বিয়ে কিংবা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বয়সের পার্থক্যটা ভেবে দেখা উচিত।
বয়সের অসামঞ্জস্যতা এসব সম্পর্কগুলোকে যেকোন পর্যায়ে গিয়ে নষ্ট করে দিতে পারে।
.
৭ম-৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন মেয়ের সাথে অনার্স পড়ুয়া কোন ছেলের প্রেমের সম্পর্ক অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পূর্ণতা পাবে না।আবার এসএসসি পাশ করা কোন মেয়ের সাথে মাস্টার্স শেষ করে চাকুরী করা কোন ছেলের বিয়ের সম্পর্কও সামঞ্জস্য পূর্ণ হবে না।
.
প্রত্যেকটা বয়সের স্তরের আলাদা আলাদা চাওয়া-পাওয়া,অবেগ-অনুভূতির পার্থক্য থাকে,যেগুলো মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে দুজনের বয়সের পার্থক্য বড় ভূমিকা পালন করে।
.
৭ম-৮ম শ্রেণীর একটি মেয়ের চাওয়া-পাওয়া,আবেগ-অনুভূতির সাথে অনার্স পড়ুয়া কোন ছেলের চাওয়া-পাওয়া,আবেগ-অনুভূতির সামঞ্জস্য করা খুবই কঠিন হবে।যেমনটা হবে মাস্টার্স শেষ করে চাকুরী করা সেই ছেলের এসএসসি পাশ করা বউয়ের চাওয়া-পাওয়া,আবেগ-অনুভূতির সাথে সামঞ্জস্য করায়।
.
যদিও উপোরক্ত দুটি ক্ষেত্রেই মেয়েদের বিয়ের বয়স পূরণ হবে না তবুও এটাই আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিচ্ছবি।
.
শুধু চাওয়া-পাওয়া,অবেগ-অনুভূতির ব্যাপার নয়,এগুলো সাথে জড়িত থাকে শারীরিক সমস্যার বিষয়সমূহও।যেগুলো সাংসারিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
.
গ্রাম্য রীতিতে বয়সের এমন পার্থক্যে বৈবাহিক নীতি এখনও বিদ্যমান রয়েছে,শহরেও নাই তেমটা না।
.
আসলে একটি সুখী সাংসারিক জীবনের জন্য দুজনের চাওয়া-পাওয়ার মিল থাকাটা যেমন আবশ্যক,তেমনি দুজনের আবেগ-অনুভূতি দুজনের বুঝতে পারাটাও গুরুত্বপূর্ণ।কিন্তু বয়সের অসামঞ্জস্যতা থাকলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুখী সাংসারিক জীবন যাপন করা সম্ভব হবে না।
.
.
বিঃদ্রঃ এগুলো সবই আমার ব্যাক্তিগত চিন্তাধারা,দ্বিমত থাকলে কমেন্ট অপশানে মতামত দিবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৮