আগের কাহিনীর পর.........।
এই ঘটনার কয়েকদিন আগে ইন্ট্রোডাকশন টু ইন্টারনেট নামে একটা ওয়ার্কশপে গেছিলাম। বিবিএ’র বড় ভাইরা ওইটা অরগানাইজ করছিল। ব্যাপারটা ছিল এমন যে ওনারা ইন্টারনেট ক্যামনে ব্যাবহার করা লাগে ওইটা শিখাবে আরকি। আর ফিস ছিল পার হেড ২০টাকা! ওইখানে ওনারা বেসিক্যালি ডাবল কিলিক কইরা ক্যামনে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ওপেন করা লাগে, গুগল করা আর ক্যামনে ইয়াহুতে মেইল একাউন্ট খুলা লাগে ওইটাই শিখাইতেছিল! আমারতো মাউসের উপ্রে কিলিক মারারি অভ্যাস আছিল না তার উপ্রে নাকি আবার ডাবল কিলিক মারা লাগবে এক্সপ্লোরার খুলতে! কেমনে হয়? যে জীবনে ডাবল কিলিক করে নাই তার জন্যে এইটা যে কত্ত কঠিন সেইটা যে করে নাই সেই বোজে! বেশ কয়েকবার ব্যারথ চেষ্টার পর কামটা করতে পাইরা মনে হইতেছিল যে হিটলাররে হারাই দিছি! যাই হউক ওইদিনের খুলা মেইল আইডি খানা বেশ সযত্নে কাগজে লিক্ষা সেইভ কইরা রাকছিলাম (আইজ পর্যন্ত ব্যাবহার হইতেছে)!
ওই লোকরে বাড়ী পাঠাই দিয়া হলে যাইয়া তো আর ঘুমাইতে পারি না! কেমনে কি করি? নতুন ক্যাম্পাসে উঠা উপলক্ষে আমার বাপে আমারে নোকিয়া ৩১১০ থেইকা নোকিয়া ৫১১০ এক্সপেরেস মিউজিক কিনা আমারে আপগেরেড কইরা দিছিল! ওইটা দিয়া নাকি আবার ইন্টারনেটেও ঢুকা যাইত! সেই রাইতে ঘুম ফালাইয়া বহুত গুঁতাগুঁতি কইরা অপেরা মিনি ডাউনলোডাইলাম, তার পরে অপেরা মিনিতে যাইয়া ইয়াহুতে ঢুকলাম! ঢুইকা তো পুরাই তব্দা খাইয়া গেলাম! অকি! পেইজ এরাম দেখায় কিয়েরে? ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার দিয়া তো অন্যরকম দেখাইত! পরে বুজছি মুপাইলে জিনিসপত্র একটু আলাদা দেখায়। আল্লার নাম কইরা মেইল আইডি আর পাসওয়ার্ড দিয়া ভিত্রে ঢুইকা পরলাম আরকি!
এইবার পরলাম বিপদে! কেমনে কি করমু! কারে মেইল দিমু? কাউরে তো জীবনে মেইল দেই নাই! ক্যামনে লিখে ওইটাও জানি না। তার উপ্রে মেইল আইডি পামু কই? চিন্তা করলাম শেষ পর্যন্ত এইখানে আইয়া ধরাটা খাইয়া গেলাম! মাগার পরক্ষণেই মাথায় গুগলের চিন্তা আইয়া পরল! বেশ কিছুক্ষণ গুগল লইয়া লাড়াচাড়া কইরা একখান মেইল আইডি পাইলাম! ওইটা নাকি আম্রিকার ডীভী ডিপার্টমেন্টের!!! ওই আইডিতেই লাইফের পরথম মেইল লিখলাম,
“আমি নাকি ডিভি পাইছি?
হাছানি?”
তারপর খুঁতখুঁতানি লইয়াই ঘুমাইতে চইলা গেলাম!পরেরদিন সকালে কি মনে কইরা আবার মেইলে ঢুকতে যাইয়া দেখি আরর...রেহ!!!! একখান মেইল আইসা রইছে! আমার আনন্দ আর কে দেখে? মেইল পাইছি আম্রিকা থেইকা! লাইফটা পুরাই ধইন্ন হইয়া গেল! বহুত মনযোগ দিয়া (কষ্ট কইরা) পইড়া বুঝলাম এইখান একখান অটোমেটেড মেইল! রিপ্লাই করতে মানা করছে আর কইছে ৩-৫ বিজনেস ডে’র মইদ্দে ইনকোয়ারির উত্তর দিবে! অটোমেটেড হোক আর যাই হোক, আম্রিকান মেইল বইলা কথা। আমার তো আর আনন্দ ধরে না এমন অবস্থা! পারলে কয়েক মিনিটের জইন্ন আর্কিমিডিস হইয়া যাই এমন ফিলিং হইতেছিল!!
এরপর দুইটা দিন কুনরকম ঘটনা/বেঘটনা ছাড়াই চইল্লা গেল! দুইদিন পর মেইল পাইলাম আরেকখান। মেইলে সাফ কইয়া দিছে। তুমি ডিভি পাইছো কিনা সেইটাতো আমরা কইতে পারমু না! মাগার তুমি যদি তুমার নাম, বাড্ডে আর ডিভি এপ্লিকেশনের কনফার্মেশন নাম্বারটা দিতে পার তাইলে আমরা তুমারে হেল্পাইতে পারি!
মেইল দেইখা তো আমার মাথা নষ্ট! কনফার্মেশন নাম্বার এখন কই পামু। ওইটা ডিভি এপ্লিকেশনের খামের মইদ্দে পইড়া থাকার কথা! আর খাম যে কই আছে না আছে কে জানে? এর মইদ্দে তো আমি আবার শহর থেইকা হলে মুভ করছি, সেই মহামূল্যবান জিনিসখানা গারবেজ মনে কইরা কুথাও ফালাই দেই নাই তো?
(চলতে থাকপে......।)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৯