somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জন্মান্তরবাদ : কেবলই বিশ্বাস? মিথ? বিজ্ঞান সম্মত? মিথ্যা নাকি সত্য!! -১

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
চক্র মানে অবিরাম চলমানতা রুপ ভিন্নতায় সেই অবিচ্ছিন্ন চক্রে নিয়ত আবর্তিত হওয়া।

আমরা সকলেই ছোটকালেই পানি চক্র,


বায়ু চক্র, প্রাকৃতিক নানা চক্র সর্ম্পকে অবগত হয়েছি।



এবং বিনা বাক্যে মেনেও নিয়েছি। জ্ঞানের অংশ হিসেবেই।
কিন্ত যখন মানব চক্র বা মানব জীবনের প্রশ্ন আসে অধিকাংশই চেয়ারে নড়েচড়ে বসি।



বা নিজেদের প্রচলিত সাধারন জানাকেই চূড়ান্ত ভেবে আঁকড়ে থাকি নিজের বিশ্বাস! এক অনঢ় মূঢ়তা স্থবির করে রাখে ভাবনার জগত।

আমি নিজেও এক সময় এই দলেই ছিলাম। কিন্তু জ্ঞান পিপাসু হৃদয় তো থেমে থাকবার নয়। সত্যাসত্য নির্ণয়ে পীড়া থেকেই ব্যাপকতর জানার চেষ্টা এবং একটা স্তরে গিয়ে পূর্ণতর ধারনায় স্থিতু হতে হয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞান, ধর্ম, বিভিন্ন ইজম, সাধারন প্রচলিত মিথ সকল কিছু থেকে নির্যাসের মতোই তুলে আনতে হয় জ্ঞানকে দুধ থেকে মাখন আর মাখন থেকে ঘি তোলার মত।


শক্তির অবিনশ্বরতাবাদ
শক্তির যে কোন রূপকে অন্য যে কোন রূপে রূপান্তরিত করা যায়, কিন্তু মোট শক্তির পরিমাণ একই থাকে। একে শক্তির অবিনশ্বরতাবাদ নীতি বা শক্তির নিত্যতা সূত্র বলা হয়। শক্তির অবিনশ্বরতাবাদ নীতিকে এভাবে বিবৃত করা যায়ঃ
শক্তির সৃষ্টি বা বিনাশ নেই, শক্তি কেবল একরূপ থেকে অপর এক বা একাধিকরূপে পরিবর্তিত হতে পারে। মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়।[১]
শক্তি একরূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তিত হলে শক্তির কোন ক্ষয় হয় না। একটি বা একাধিক বস্তু যে পরিমাণ শক্তি হারায়, অন্য এক বা একাধিক বস্তু ঠিক একই পরিমাণ শক্তি পায়। নতুন করে কোন শক্তি সৃষ্টি হয় না বা কোন শক্তি ধ্বংসও হয়না। সুতরাং এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির মুহূর্তে যে পরিমাণ শক্তি ছিল, এখনও ঠিক সেই পরিমাণ শক্তিই আছে।



আত্মা প্রকৃ্তপক্ষে কি?


