ে আমরা সব বুঝতাম। কিন্তু আমাদের এখন চরিত্রের প্রয়োজনে আরো অনেক দূর পর্যন্ত বোঝানো হয়। এমনকি 'শব্দ' প্রকৌশলীরাও অনেক কাজ করে আওয়াজ নিয়ে(টেকনিক্যালি স্পিকিং)! তো, চূড়ান্ত দৃশ্যগুলো(টেকনিক্যালি স্পিকিং)-ও দেখানো উচিত। কারণ, কেউ তো আধা আধি অবদি যায় না। আফটার অল, 'চরিত্রের প্রয়োজনে' বলে কথা! তখন আবার কোন ধরনের ব্যক্তিত্ব বা বিবেক তেনাদের 'চূড়ান্ত কর্ম' দেখাতে বা করতে বাধা দেয়?
৩. 'চরিত্রের প্রয়োজনে' যদি মানতেই হয় তাহলে সব পরিচালকের হিন্দী 'পিংক' ছবিটা দেখা উচিত। ছবিটা ছিল একটা মেয়ের শ্লীলতাহানির পর করা মামলা নিয়ে। এমন বিষয়ের ছবি অথচ কোন ধর্ষণের দৃশ্য ছিল না ছবিটিতে। ছবির মাঝামাঝি দ্বিতীয়বারের মত মেয়েটি গাড়ীতে শ্লীলতাহানির শিকার হয়। সেখানেও পরিচালক না দেখিয়েছে শরীরের কোন বিশেষ অঙ্গ না কোন মুখের বাজে এক্সপ্রেশন। অথচ দর্শকের বুঝতে কোন সমস্যাই হয়নি। আর প্রথমবারের যে শ্লীলতাহানি(যেটা নিয়ে মূল কাহিনী) সেটাও দেখানো হয়েছে একদম শেষে নাম উঠার সময় স্টিল পিক আর স্যাডো এফেক্ট দিয়ে। অসাধারণ উপস্থাপন। একেই বলে 'চরিত্রের প্রয়োজনে' বাকী সব ভাঁওতাবাজি...
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