somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইডিয়টস জার্নি টু আম্রিকা!!! (শূন্য)

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আম্রিকা!!! স্বপ্নের দেশ! দি ল্যান্ড অফ অপরচুনিটি!!! জীবন বাজি ধরে হইলেও অনেকে এইখানে আস্তে চায়। কয়েক বছর আগেও যদি কুনু আধ্যাত্মিক ফকির বাবা কইত যে বাবা তুই কিছুদিন পর আম্রিকা যাইয়া থাকবি তাইলে আমি হয়ত তারে মুগুর নিয়া তাড়া করতাম! মাগার লাইফ জিনিসটাই আলাদা! একশ ভাগ আনপ্রেডিক্টেবল! বলতে গেলে এই আনপ্রেডিক্টেবিলিটি টাই আমাদের বাচাইয়া রাখে। যাই হউক, আজকে আমি আম্রিকায়। যেইটা কস্মিনকালেও কুনুদিন কল্পনা করি নাই, সেইটা বাস্তব হইয়া গেছে। ভোজবাজির মতন কইরাই লাইফের সব এস্পেক্ট চেঞ্জ হইয়া গেছে। কিন্তু এই চেঞ্জটা খুব সহজ ছিল না আমার জন্য। অনেক চড়াই-উৎরাই পার হইতে হইছে, অনেক কিছু শিখছি লাইফে। এই শিক্ষা চলতেই আছে, মরার আগ পর্যন্ত চলবে।

আম্রিকা একটা ইন্টারেস্টিং দেশ। লিমিটলেস ফ্রিডম আছে এইখানে। মজা করার হাজারো উপকরণ আছে, লাইফটাকে উপভোগ করার জন্য যা যা লাগে তার জন্য মোটামুটি সবকিছুই আছে। কিন্তু এরকম মজাদার একটা লাইফস্টাইলের মধ্যেও মাঝে মাঝে কাছে মনে হয় কি যেন একটা স্টিল মিসিং। অনেক খুঁজাখুঁজি করে একদিন মনে হইল এই মিসিং জিনিসটা হইল কোয়ালিটি ফ্রেন্ডের অভাব। এইখানে পথ চলতে যাইয়া অনেকের সাথে পরিচয় হয়। সবাই তথাকথিত ফ্রেন্ডও হয় (কিছু রেয়ার এক্সেপশন ছাড়া)। কিন্তু সবাই এত ব্যাস্ত থাকে যে একটু চোখের আড়াল হইলেই ফ্রেন্ডশিপ কালের অতল গহ্বরে হারায় যায়। আমি অনেকের সাথেই কর্মসূত্রে মিশছি, অনেক সময় স্পেন্ডও করছি কিন্তু আজকে তাদের অনেকেই নাই। অনেকেই যাওয়ার পথে। আমি কেউর দোষ দিচ্ছিনা, আসলে মোস্টলি এইখানকার সিস্টেমটাই এইরকম।

মাঝে মাঝেই মাথার মধ্যে কিছু ইন্টারেস্টিং চিন্তাভাবনা আসে, চিন্তা করি আমি কে? আমি এখানে কেন? আমার রুট কোথায়? পারপাস অফ লাইফ কিডা? ব্যাপারগুলা মাঝে মাঝেই ভাবায় কিন্তু কোন স্ট্রেইট এনসার পাওয়া যায় না। যখন দেশের কোথা চিন্তা করি তখন ইন্টারেস্টিং অনেক কিছুই স্মৃতির পাতায় ভাসে উঠে। কিন্তু মজার ব্যাপার হইল মেমরির অনেক কিছুই আমি আস্তে ভুলে যাচ্ছি। অন্যভাবে বললে ব্যাপারটা এমন দাঁড়ায় যে আমি নিজেকেই/নিজের একটা পার্টকে আস্তে আস্তে ভুলে যাচ্ছি। ব্যাপারটা বেশ আতঙ্কজনক। তাইলে কি করা যায়? ডায়েরির পাতায় নিজেকে ডকুমেন্ট করা ছাড়া কোন উপায় নাই দেখি!!! কিন্তু এইটার একটা সমস্যাও আছে। ডায়রির একটা সমস্যা হইল, এই লেখাটা নিজের জন্যই লেখা হয়, সো এইটাতে এমন কিছু লেখা থাকে যেইটা খুব পারসোনাল, সেনসিটিভ এবং কম্প্রোমাইজিংও হইতে পারে। এই সেনসিটিভ ব্যাপারগুলা মেমরি থেকে খুব সহজে ইরেজ হয় না, ইরেজ হয় কম সেনসিটিভ জিনিসগুলা। আর সবচেয়ে বড় সমস্যা হইল এই একান্ত ব্যাক্তিগত লেখাগুলা কারো হস্তগত হইলে লজাস্কর পরিস্থিতি থেকে শুরু করে ব্ল্যাকমেইল পর্যন্ত অনেক কিছুই হইতে পারে এইখান থেকে। আমি নিজে দুইবার অনেক সময় ব্যয় করে লাইফের অনেক কিছু লিপিবদ্ধ করছিলাম। পরে যখন নিজেই নিজের লেখা পরতেছিলাম তখন বাধ্য হইয়া ডায়েরি দুইটারে নিজের হাতে পুড়াইয়া দেওয়া লাগছে!!!

এই সবগুলা সমস্যার সমাধান পাইছি ফেইসবুকের নোটে আর সামু ব্লগে। এইখানে লাইফের স্টোরিগুলা নিজের মত করেই লেখা যায়। ইভেন এইখানে নিজের সিক্রেটও স্পিল করা যায় বড় ধরনের কোন রিস্ক ছাড়াই। আর সবচেয়ে বড় ফায়দাটা হইল নিজেরে/ নিজের পাস্টরে ভালোভাবে প্রিজারভ করা যায় (নন-ফিকশন লিখলে)। আমার আম্রিকা আসার স্টোরিটা আমার কাছে খুব সিগনিফিকেন্ট একটা স্টোরি। যাতে ফিউচারে চাইলেই নিজের স্মৃতিচারণ নিজেই করতে পারি এই জন্য আম্রিকা আসার কাহিনীটা নিয়া এই সিরিজটা লিখতেছি। আর বোনাস হিসাবে কিছু ফেইসবুক লাইক/ব্লগের হিট তো থাকবেই...!!!



(চলপে.....)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৩১
২০টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×