আত্মা হচ্ছে জীবনী শক্তির এক চিন্ময় স্ফুলিঙ্গ যা প্রত্যেকটি দেহকে ক্রিয়াশীল করে, সেটিকে বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনে সক্ষম করে, ঠিক যেমন ইলেক্ট্রন কণার স্রোত তামার তারের মধ্যে প্রবাহিত হবার সময় শক্-এর সৃষ্টি করে। দেহকে একটি গাড়ীর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে, আর আত্মাকে তুলনা করা যায় গাড়ীটির চালকের সংগে। আত্মা সেই জীবনের এক স্ফুলিঙ্গ, যার উপস্থিতির ফলে দেহকে জীবন্ত বলে মনে হয়, আর যখন আত্মা দেহটি ছেড়ে চলে যায়, তখন আমরা বলি যে লোকটি ‘মৃত’।
আত্মার অস্তিত্বের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ
(সূত্রঃ ভগবদগীতার সারতত্ব ছয় পর্বের প্রাথমিক পাঠক্রম )
আমারা কেবল জড় পদার্থ ও শক্তির সংগে সমন্বিতভাবে ‘বিজ্ঞান’ শব্দটিকে বুঝতে অভ্যস্ত। কিন্তু আরো এক উচ্ছতর মাত্রায় বিজ্ঞান রয়েছে, যা আত্মা ও অ-জড়, চিন্ময় শক্তি সম্বন্ধে আলোকপাত করে। আত্মা স্বরূপতঃ জড়াতীত, চিন্ময়, অপ্রাকৃত বস্তু। অন্য কথায়, আত্মা মূলগত ভাবেই জড় ইন্দ্রিয়ের প্রত্যক্ষণের পরিধির অতীত। জড়বিজ্ঞানের পরীক্ষা নিরীক্ষামূলক কলাকৌশলগুলি আত্মার অস্তিত্ব ‘প্রমাণ’ করার জন্য অপর্যাপ্ত, অনুপযুক্ত, ঠিক যেমন কানের দ্বারা আলোর অনুভব লাভের চেষ্টা বৃথা। কিন্তু অধ্যাত্ম-বিজ্ঞানের নিয়মবিধির অনুসরণের মাধ্যমে একে এক উচ্চতর বাস্তবতা বলে উপলব্ধি করা যায়। চরমে, সমগ্র পারমার্থিক সত্যই প্রকাশিত ও ‘প্রমাণিত’ হয় আভ্যন্তরিকভাবে, অনুভবের মাধ্যমে। তবু আত্মার উপস্থিতি উপলব্ধিতে নীচের বিষয়গুলি আমাদের সাহায্য করতে পারে।
১. সাধারণ জ্ঞান
যখন কেউ মারা যায়, আমরা বলি, “উনি চলে গেলেন।” এখন, কে চলে গেছেন? ব্যক্তিটির শরীর তো এখনো সেখানে শায়িত রয়েছে? সত্যটি হচ্ছে এই যে জীবনের উৎস আত্মা দেহটি ছেড়ে চলে গিয়েছে, এবং সেজন্য ব্যক্তিটিকে এখন বলা হচ্ছে মৃত।
২। স্বজ্ঞা-গত উপলব্ধি
আমাদের প্রত্যেকেরই একটি স্বজ্ঞাগত বোধ রয়েছে যে প্রকৃ্ত সত্তা বা ব্যক্তি, ‘আমি’ দেহ, মন ও বুদ্ধি থেকে আলাদা, পৃথক। আমরা বলি “আমার হাত,” “আমার মাথা” ইত্যাদি। এইভাবে আমরা দেহটির উপরের মাথার চুল থেকে শুরু করে পায়ের ডগা পর্যন্ত ‘আমার এটা, সেটা’ বলে অভিহিত করতে পারি। এটি নির্দেশ করছে যে ঐসব বস্তুগুলি কোনো একজনের, কোনো মালিকের। চোখ, কান বা মস্তিষ্ক হচ্ছে কেবল কতকগুলি যন্ত্র, যেগুলির মাধ্যমে “আমরা” দেখি, শুনি, অথবা চিন্তা করি। এইসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি নিজেরা কোনো কিছু করতে পারে না। এমনকি একটি মৃতদেহেরও মস্তিষ্ক রয়েছে, কান রয়েছে, চোখ রয়েছে কিন্তু সেগুলি অকেজো, ক্রিয়াশক্তিরহিত। চালক, অর্থাৎ আত্মা এই দেহ-রূপ যানটিকে পরিত্যাগ করেছে বলেই এইসব যন্ত্রের কাজকর্ম সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে গেছে।
৩. চেতনা (Consciousness)
জীবন্ত দেহে রয়েছে চেতনা। ঠিক যেমন সূর্য তার চতুর্দিকে তাপ ও আলোকরশ্মি বিকিরণ করে, তেমনি আত্মাও সমগ্র দেহে চেতনা পরিব্যাপ্ত করে- পায়ের ডগা থেকে মাথার চুল পর্যন্ত, সর্বত্র। দেহে পরিব্যাপ্ত এই চেতনাই আমাদেরকে চিন্তা, অনুভব বা চলাফেরা করতে সক্ষম করে। অতএব চেতনা হচ্ছে আত্মার লক্ষণ। চেতনার অস্তিত্বই একটি মৃত দেহের সঙ্গে জীবন্ত দেহের পার্থক্য সূচিত করে। এমন একটি যন্ত্র সহজেই তৈরী করা যেতে পারে, যেটির লেন্সে লাল আলো পড়া মাত্রই সেটি সাড়া দেয় ও তার থেকে এই তথ্য লেখা কাগজের টেপ বেরিয়ে আসেঃ “আমি লাল আলো দেখছি”, কিন্তু এই যান্ত্রিক সাড়া বা প্রক্রিয়ার মধ্যে কি সত্যি সত্যি কোনো অনুভবের স্পন্দন আছে, যা একটি চেতন জীব উপলব্ধি করে- যেমন কোনো মানুষের প্রভাতের রক্তিম সূর্যোদয় দেখে অনুভব করে? টমাস হাক্সলি যেমন যথার্থই বলেছেন, “এই বিশ্বে একটি তৃতীয় পদার্থ রয়েছে, অর্থাৎ চেতনা, যাকে আমি আদপেই কোনো জড় পদার্থ বা শক্তি বলে মনে করি না।” এই চেতনার অস্তিত্ব আত্মার অস্তিত্বকেই প্রমাণ করে।
৪। আসন্ন-মৃত্যুর অভিজ্ঞতা (N.D.E- Near Death Experience)
গবেষণায় সংগৃহীত তথ্যের দৃষ্টান্ত দ্বারা প্রদর্শিত হয় যে মন জড়ীয় মস্তিষ্ক ও দেহ হতে স্বতন্ত্র। এন.ডি.ই-র মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে দেহাতিরিক্ত অভিজ্ঞতা বা ও.বি.ই (আউট-অব-বডি এক্সপিরিয়েন্স), যেখানে বিভিন্ন মানুষ তাদের নিজেদের দেহ ও অন্যান্য দেহসংক্রান্ত ঘটনাবলীর কথা জানাচ্ছেন যা দেহাতীত কোন পটভূমিতে থেকে পর্যবেক্ষণ করা- তাদের গুরুতর অসুস্থতা, দৈহিক যন্ত্রণা বা অপারেশনের সময়, যখন তাদের দেহ থাকে অজ্ঞান বা ‘অচেতন’। এর আদর্শ দৃষ্টান্ত হচ্ছে, একজন হৃদরোগী শল্য চিকিৎসার পর কিঞ্চিৎ সুস্থ হয়ে অপারেশনকালীন সমস্ত ঘটনার আনুপূর্বিক বর্ণনা দিচ্ছেন, যেন বাইরে থেকে তিনি সেসব দেখেছেন। এইরকম অনুভবের সময় মেডিক্যাল অভিমত অনুসারে তার মস্তিষ্কের স্বাভবিক ক্রিয়াকলাপ বন্ধ হয়ে যায়- যন্ত্রে ব্রেন-ওয়েভের রেখাচিত্র বা গ্রাফের রেকর্ড থেকে তা স্পষ্ট বোঝা যায়, এবং ঐ রোগী তখন অজ্ঞান অবস্থায় থাকেন।
এন.ডি.ই নিয়ে পরিপূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত, নিখুঁত গবেষণা করে বহু ব্যক্তি তাদের রিসার্চ-রিপোর্ট উপস্থাপন করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, এমরি ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল স্কুলের প্রফেসর ও কার্ডিওলজিস্ট ডক্টর মাইকেল বি. স্যাবম্ প্রথমে এন.ডি.ই- সম্পর্কে ছিলেন অত্যন্ত সন্দিগ্ধ; কিন্তু ঐগুলির সত্যতা তদন্ত করে দেখার পর তিনি তাঁর মত পরিবর্তন করেন। কঠোর রিসার্চ-এর ভিত্তিতে ডক্টর স্যাবম্ লেখেন, “মানুষের মস্তিষ্ক যদি এই দুটি মৌলিক উপাদান দিয়ে নির্মিত হয়- ‘মন’ ও ‘মস্তিষ্ক’, তাহলে বহু মানুষের মৃত্যুকালীন অভিজ্ঞতার ঘটনা কি অত্যন্ত অস্থায়ী সময়ের জন্য হলেও মন ও মস্তিষ্কের বিচ্ছিন্নতাকেই প্রদর্শন করে না? এই দেহাতীত অভিজ্ঞতার জবানবন্দী আসলে প্রচলিত ধর্মীয় তথ্যের সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি সঙ্গগিপূর্ণ মনে হয়। সেই মন, যা শরীরস্থ মস্তিষ্ক হতে বিমুক্ত হয়ে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে- সেটি কি আসলে মূলগতভাবে আত্মা হতে পারে, চরমে জড় শরীরের বিনাশের পরেও যার অস্তিত্ব থাকে অব্যাহত, ঠিক যেমন কিছু কিছু ধর্মীয় মতবাদে বলা হয়ে থাকে? আমার মনে হচ্ছে যে এই সব এন.ডি.ই-র রিপোর্টগুলি যে চরম প্রশ্নটিকে তুলে ধরেছে, এ হচ্ছে সেই প্রশ্ন।”

