somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইডিয়টস জার্নি টু আম্রিকা!!! (তিন)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আগের কাহিনীর পর.........।

এই ঘটনার কয়েকদিন আগে ইন্ট্রোডাকশন টু ইন্টারনেট নামে একটা ওয়ার্কশপে গেছিলাম। বিবিএ’র বড় ভাইরা ওইটা অরগানাইজ করছিল। ব্যাপারটা ছিল এমন যে ওনারা ইন্টারনেট ক্যামনে ব্যাবহার করা লাগে ওইটা শিখাবে আরকি। আর ফিস ছিল পার হেড ২০টাকা! ওইখানে ওনারা বেসিক্যালি ডাবল কিলিক কইরা ক্যামনে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ওপেন করা লাগে, গুগল করা আর ক্যামনে ইয়াহুতে মেইল একাউন্ট খুলা লাগে ওইটাই শিখাইতেছিল! আমারতো মাউসের উপ্রে কিলিক মারারি অভ্যাস আছিল না তার উপ্রে নাকি আবার ডাবল কিলিক মারা লাগবে এক্সপ্লোরার খুলতে! কেমনে হয়? যে জীবনে ডাবল কিলিক করে নাই তার জন্যে এইটা যে কত্ত কঠিন সেইটা যে করে নাই সেই বোজে! বেশ কয়েকবার ব্যারথ চেষ্টার পর কামটা করতে পাইরা মনে হইতেছিল যে হিটলাররে হারাই দিছি! যাই হউক ওইদিনের খুলা মেইল আইডি খানা বেশ সযত্নে কাগজে লিক্ষা সেইভ কইরা রাকছিলাম (আইজ পর্যন্ত ব্যাবহার হইতেছে)!

ওই লোকরে বাড়ী পাঠাই দিয়া হলে যাইয়া তো আর ঘুমাইতে পারি না! কেমনে কি করি? নতুন ক্যাম্পাসে উঠা উপলক্ষে আমার বাপে আমারে নোকিয়া ৩১১০ থেইকা নোকিয়া ৫১১০ এক্সপেরেস মিউজিক কিনা আমারে আপগেরেড কইরা দিছিল! ওইটা দিয়া নাকি আবার ইন্টারনেটেও ঢুকা যাইত! সেই রাইতে ঘুম ফালাইয়া বহুত গুঁতাগুঁতি কইরা অপেরা মিনি ডাউনলোডাইলাম, তার পরে অপেরা মিনিতে যাইয়া ইয়াহুতে ঢুকলাম! ঢুইকা তো পুরাই তব্দা খাইয়া গেলাম! অকি! পেইজ এরাম দেখায় কিয়েরে? ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার দিয়া তো অন্যরকম দেখাইত! পরে বুজছি মুপাইলে জিনিসপত্র একটু আলাদা দেখায়। আল্লার নাম কইরা মেইল আইডি আর পাসওয়ার্ড দিয়া ভিত্রে ঢুইকা পরলাম আরকি!

এইবার পরলাম বিপদে! কেমনে কি করমু! কারে মেইল দিমু? কাউরে তো জীবনে মেইল দেই নাই! ক্যামনে লিখে ওইটাও জানি না। তার উপ্রে মেইল আইডি পামু কই? চিন্তা করলাম শেষ পর্যন্ত এইখানে আইয়া ধরাটা খাইয়া গেলাম! মাগার পরক্ষণেই মাথায় গুগলের চিন্তা আইয়া পরল! বেশ কিছুক্ষণ গুগল লইয়া লাড়াচাড়া কইরা একখান মেইল আইডি পাইলাম! ওইটা নাকি আম্রিকার ডীভী ডিপার্টমেন্টের!!! ওই আইডিতেই লাইফের পরথম মেইল লিখলাম,

“আমি নাকি ডিভি পাইছি?
হাছানি?”


তারপর খুঁতখুঁতানি লইয়াই ঘুমাইতে চইলা গেলাম!পরেরদিন সকালে কি মনে কইরা আবার মেইলে ঢুকতে যাইয়া দেখি আরর...রেহ!!!! একখান মেইল আইসা রইছে! আমার আনন্দ আর কে দেখে? মেইল পাইছি আম্রিকা থেইকা! লাইফটা পুরাই ধইন্ন হইয়া গেল! বহুত মনযোগ দিয়া (কষ্ট কইরা) পইড়া বুঝলাম এইখান একখান অটোমেটেড মেইল! রিপ্লাই করতে মানা করছে আর কইছে ৩-৫ বিজনেস ডে’র মইদ্দে ইনকোয়ারির উত্তর দিবে! অটোমেটেড হোক আর যাই হোক, আম্রিকান মেইল বইলা কথা। আমার তো আর আনন্দ ধরে না এমন অবস্থা! পারলে কয়েক মিনিটের জইন্ন আর্কিমিডিস হইয়া যাই এমন ফিলিং হইতেছিল!!

এরপর দুইটা দিন কুনরকম ঘটনা/বেঘটনা ছাড়াই চইল্লা গেল! দুইদিন পর মেইল পাইলাম আরেকখান। মেইলে সাফ কইয়া দিছে। তুমি ডিভি পাইছো কিনা সেইটাতো আমরা কইতে পারমু না! মাগার তুমি যদি তুমার নাম, বাড্ডে আর ডিভি এপ্লিকেশনের কনফার্মেশন নাম্বারটা দিতে পার তাইলে আমরা তুমারে হেল্পাইতে পারি!

মেইল দেইখা তো আমার মাথা নষ্ট! কনফার্মেশন নাম্বার এখন কই পামু। ওইটা ডিভি এপ্লিকেশনের খামের মইদ্দে পইড়া থাকার কথা! আর খাম যে কই আছে না আছে কে জানে? এর মইদ্দে তো আমি আবার শহর থেইকা হলে মুভ করছি, সেই মহামূল্যবান জিনিসখানা গারবেজ মনে কইরা কুথাও ফালাই দেই নাই তো?

(চলতে থাকপে......।)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৯
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×