সম্মানীত ব্লগার ভাই ও বোনেরা- প্রত্যেকে যার যার বিশ্বাস মতে সালাম, আদাব, শুভেচ্ছা, শুভকামনা গ্রহন করুন।
আজকে একটা অবিস্মরনীয় কাজ করতে উদ্যোগী হয়েছি আপনাদের সকলের সহযোগীতা পাব এই আশ্বাসে-বিশ্বাসে।
আমরা স্বাধীন হয়েছি আজ ৪২ বছর। দু:খজনক হলো আজও পুরো জাতি স্বাধীনতার ঐক্যমতের পূর্ণ ইতিহাস পায়নি! দ্বি-দলীয় খন্ডিত ইতিহাসে আজ যে হিরো কাল হয়ে যাচ্ছে ভিলেন!!
এর আশু সমাধান হওয়া দরকার। আর একটা মূল বিষয় হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
যা নিয়ে সকলেই বক্তৃতায় ফেনা তোলে, আবেগে উদ্বেলিত হয়, আলোচনায় জোশ আসে। কিন্তু কেউ ষ্পষ্ট করে বলে না- চেতনার স্বরুপ।
কৃষক,শ্রমিক, জেলে, মুটে মজুর, ছাত্র শিক্ষক, কূলবধু, ছাত্রী, হুজুর, পন্ডিত, ব্রাহ্মন সকল সকল জনতা যে চেতনায় উজ্জিবীত হয়েছিল- সেই চেতনার স্বরুপ কি ছিল?
দলীয় বৃত্তাবদ্ধ সংঘটন গুলো যার যার কোলে তারতার ঝোল টেনে শুধু ।ঐ টুকুই স্বাধীনতার চেতনা বলে দাবী করছে।
ফলে সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে এর বোধ! এর আবেদন। অথচ এমনতো হবার কথা ছিল না।
আজ স্বাধীনতার চেতনা হয়ে গেছে দলীয় সংকীর্ণতায় আবদ্ধ!
অথচ দেশটা সবার। লড়াই করেছে সবাই। সুবিধাবাদী সুশীল গংদের চেয়ে সাধারন মানুষই প্রকৃত লড়াই করে- যার যার কাজে ফিরে গেছে। কিন্তু সুবিধাবাদী সুমীল গং তার হালুয়া -রুটি, সুনাম সম্মান আর এর উদ্বৃত্ত ফায়দা হাসিলে আজও কামড়া কামড়িতে লিপ্ত!!!!!
নতুন প্রজন্ম আজ হতবিহবল!
তবে কি পাকি ২৩ পরিবারের বদলে দেশি ২৩ হাজার পরিবারের গোলামী করতেই স্বাধীন হয়েছি?
পাকিদের পরিবর্তে দেশী স্বৈরচারের জুলুম হইতে কি স্বাধীন হয়েছি?
৬ দফার অন্যতম অর্থনৈতিক মুক্তির রেওয়ামিল কে মিলিয়ে দেবে? দলিয় নেতাদের ফুলে ফেপে ওটার অংকটা ছাড়া আম জনতার সেই স্বস্তি কোথায়?
আমাদের পরে শুরু করে আজ মালয়েশিয়া কোথায়!
আমরা কেন অনুন্নয়নের ভাগারে পরে আছি?
সকল উত্তর পেতে চলুন- লিখুন, প্রকাশ করুন- আপনার ভাবনায় স্বাধীনতার চেতনার স্বরুপ।
জীবনের সকল বোধ, ধর্ম, দর্শন, সংস্কৃতি, দেশিয় বোধ বিশ্বাস, আন্র্জজাতিকতা, সেই খেটে খাওয়া দিনমজুর থেকে নব্য বিলিওনার....
সত্য সন্ধান স্বরুপ- আমাদের চেতনার প্রকাশ্য রুপটা কি কি ?
কোন কোন অর্জন হলে আমরা সকলেই সম্মিলিত ভাবে সাধারন বোধেই অনুভব করতে পারব- হা আমরা স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জিবীত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছি ভবিষ্যতের দিকে।