৫। পূর্বজন্মের স্মৃতি
বহু নিষ্ঠাবান গবেষক এই পূর্বজন্মের স্মৃতির উপর নিরপেক্ষ কঠোর ও নিয়মানুগভাবে বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার সাইক্রিয়াট্রির অধ্যাপক ইয়ান স্টিভেনসন শিশুদের দ্বারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কথিত তাদের পূর্বজন্মের স্মৃতির উপর ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। শিশুদের দেওয়া তাদের পূর্ব জন্মের জন্মস্থান, তাদের পূর্ব নাম ও চেহারা, তাদের স্বজন-বর্গের ও অন্যান্য পরিচিতদের নাম পুনর্জন্মের সত্যতাকেই হুবহু সমর্থন করে। প্রফেসর স্টিভেনসন বহু সংখ্যক ঘটনার-বিবরণী একত্রিত করে সেগুলির সত্যতা যাচাইয়ে ব্রতী হন এবং সেই সাথে কোন প্রকার জালিয়াতি যাতে না হতে পারে সে ব্যাপারে তিনি কঠো সতর্কতা গ্রহণ করেন। তাঁর গবেষণা বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ উপস্থাপন করে যে চেতন আত্মা একটি জড় শরীর থেকে অপর একটি জড় শরীরে গমন করতে পারে, দেহান্তরিত হতে পারে। স্পষ্টতঃই, যখন একটি দেহের মৃত্যু হয় তখন তার মস্তিষ্কের কোষগুলি নষ্ট হয়ে যায়, এবং কোন রকম বাহ্যিক প্রক্রিয়ার সাহায্যেই সেগুলিকে আর অন্য আরেকটি মস্তিষ্কে প্রভাবিত করতে পারে না, সেইজন্য কখনই কোন মৃত মানুষের স্মৃতি কোনো শিশুর মস্তিষ্কে শারীরিকভাবে সঞ্চারিত হবার বা করবার কোনো সম্ভাবনাই নেই। সেজন্য একটি শিশুর পূর্বজন্মের স্মৃতিচারণ এটিই প্রমাণ করে যে ঐ দেহস্থ ব্যক্তি আগের জন্মে ঐ পূর্বেকার দেহটি ব্যবহার করেছে, যার কিছু স্মৃতি সে অভিব্যক্ত করতে পারছে। অতএব সরলার্থ হচ্ছে এই যে চেতন আত্মা অবশ্যই এমন একটি সত্তা যা দেহস্থ মস্তিষ্ক থেকে পৃথক।
স্থুল দেহ ও সূক্ষ্ম দেহ

