দেশের প্রধান সমস্যা কি? কি?
আমরা কোথায় ছিলাম? কোথায় আছি? কোথায় যেতে চাই?
আওয়ামী ষ্টান্টবাজি থেকে বের হতে পারার মতো বুদ্ধি কি অন্য কোন রাজনৈতিক দলের নাই!!!!!!
আমাদের মৌলিক মানবাধীকারের কতটুকু অর্জন করেছি?
খাদ্য বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদন- জাতি হিসেবে এভারেজ ১৬ কোটি মানুষের কত পার্সেন্টকে নিশ্চিত করতে পেরেছি?
দেশের অবকাঠামো গত উন্নয়নে কত টুকু এগিয়েছি?
এভাবে সকল খাতই প্রশ্নবিদ্ধ!
পারছিনা কেন? মূল কারণ দূর্নীতি।
দূর্নীতির পেট্রোনাইজার কারা? রাজণীতিবিদ।
রাজনীতিবিদ রাজনীতি করে কার জন্য?
নিজের জন্য! ক্ষমতার জন্য!
ব্যাস! কেল্লাফতে। আমজনতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায় আঙুল চোষো!!!
দেশের চলমান অচলাবস্থাও তাদেরই কারণে। বিশেষত আওয়ামীলীগের দায় ৯৮ ভাগ। তাদের ৪ বছরের শাসনকালে ছকে তাই দেখা যায়-
শুধূ ষ্টান্টবাজি, চমক আর চাপাবাজি.... সাথে বিরোধীদলের কাধে দায় তুলে দিয়ে চাপার বন্যা। ভাষনে ৮৫ ভাগ থাকে বিরোধী কুৎসা!!!!
মানুষ ১, ২, মেনে নিয়েছে। সময়তো আসলেই দরকার। ৩এ ভ্রু কুচকেছে????
আর কত অন্যের উপর দোষ???
৪ এ যখন অতীষ্ট
তখনই ট্রাম্প কার্ড-
আগে থেকেই চলছে এ ধারা- বিডিআর ম্যাসাকর ঢাকতে খালেদা জিয়া উচ্ছেদ...
সে আবেগ ঢাকতে নাম বদল!!
এভাবে শেয়ার বাজার, ডেসটিনি, পদ্মা,
কুইক রেন্টালের নামে লক্ষ কোটি টাকার দূর্নীতি .....
আন্র্তজাতিক শ্রম বাজার সংকুচিত হতে হতে প্রায় বন্ধ!
হলমার্ক কেলেংকারী... এরকম অযুত নিযুত....সীমাহীন দূর্নীতি, প্রশাসনিক ব্যর্থতা আড়াল করতেই চাললো শেষ টেক্কা ট্রাম্প কার্ড!
সব আড়াল করেতই ৪ বছর পরে কচ্ছপ গতির বিচার নিয়ে প্রহসনের রায় দিয়ে.....
আবার নিজেই আদালত, প্রশাসন হয়ে নিজেই এর বিরোধিতায় নামল নামাল জাতিকে বিভক্ত করল!!!!
ব্যাস। এখন কার সাধ্যি আলোচনা করে কুইক রেন্টালে কত লক্ষ কোটি টাকার অপচয় হয়ৈছে?
কার সাধ্যি আলাপ করে- বিদ্যুত খাতের তুঘলকি দূর্ণীতির!!!
কে প্রশ্ন করবে- ছয় বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েও কেন সরবরাহের নিশ্চয়তা নেই?
কে জানতে চাইবে- দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতির জন্য মন্ত্রীর ব্যর্থতার খতিয়ান; (আগেই না খাইয়া দাম কমানোর পরামশূতো ভিন্ন প্রসংগ)
এভাবেই আইন, বিচার, প্রশাসন সকল ক্ষেত্রে তাদের পাহাড় সম ব্যর্থতা ঢাকতেই বেছে নিয়েছে সময়ের, বাঙালীর আবেগের, বিশ্বাসের সবচে সেনসিটিভ ইস্যু-কে?!
অথচ এটা কোন দলীয় ব্যর্থতা লুকানোর টপিক নয়। এটা সবার । এটা নিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিলের বিষয় নয়। এটা সার্বজনিন। এখানে কোন পক্ষ নেই।
কিন্তু পক্ষ তৈরি করা হল।
মূখোমূখি করে -এটাকে যেমন বিতর্কিত করা হল তেমনি মূল ইস্যু থেকে দৃষ্টি পুরোপুরি সরাতে সক্ষম হল , সফল হলো!
তাই এই ষ্টান্টবাজির বিরুদ্ধে শক্ত আওয়াজ তুলুন।
যুদ্ধাপরাধীর বিচারকে আইনের স্বাভাবিক গতিতে, আইনের নিজস্ব সীমানায় ছেড়ে দিন। ধান্ধাবাজির রাজনীতি ঢুকাবেন না। প্রচলিত বিধানমতেই তারা শাস্তিপ্রপাপ্য পাবেও।
জামাতকে নিষিদ্ধ করার কথা নির্বাচনের আগেই মনে হল!!!???
৪টা বছর তাদের সাথে মাখামাখি, ইসলামী ব্যাংকরে ওয়াল্র্ড কাপের স্পন্সনরশীপ দেওয়া!!!!
থেকে শুরু করে যত ধান্ধাবাজি সম্ভব ছিল সব করে- এক্ষনে নিজের দিকে চেয়ে যখন দেখল ব্যর্থতা, লুটপাট, শিক্সাঙ্গনে সন্তাস শুধু নয় বাংলা স্বাধীনতার পরে ইতিহাসে যা ঘটেনি ছাত্রলীগের জঘন্য ছেলেরা তাই করে দেখাল!!!ধর্ষন, হত্যা, খুন, গুম,ের নিজের ন্যাংটো চেহারা- তখনই জাতিকে তার সবচে দুর্বল আর সেনসিটিভ ইস্যুতে বিভক্ত করে নিজের সব কিছূকে আড়াল করতে চাইল!!!!!
আপনিও কি তাই চান?
তবে অপরাধীর সং্গী হয়ে অপরাধেরও সঙ্গী হোন।
আমাদের মূল সমস্যাকে সমাধান করো।
মৌলিক মানবাধিকার নিশি্চত কর।
নির্বচানকে সুষ্ঠু ভাবে হতে দাও।
সত্য বল। দূর্নীতি হটাও।
আর যদি মানুষকে বোকা ভেবে, প্রকৃতিকে অসহায় ভেবে, স্বেচ্ছাচারিতা আর পেশিশক্তিকেই আল্লাহর ক্ষমতার চেয়ে বেশি মনে করে থাক- তো স্বেচ্ছাচার করে যাও।
নিশ্চয়ই প্রকৃতি আপন সিস্টেমেই শাস্তি প্রদান করে।
প্রকৃতি ন্যায় বিচার করে। সত্যের সাতেই থাকে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




