somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতে সব সন্ত্রাসী হামলার দায় চাপানো হয় মুসলমানদের ওপর: কবীর সুমন.....

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ওপার বাংলার কবির সুমন।

বাংলাগানের নতুন রুপকার। তার একটা ষ্ট্যটাস.. কমেন্ট.. মতামত

ভারতের জনগণের ওপর নানান সময়ে যেসব আক্রমণ হয়েছে তার প্রতিটিতেই মুসলমানদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের নন্দিত গায়ক কবীর সুমন। ১৯৯৩ সালের মুম্বাই হামলার দায়ে ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি কার্যকরের পর ফেসবুকে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

মেমনের ফাঁসি কার্যকরের পর পক্ষে-বিপক্ষে নানা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে দেশটির মানুষ। আর তেমনই একটি মন্তব্যকে ভিত্তি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সুমন চট্টোপাধ্যায় থেকে কবীর সুমন হওয়া আধুনিক বাংলা গানের এই ভিন্নধারার এই পথিকৃত।

ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অকৃত্রিম বন্ধু হেমন্ত করকরের বরাতে কবীর সুমন লিখেছেন `প্রায় প্রতিটি আক্রমণেই দক্ষিণপন্থী হিন্দু সংগঠন দায়ী ছিল অথচ তাদের কারো সাজা হয়নি।' এমনকি গুজরাট গণহত্যার নায়করা এখন দেশ চালাচ্ছেন বলে ক্ষোভ জানান তিনি। আমান খান নামে যে মানুষটির পোস্ট ধরে সুমন এ লেখাটি লিখেছেন তাতে বলা হয়েছিল, বিভিন্ন হামলায় জামিন পেয়ে যাওয়া হিন্দু নেতাদের মত ইয়াকুব মেমনকে লাউঞ্জে বসে থাকতে হবে না, বরং ইয়াকুব মেমন বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।

প্রসঙ্গত, কেবল মুসলমান নয়, যেকোনো সংখ্যালঘু প্রশ্নেই সরব এই প্রতিবাদী শিল্পী। সুমনের দেয়া সেই পোস্টটি প্রিয় পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে দেয়া হল-

মাননীয় সহনাগরিকবৃন্দ!
আপনারা আমায় যে যা খুশি বলতে পারেন। মাননীয় রাষ্ট্র, আমায় গ্রেফতার করে যে কোনও সাজা দিতে পারেন। কিন্তু তাও আমি আমাদেরই এক সহনাগরিকের ফেসবুকে করা এই উক্তি কপি পেস্ট করে দিচ্ছি। আমার হৃদয়ে ইয়াকুব মেমন সেভাবে থাকবেন না। যদিও, একটু আগেই ইন্টারনেটে তাঁর সম্পর্কে অনেক কিছু পড়লাম। তিনি চার্টার্ড একাউন্টান্ট ছিলেন। জেলে বসে ইংরিজি ও পলিটিকাল সায়েন্স বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন। জেলের সহ-কয়েদীদের অনেককে তিনি ইংরিজি ও অঙ্ক শিখিয়েছেন। - তার মানে কি তিনি ভালো লোক? তা বলছি না। আমি কিছু তথ্য দিচ্ছি মাত্র, যা আমি নিজেও জানতাম না।
ভারতেরই জনগণের ওপর আরও নানান আক্রমণ হয়েছে নানান সময়ে। প্রতিটি আক্রমণেই চেষ্টা হয়েছে মুসলমানদের ওপর দোষ চাপানোর। মহামতি হেমন্ত করকরের একনিষ্ঠতায় আমরা জানতে পেরেছি যে প্রায় প্রতিটি আক্রমণেই দক্ষিণপন্থী হিন্দু সংগঠন দায়ি। তিনি হাতে নাতে প্রমাণ দিয়েছিলেন। হেমন্ত করকরে খুন হন। কী করে হলেন তার গল্পটা আজও স্পষ্ট হলো না।
মালেগাঁও সমেত আরও নানান হিংসাত্মক হামলার দোষীরা কিন্তু বেঁচে আছেন। গুজরাত গণহত্যার নায়করা চালাচ্ছেন দেশ।
একবারও ভাববেন না যে আমি ইসলাম ধর্ম নিয়েছি বলে এই কথাগুলো বলছি। এগুলো অনেকেরই মনের কথা - এবং তাঁদের মধ্যে হিন্দুনামধারীরাও আছেন। সত্যি বলতে, ভারতে মুসলমান সম্প্রদায় ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অকৃত্রিম বন্ধু গত তিরিশ চল্লিশ বছরে সম্ভবত একজনই ছিলেন: হেমন্ত করকরে। সেকুলার ভারতবাসীদেরও অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন তিনি। এ-দেশের সংখ্যালঘুরা আজও বছরের একটা দিন হেমন্ত করকরে দিবস পালন করে উঠতে পারলেন না - কী বলব। আমি নিজে দুটি সংস্থাকে বলেছি। এখন পর্যন্ত কোনও ফল দেখতে পাইনি। অথচ, কলকাতায় অন্তত সকলে মিলে (সব সম্প্রদায়ের মানুষ এবং নাস্তিকরাও) বছরে একটি দিন হেমন্ত করকরে দিবস পালন করা দরকার। ভারতে কোথাও হয়েছে বলে শুনিনি। অন্তত তাঁর অবদান সম্পর্কে সকলকে জানানো দরকার। তাঁর ছবি টাঙানো দরকার। হেমন্ত করকরে, মহামতি হেমন্ত করকরের মৃত্যুর পর ভারত সরকার তাঁর স্ত্রীকে অনেক কিছু দিতে চেয়েছিলেন। তিনি কিছুই নেননি। কিছুকাল আগে তিনি মারা যান। যদি তিনি দেখে যেতে পারতেন সারা দেশে না-হোক কোথাও একটা তাঁর দেশপ্রেমী, কর্মনিষ্ঠ, সৎ স্বামীকে স্মরণ করছে তাঁর দেশবাসীরা?
উপস্থিত অবস্থায় আমাদেরই এক সহনাগরিক হিন্দিতে একটা পোস্ট দিয়েছেন। আমি তা কপি পেস্ট করলাম। তাঁকে কি পাকিস্তানের দালাল বলবেন? তাহলে তো আমিও তাই।
প্রাণপণ আশা করছি - দুম্ করে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছোবেন না - আমাদের দেশের দোহাই। এই ব্যক্তির সঙ্গে সহমত হওয়ারও দরকার নেই। একটু শুধু ভেবে দেখা যাক। এটাও একটা মত।
=====
ইয়াকুব মেননের ফাঁসি। ভারতের অভ্যন্তরীন ব্যাপার অবশ্যই। কিন্তু মানবতাবাদের কাছে সার্বজনীন। অপরাধী হলে তার শাস্তি হবে তাতে কারো কোন আপত্তি নাই। বিচার সুস্ঠুভাবে ন্যায় সংগত ভাবে হলে, অপরাধ প্রমাণীত হলে শাস্তি অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু একের দোষে অন্যে ফাসিতে ঝোলা! এটা কি উচিত! তা কি ন্যায় বিচার? না অবিচার!
আমরা নাকি সভ্য! তবে এ কেমনতর আচরণ?


পোষ্ট সূত্র : প্রিয়.কম

সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫০
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×