(সূত্রঃ ভগবদগীতার সারতত্ব ছয় পর্বের প্রাথমিক পাঠক্রম )
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভগবদগীতায় বলেছেনঃ
অবিনাশী তু তদ্বিদ্ধি যেন সর্বং ইদং ততম্।
বিনাশং অবিনাশ্যস্য ন কিঞ্চিৎ কর্তুমর্হসি।।
“সমগ্র শরীরে পরিব্যাপ্ত রয়েছে যে অক্ষয় আত্মা, জেনে রেখো তাকে কেউ বিনাশ করতে সক্ষম নয়।” (ভ.গী.– ২/১৭)
ভগবদগীতা অনুসারে, আপনি এই দেহ নন। আপনি মন নন। আপনি বুদ্ধিও নন, আপনি মিথ্যা অহঙ্কারও নন। আপনি এই জড় দেহের সমস্ত জড় পদার্থের অতীত বস্তু। আপনি হচ্ছেন সেই চেতনা, সারা দেহে যা পরিব্যাপ্ত রয়েছে। আপনি হচ্ছেন চির অবিনাশী আত্মা। এরপর শ্রীকৃষ্ণ বলেন,
“ভূমিরাপোহনলো বায়ুঃ খং মনো বুদ্ধিরেব চ।
অহঙ্কারং ইতীয়ং মে ভিন্না প্রকৃতিরষ্টধা।।”
“ভূমি, জল, বায়ু, আকাশ, মন, বুদ্ধি এবং অহঙ্কার- এই অষ্ট প্রকারে আমার ভিন্না জড়া প্রকৃতি বিভক্ত।” (ভ.গী. ৭/৪)
এই উপাদানগুলি সর্বদাই পরিবর্তনশীল। স্থূল শরীর তৈরী হয়েছে উপরোক্ত প্রথম পাঁচটি উপাদান দিয়েঃ ‘ভূমি’ বলতে বোঝায় সমস্ত কঠিন পদার্থকে। জল বলতে বোঝায় সমস্ত তরল পদার্থ। অগ্নি হচ্ছে আলোক ও তেজ (তাপ)। বায়ু হচ্ছে সমস্ত গ্যাসীয় পদার্থ। আকাশ হচ্ছে শূন্যস্থান (ইথার) এবং শব্দ। স্থূল দেহে এই পাঁচটি পদার্থ রয়েছে।
সূক্ষ্ম শরীর তিনটি সূক্ষ্ম উপাদান দ্বারা গঠিতঃ মন, বুদ্ধি ও মিথ্যা অহংকার (ভ্রান্ত ‘আমি’ বোধ)। প্রকৃত অহঙ্কার হচ্ছে এই উপলব্ধিঃ ‘আমি চিন্ময় আত্মা, কৃষ্ণের নিত্য দাস’। মিথ্যা অহঙ্কার হচ্ছে মোহগ্রস্ত অবস্থায় এই রকম চিন্তা করা, “আমি এই দেহ।” সূক্ষ্ম দেহ ও স্থূল দেহ হচ্ছে চেতনার উপর জড়ীয় আবরণ। এইরকম সূক্ষ্ম এবং স্থূল দেহে বদ্ধ একটি জীবাত্মাকে বলা হয় ‘বদ্ধ জীব’। যিনি এইরকম আবরণ থেকে মুক্ত এবং ভগবদ্ধাম প্রাপ্ত হন, তাঁকে বলা হয় মুক্তাত্মা। তারপর শ্রীকৃষ্ণ বলেন,
অপরেয়মিতস্ত্বন্যাং প্রকৃতিং বিদ্ধি মে পরাম্।
জীবভূতং মহাবাহো যয়েদং ধার্যতে জগৎ।।
“হে মহাবাহো ! এই নিকৃষ্টা প্রকৃতি ব্যতীত আমার আর একটি উৎকৃষ্টা প্রকৃতি রয়েছে। সেই প্রকৃতি চৈতন্য-স্বরূপা ও জীবভূতা; সেই শক্তি থেকে সমস্ত জীব নিঃসৃত হয়ে এই জড় জগৎকে ধারণ করে আছে।” (ভ.গী. ৭/৫)
ভগবানের শক্তিরাজি (God’s Energies)
অপরা (নিকৃষ্টা) জড়া শক্তি পরা (উৎকৃষ্টা, চিন্ময়)শক্তি
(Inferior Material Energy) (Superior Spiritula Energy)

