১. আগেই বলেছি বর্তমান অবস্থায় ও ব্যবস্থায় আওয়ামী লীগকে আর হারানো যাবে না। দুইটা পথ আছে। এক হল, উনি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দিবেন অথবা 'উনারা' কিছু একটা করবে। দুইটার কোনটারই সম্ভাবনা নেই আপাতত...
২. বর্তমান অবস্থায়ও আওয়ামীলীগকে হারানোর একটা উপায় আমার উর্বর মস্তিস্কে কিছুদিন ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে। সেটা হল মাহাতির স্টাইল। মাহাতির মোহাম্মদ যেমন নিজ দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে দীর্ঘদিনের ক্ষমতাসীন সরকারকে পরাজিত করেছে, সেরকম কিছু একটা করতে হবে। একবার জোয়ার চলে আসলে তাকে ঠেকানোর সাধ্য শেখ হাসিনার নেই। আপনারা হয়তো এখন মাহাতিরের জায়গায় কামাল হোসেন, বি চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকীদের কল্পনা করছেন। জ্বি না। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার সমপর্যায়ে কোন নেতা বাংলাদেশে নেই। তবে হ্যাঁ, একজনকে কি মিস করছেন? ঠিকই ধরেছেন আমি বাংলাদেশের সর্বশেষ জীবিত 'পুরুষ' হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের কথাই বলছি। হাসিনাকে হারাতে পারলে একমাত্র তিনিই পারবেন। কীভাবে? পড়তে থাকুন...
ক. খালেদা জিয়াকে অবসর নিতে হবে। কোন এক বুড়া কলাগাছকে বিএনপি প্রধান বানাতে হবে। তারেক রহমানকে নয়।
খ. এরশাদকে সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রধান নেতা ও জিতলে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিতে হবে। বিরোধী দলের সবাইকে 'ধানের শীষ' প্রতীকে ভোট করতে হবে।
গ. জনপ্রিয়তা ও চরিত্রের ভিত্তিতে সব আসনে প্রার্থী ঠিক করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বি এন পি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত সবাইকেই ছাড় দিতে হবে(যেহেতু তেনাদের লক্ষ্য শেখ হাসিনার পরাজয়)। দরকার হলে সব দলের সদস্যরাই গোপন ভোটে প্রার্থী ঠিক করবে। কোন আসনেই বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না।
ঘ. এরপর শুরু হবে শো ডাউন। একবার ভেবে দেখুন, এরশাদ যদি আবার হাটে, ঘাটে, মাঠে যায় আর তার পেছনে যদি বিএনপি, জামায়াত কর্মীরা থাকে তাহলে কী রকম গণজোয়ার শুরু হবে।
ঙ. শেখ হাসিনা ঘাবড়ে যাবে। এরশাদের ব্যক্তিগত প্রভাব এখনো আন্তর্জাতিক ভাবে, আর্মি আর বিচার বিভাগে আছে। সেগুলো কাজে লাগালে শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ গণজোয়ারে কিছুই করতে পারবে না। পুলিশের মধ্যেও তখন নৈতিকতার জোয়ার বইবে। নির্বাচন কমিশনারও নৈতিকতার পরীক্ষা দিবেন! বাংলাদেশের এখনো কিছু নীরব ভোটার দুই নারীর চেয়ে এরশাদকে যোগ্য মনে করেন।
চ. বিএনপির ভোট ও সমর্থন পাওয়ার জন্য এরশাদকে মাহাতিরের মত ঘোষণা দিতে হবে বয়সের কারণে ২ বছর পর ক্ষমতা ছেড়ে দিবেন। (তখন খালেদা জিয়া সক্ষম থাকলে তেনাকে দেয়া যেতে পারে)
৩. এই প্রস্তাবে একটাই ঝামেলা। তা হল, মঞ্জুর হত্যা মামলা। এরশাদের দলের প্রায় সব কিছু বিএনপি'র সাথে মিল থাকলেও তিনি বেশীর ভাগ সময় আওয়ামীলীগের সাথে থাকেন তার কারণ হল, এই জেলে যাওয়া এড়ানো। এরশাদ যেই মাত্র বিরোধী দলের প্রধান নেতা হয়ে যাবেন, শেখ হাসিনা তার মামলা গুলো সচল করবেন। জনগণ বুঝে যাবে এবং আরো সহানুভূতি পাবে এরশাদ। যদি রায় এরশাদের বিপক্ষে যায় সে ক্ষেত্রে বিকল্প পথ হল কামাল হোসেন অথবা কাদের সিদ্দিকী। কারণ, বি চৌধুরীকে নিলে আওয়ামী লীগ থেকে ভোট আসবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