পতাকার প্রথম নকশাবিদ হিসেবে পাঠ্য-পুস্তকসহ সর্বত্রই পটুয়া কামরুল হাসানের নামই প্রচারিত হয়ে আসছে। ঘন্টা তিনেক অন্তর্জালে অনুসন্ধান চালিয়েও পাওয়া গেছে কামরুল হাসানেরই নাম।
এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণার জন্য আমি শরণাপন্ন হয়েছিলাম, মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট গবেষক এমএমআর জালাল ভাইয়ের।
জালাল ভাইয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, 'বাঙালির জাতীয় সংগ্রাম: মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম' গ্রন্থের লেখক ডা. মাহফুজুর রহমান জানাচ্ছেন:
গাঢ় সবুজ জমিনের ওপর কেন্দ্রে লাল বৃত্তের মাঝে হলুদ মানচিত্রসহ বাংলাদেশের পতাকার প্রথম নকশাবিদ কামরুল হাসান নন। এই পতাকাটি শিবনারায়ণ দাশের করা।
১৯৭০ সালের ৬ জুন শাজাহান শিরাজের জহুরুল হক হলের (তখনকার ইকবাল হল) ১১৮ নম্বর রুমে পতাকাটির নকশা করা হয়েছিলো। সেলাই করে পতাকা প্রস্তুত হয়েছিলো নিউ মার্কেট-বলাকা এলাকার 'নিউ পাক ফ্যাশান টেইলার্স' নামক দর্জির দোকানে।
ওই রুমে বসে পতাকাটির নকশা করার পরিকল্পনা করেন কাজী আরেফ আহমদ, আসম আব্দুর রব, শাজাহান শিরাজ, মনিরুল ইসলাম ওরফে মার্শাল মনি, হাসানুল হক ইনু ও শিবনারায়ন দাস।
স্বাধীনতার পরে মানচিত্র বাদ দিয়ে পটুয়া কামরুল হাসানের জাতীয় পতাকাটির চূড়ান্ত নকশা সরকারিভাবে অনুমোদন করা হয়।
দুঃখজনক হলেও সত্যি, ইতিহাসের ধূসর পাতায় এই পতাকার প্রথম নকশাবিদ শিবনারায়ন দাশের নাম খুবই অস্পষ্ট অক্ষরে লেখা।।
.
(ডা. মাহফুজুর রহমানের গ্রন্থটির প্রকাশক, প্রকাশকালসহ আরেকটু বিস্তারিত তথ্য জানতে পারলে এই লেখায় সংযোজন করা হবে। স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে অনেকেই বেঁচে আছেন। তাদের সাক্ষাৎকার থেকেও ইতিহাসের এই অস্পষ্টতা দূর করা সম্ভব।)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২০