স্থূল উপাদান সূক্ষ্ম উপাদান চিন্ময় দেহ (আত্মা)
(Gross Elements) (Subtle Elelments)
১. ভূমী (Earth) ১. মন (Mind) ১. সৎ (Eternal)
২. জল (Water) ২. বুদ্ধি (Intelligence) ২. চিৎ (Full of knowledge)
৩. অগ্নি(Fire) ৩. মিথ্যা অহঙ্কার (False Ego) ৩. আনন্দ (Full of Bliss)
৪. বায়ু (Air)
৫. আকাশ (Ether)
অনুৎকৃষ্টা অপরা শক্তি (জড় বস্তু) এবং উৎকৃষ্টা পরা শক্তি (আত্মা) উভয়ই পরমেশ্বর ভগবানের অধীন। আত্মাই হচ্ছে জীবন। শরীরটি সবসময়ই মৃত। ঠিক যেমন আপনি যদি হাতে দস্তানা পরেন এবং আঙুলগুলি সঞ্চালন করতে থাকেন, তাহলে দস্তানাকে জীবন্ত বলে মনে হতে পারে। ঠিক তেমনি আত্মা শরীরকে সঞ্চালন করে। শরীরটি সবসময়ই মৃত, এমনকি যখন আত্মা ঐ দেহের মধ্যে অবস্থান করতে থাকে তখনও দেহটি মৃত, কেননা শরীরটি কেবল কিছু মৃত অচেতন জড় পদার্থ দিয়ে তৈরী- মাটি, জল, আগুন, বাতাস, আকাশ এবং মন, বুদ্ধি ও মিথ্যা অহঙ্কার।
(সূত্রঃ ভগবদগীতার সারতত্ব ছয় পর্বের প্রাথমিক পাঠক্রম )
আত্মা (ইংরেজি: spirit) হল কোন জীবের অংশ যা কোন শরীর নয়। দেহ যখন জীবিত থাকে, তখন এর ভেতরে একটি আত্মা থাকে। আর মৃত্যুর সময় আত্মা দেহ থেকে বেরিয়ে যায়।
খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে যে, স্বর্গে এবং নরকে আত্মা বাস করে।(দেখুন ১ তিমোথি ৩:১৬, ৪:১)
আধ্যাত্মিক বিশেষজ্ঞগণ বিশ্বাস করেন যে, আত্মা মানুষের সাথে কথা বলতে পারে এবং পৃথিবীর যে কোন জিনিসকে বদলে দিতে পারে। অনেক ধর্ম এ ধরনের আত্মার সাথে সকল অবস্থায় যোগাযোগ করতে নিষেধ করে (দেখুন লেভিটিকাস ১৯:৩১) কিন্তু কিছু ধর্ম আবার একে তাদের রীতিনীতির অংশ হিসেবে চর্চা করে।

