somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চুদুরবুদুর শব্দের শুলুক সন্ধানে আনন্দবাজার - চুদুরবুদুর নিয়ে চুদুরবুদুর চইলত ন!

১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের এক নারী সদস্যের মুখে যে শব্দ নিয়ে এতো হৈ হল্লা, সেই ‘চুদুরবুদর’ শব্দটি আদৌ অশ্লীল কি না- তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেছে ভারতের সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার।

আর এই চেষ্টায় বাংলা একাডেমীর অভিধান থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদেরও শরণ নিয়েছে পত্রিকাটি।

বিএনপির সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু গত রোববার সংসদ অধিবেশনে নিদর্লীয় সরকারের দাবি তুলে ধরতে গিয়ে নিজের জেলা ফেনীর আঞ্চলিক ভাষায় বলে ওঠেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়া কোনো চুদুরবুদুর চইলত ন”।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের এই সংসদ সদস্যের বক্তব্য নিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠেন। রেহানা আক্তারের বক্তব্য ‘অশোভন’ দাবি করে তা কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেয়ার আহ্বান জানান সরকারি দলের হুইপ আ স ম ফিরোজ।

এরপর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ওই বক্তব্য ‘পরীক্ষা করে’ ৩০৭ বিধি অনুযায়ী কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

ভারতীয় বাংলাভাষী পাঠককে এই সংবাদ দিতে গিয়ে আনন্দবাজার লিখেছে, “চুদুরবুদুর গালাগালি নয়। তবুও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ উত্তাল হল এই একটি শব্দে। শ্লীল না অশ্লীল, তা নিয়ে দীর্ঘ বাদানুবাদ।”

‘চুদুরবুদুর গালি কি, বাংলাদেশে সংসদ উত্তাল’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে তো বটেই, এ বাংলাতেও লঘু আড্ডায় চুদুরবুদুর আদৌ অপরিচিত শব্দ নয়।

“কলকাতার ভাষাবিদ পবিত্র সরকার বা ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক নির্মল দাস, দুজনেরই অভিমত চুদুরবুদুর গ্রাম্য শব্দ, অশ্লীল কিছুতেই নয়। অর্থ বাড়াবাড়ি করা বা গড়িমসি করা।”

সাংসদ রেহানা আখতারের বিষয়ে আনন্দবাজারের পর্যবেক্ষণ, তার মুখ এমনিতেই ‘বেশ লাগামছাড়া’। সরকারকে আক্রমণ করতে তিনি যে সব বাছা বাছা শব্দের তীর ছোড়েন, তার একটা বড় অংশই পরে কার্যবিবরণী থেকে মুছে ফেলতে হয়।

অবশ্য রেহানার বলা এবারের শব্দটির মধ্যে ‘অশ্লীল’ কিছু খুঁজে পায়নি আনন্দবাজার।

ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্মল দাসকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি লিখেছে, রেহানার ফেনী জেলার পাশেই ফেনী নদীর ওপারে ত্রিপুরার সাব্রুম জেলা। দু’পারের ভাষায়ও যথেষ্ট মিল । চুদুরবুদুর শব্দটি সেখানেও চালু।

“শব্দটিকে কিছুতেই অশ্লীল বলা যাবে না। তবে ঠিক, ভদ্রসমাজে তেমন ব্যবহার হয় না। উল্টোপাল্টা কাজ করা, নড়বড়ে থাকা, ইত্যাদি অর্থ ধরে এই শব্দের ব্যবহার।”

রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, লেখক, গবেষক ও ভাষাবিদ অধ্যাপক পবিত্র সরকারও আনন্দবাজারকে বলেছেন, ‘চুদুরবুদুর’ গ্রাম্য শব্দ, অশ্লীল নয়।

এই শব্দের শুলুক সন্ধানে বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান থেকেও উদ্ধৃত করেছে আনন্দবাজার।

“ওই অভিধানের প্রধান সম্পাদক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। ওই অভিধানে চুদুবুদুর-এর তিনটি অর্থ দেওয়া হয়েছে। এক, বাড়াবাড়ি করা। সিলেট, পাবনা অঞ্চলে এই অর্থে ব্যবহার দেখা যায়। দুই, গড়িমসি। এই অর্থে ব্যবহার বেশি ময়মনসিংহ, ঢাকায়। তা ছাড়া এক ধরনের খেলাও রয়েছে, যার নাম চুদুরবুদুর।”

‘চুদুরবুদুর’ শব্দটি কোথা থেকে এলো- পবিত্র সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার।

জবাবে তিনি বলেন, “এটা নিশ্চিতভাবেই অনার্য শব্দ। বাংলায় অনার্য শব্দের উৎস তিনটি। টিবেটো-বার্মান, অস্ট্রিক ও দ্রাবিড়। এরই কোনওটি থেকে এই ধ্বন্যাত্মক শব্দটি এসে থাকবে।”

সূত্র: বিডিনিউজ২৪

এইবার মাননীয় আওয়ামী সংসদ সদস্যগণ! বলুন চুদুরবুদুর নিয়া আর চুদুরবুদুর কইরবেন!!!!????

আর তাদের এই চিক্কুরে মনে হয়- সেই গপ্প- ভুতের মূখে রাম নাম। সারাজীবন যারা অন্যরে হিংসাত্বক, ঋনাত্বক, আক্রমনাত্বক, অহমিকা পূর্ন বাক্যে বক্তৃতাবাজি করে আসছে- যাদের মাননীয় হাইকোর্ট থেকে শব্দ চয়নে সতর্কতা দেয়া হয়েছে-রং হেডেড উপাধী সহ .. তারাই নাকি আইজ এক আঞ্চলিক শব্দ নিয়ে হামলাইয়া পড়ছে!!!!

কই যাই!!!!
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×