ইহুদী ধর্মমত

তৃতীয় শতকের একটি চিত্র অবলম্বনে এজেকিয়েল স্বর্গাদেশ প্রাপ্ত হচ্ছেন।
হীব্রু ভাষার ruach ha-kodesh (Hebrew: רוח הקודש, যার অর্থ ‘পবিত্র আত্মা’ (অনেক জায়গায় ruaḥ ha-qodesh হিসাবে বর্ণান্তরিত হয়েছে) বাক্যাংশটি হিব্রু বাইবেল ও অন্যান্য পুস্তকে YHWH (רוח יהוה) এর আত্মা হিসাবে বর্নিত হয়েছে যার আভিধানিত অর্থ “পবিত্র স্থানে আত্মা” বা “পবিত্রতার আত্মা”। ইহুদীমতে পবিত্র আত্মা বলতে স্বর্গীয় ভাববাণী এবং জ্ঞানকে বুঝায়। জগাতের সকল সৃষ্টির উপর সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠত্বকে বুঝাতে পবিত্র আত্মা শব্দটি ব্যবহৃত হয়।[৩]
খ্রীস্টান ধর্মমত
সেইন্ট পিটারের ব্যাসিলিকায় রক্ষিত একটি তৈলচিত্রে পবিত্র আত্মাকে আগুনের লেলিহান শিখার মাছে পায়রা হিসাবে দেখান হয়েছে।
অধিকাংশ খ্রীস্টধর্মালম্বীদের মতে, পবিত আত্মা ট্রিনিটির তৃতীয় স্বর্গীয় স্বত্তা। স্বত্তা তিনটি হল, পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মা। পবিত্র স্বত্তার তিনটি দৃষ্টিভঙ্গিই ঈশ্বর হিসাবে উদ্ভাসিত। [৪][৫][৬] বাইবেলের নতুন টেস্টামেন্টে বর্ণিত দুইটি প্রতীক পবিত্র আত্মার সাথে সম্পর্কিত: একটি ডানাসহ পায়রা এবং আগুনের লেলিহান শিখা।

ইসলাম ধর্মমত
পবিত্র রূহ (আরবী ভাষায়:روح القدس উচ্চারন “রুহ আর কুদুস”, অর্থ, পবিত্র রূহ বা আত্মা) শব্দটি বেশ কয়েকবার পবিত্র কোরানে বর্নিত হয়েছে। যেখানে তাকে আল্লাহ্র র্বাতাবাহক হিসাবে বলা হয়েছে। ইসলাম ধর্মের পবিত্র আত্মার ধারনাটির সাথে বাইবেলের নতুন ও পুরাতন টেস্টামেন্টে বর্নিত পবিত্র আত্মার ধরনার সাথে মিল আছে। কিছু হাদিসের বর্ননা অনুসারে মুসলিমরা গ্যাব্রিয়েলকে (আরবী উচ্চারনে জীবরাঈল বা হযরত জীবরাঈল আ: কে পবিত্র আত্না হিসাবে মনে করেন। এছড়া শুধুমাত্র আত্মা (الروح আল-রূহ, ‘পবিত্র’ বা ‘গৌরবান্বিত’ বিশেষনটি ছাড়া শব্দটি ইসলামের ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন প্রথম মানব হযরত আদম আ: কে আল্লাহ সৃষ্টি করার পর তার মধ্যে আত্মা প্রবেশ করিয়ে জীবন দান করেন বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করেন। এছাড়াও ইসলামের অন্যান্য রাসুলগনও হযরত ঈসা আ: , হযরত মুসা আ: এবং হযরত ইব্রাহীম আ: বিভিন্ন উপায়ে পবিত্র আত্মা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বলে এমন বর্নানা পাওয়া যায়। বাইবেলে বর্ণিত “পবত্রি ট্রিনিটি” ধারনাটি ইসলামে একেবারেই স্বীকৃতি দেয়া হয়নি বরং এধারনা সম্পূর্ণরূপে ইসলামবিরোধী এবং নিষিদ্ধ। একইভাবে অন্য কাউকে সৃষ্টিকর্তার সমতুল্য জ্ঞান করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।[৭][৮]

বাহাই ধর্মমত
বাহাই ধর্মে “মহাপবিত্র আত্মা” এর ধারনাটি বিদ্যমান। যাকে ঈশ্বরের অনুগ্রহ হিসেবে দেখা হয়। [৯] এ ধর্মে পবিত্র আত্মা হিসাবে ঈশ্বরের আত্মাকে বুঝায় যা বিভিন্ন নবী ও রাসুলদের নিকট উপস্থিত হয়েছিল। যাদের মধ্যে ছিলেন, ঈসা,মুসা, মুহাম্মদ ও বাহাউল্লাহ।[১০] বাহাই ধর্মমতে, পবিত্র আত্মা হল একটি ধারা বা মাধ্যম যার মধ্যদিয়ে সৃষ্টিকর্তার জ্ঞান তার রাসুলদের কাছে সরাসরি এসেছে। পবিত্র আত্মা বিভিন্ন ধর্মের রাসুলদের কাছে বিভিন্ন আকৃতিতে উপস্থাপিত হয়েছে, যেমন মুসার কাছে আগুনে ভস্মিভুত ঝোপের আকারে, জরথুষ্ট্রের কাছে পবিত্র আগুনের আকারে, যীশুর কাছে পায়রার আকারে, মুহাম্মাদের আছে জীবরাঈলের আকারে এবং বাহাউল্লাহর কাছে বেহেশতের হুর এর আকারে।[১১]

মানবাত্মা আল্লাহ তায়ালার এক বিস্ময়কর ও রহস্যময় সৃষ্টি। আত্মা দেহকে সঞ্জীবিত করে তোলে এবং দেহে গতি সঞ্চার করে। দেহ ছাড়াও আত্মা থাকতে পারে তবে আত্মা ছাড়া দেহ অচল। মানবদেহ আত্মার নির্দেশ পালনের হাতিয়ারস্বরূপ। হুকুম তামিল করার জন্য সে সদা প্রস্তুত। আত্মার দুটি প্রবৃত্তি রয়েছে। সুপ্রবৃত্তি এবং কুপ্রবৃত্তি। সুপ্রবৃত্তি মানুষকে ন্যায়, সৎ ও সঠিক পথ নির্দেশ করে। অন্যদিকে কৃপ্রবৃত্তি মানুষকে অন্যায়, অসৎ ও বিপথে পরিচালিত করে। কোরানে কারিমে মানবাত্মা বিষয়ে অনেক আলোচনা রয়েছে। ইসলাম মানুষের আত্মাকে সাধারণত তিন স্তরে বিন্যস্ত করে। ক. নফসে আম্মারা বা কুপ্রবৃত্তিমূলক আত্মা, খ. নফসে লাওয়ামাহ বা বিবেকতাড়িত এবং গ. নফসে মুতমাইন্না বা প্রশান্ত আত্মা। কোরানে কারিমের সুরা ইউসুফের ২৪ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে, ‘নিশ্চয় মানুষের মন মন্দকর্মপ্রবণ।’ দুনিয়ায় এমন অনেক কিছু রয়েছে, যা আপাতদৃষ্টিতে লোভনীয় ও আকর্ষণীয় বলে প্রতীয়মান। মানুষ সহজেই এ সবে আকৃষ্ট হয় এবং বিপথে পরিচালিত হয়। কিন্তু মানুষের বুদ্ধি-বিবেক বা সুআত্মা বিদ্যমান বিধায় সে হীন-নীচ-কদর্য পথ থেকে বিরত থাকতে সমর্থ হয়।
মানব আত্মা বা নফস মহান আল্লাহর এক বিস্ময়কর ও রহস্যময় সৃষ্টি। এসব বিষয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা, গবেষণা ও অনুসন্ধান অহরহ চলছে। মানব জন্মের সাথে তার রূহ বা আত্মা কিভাবে দেহে সংযুক্ত হয় বা প্রবেশ করে তা অদ্যাপি অজ্ঞাত। আত্মা দেহকে সঞ্জীবিত করে তোলে এবং দেহে গতি সঞ্চার করে। অন্য দিকে দেহ ছাড়া আত্মার স্বরূপ অনুভূত হয় না বা জানা যায় না। দেহ-মন একীভূত হয়ে থাকলেও এদের মধ্যে কোনো অনিবার্য সম্পর্ক নেই- আত্মা মুক্ত স্বাধীন স্বতন্ত্র এবং স্বীয় বৈশিষ্ট্যে মহীয়ান। দেহ ছাড়াও আত্মা থাকতে পারে- তবে আত্মা ছাড়া দেহ অচল নির্জীব এবং নিরেট জড় পদার্থ মাত্র।

ক্রমশ:

সংকলন তথ্য সূত্র: অন্তর্জাল
সকল সাইট, সকল লেখক এবং সকল গবেষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে তথ্য সংগ্রহের ফলে সকল লিংক দিতে না পারায় দু:খিত।
কিছু পুরানো বই এবং যারা এ যাবত কাল এই জ্ঞান এবং ভাবনাকে চলমান রেখেছেন সকলের প্রতি শ্রদ্ধা !
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৬
৩৩টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রোএক্টিভিটি এবং কম্পাউন্ড ইফেক্ট: আমার গুরুত্বপূর্ণ দুইটি শিক্ষা

লিখেছেন মাহদী হাসান শিহাব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১১



আমার গুরুত্বপূর্ন দুইটা লার্নিং শেয়ার করি। এই দুইটা টুল মাথায় রাখলে দৈনন্দিন কাজ করা অনেক সহজ হয়। টুল দুইটা কাজ করতে ও কাজ শেষ করতে ম্যাজিক হিসাবে কাজ করে।

এক.

স্টিফেন কোভের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রসঙ্গ রূপান্তরঃ ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা এবং যৌনতা বিষয়ক কিছু আবশ্যিক আলাপ

লিখেছেন সায়েমার ব্লগ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৩

প্রসঙ্গ রূপান্তরঃ
ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা এবং যৌনতা বিষয়ক কিছু আবশ্যিক আলাপ

১।
যৌন প্রাকৃতিক, জেন্ডার নয়।জেন্ডার মানুষের সৃষ্টি (social, cultural construction)। যৌনকে বিভিন্ন সমাজ বিভিন্ন সময়ে যেভাবে ডিল করে, তাঁকে ঘিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্মৃতির ঝলক: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনুভূতি এবং মনের শান্তির খোঁজে

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০১



সরল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সংমিশ্রণে একটি ঘূর্ণায়মান পথ জুড়ে ঘুরে বেড়ানোর অবস্থানে আমি খুব শান্তি অনুভব করি। নদীর জল ছুঁয়ে পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে এক আন্তরিক সংযোগ অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×