somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইডিয়টস জার্নি টু আম্রিকা (ছয়)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আগের কাহিনীর পর.........।
কিছুদিন পর আমি দালাল মামাগোরে কল দিয়া জিগাইলাম যে মামারা কি খবর? দালাল মামারা আমারে কয় যে কাগজপত্রগুলা দিয়া আসার পনের দিন পর ওরা নাকি আমার চিঠি সরাসরি আম্রিকা পাঠাই দিছে। আমার কিন্তু আর বিশ্বাস হয় না যে ব্যাটারা কাগজপত্র আসলেই পাঠাইছে কিনা। এর মধ্যে একদিন আমি আবার ওই মেইল আইডিতে মেইল পাঠাইলাম কি খবর জানার জন্য। আমি একচুয়ালি সিউর ছিলাম না যে কি জানমু। আবার সেইম ইস্টাইলে কয় কেইস নম্বর সহ মেইল কর নাইলে কিচ্ছু করতে পারতাম না! সো কেইস নম্বর সুদ্ধ মেইল পাঠাইলে তারপর ওইখান থেইকা রিপ্লাই পাইলাম যে তাঁরা নাকি আমার চিঠি পাইছে “উই হ্যাভ রিসিভড ইয়োর প্যাকেট এন্ড ইট ইজ ওয়েইটিং টু বি প্রসেসসড”! এরপর প্রায় একমাস পরে সিমিলার মেইলের রিপ্লাইয়ে বলে যে , “ইট ঈজ বিয়িং প্রসেসসড”।

এই কয়েকমাস সময় লাইফটা বেশ অনিশ্চিত হইয়া গেছিল। সো সামহাউ, আমি ব্যাপারটারে গুপন রাকতে পারি নাই। ফ্লাশ হইয়া গেছিল। কাহিনীটা নিজেই ফাঁস কইরা দিছিলাম। আমার ক্লাসমেট থেইকা শুরু কইরা সিনিয়র রুমমেট ভাইয়েরা সবাই আমারে ম্যারিকা বিপ্লব বইলা খেপাইতেছিল। কেউ ধারনা করে নাই যে আমি সত্য সত্যই আম্রিকা চইলা আসব। কাউরে কিছু কইতেও পারতেছিলাম, কারন ভিসা হওয়ার আগে পর্যন্ত আমি সিউর ছিলাম না যে আসলে আমার আম্রিকা যাওয়া হবে কি না! পড়াশুনাও লাটে উঠছিল আমার! শালার পরীক্ষা গুলায় আবার ভাইভাও ছিল! রিটেন এক্সামগুলা যেমন তেমন কইরা পার হওয়া গেলেও ভাইভাতে স্যারগুলা ঠিকই ক্যাঁক কইরা ধইরা ফালাইত। আর মরার উপর খাড়ার ঘা হিসাবে আমার দুইজন ভাইভামেটের একজন ছিল এক্স-ভিকি (ভিকারুন্নেসা)। এই সুন্দরি প্রশ্নের সিরিয়ালে পড়ত তিনজনের মধ্যে সবার শেষে। এই মাইয়া খুব চুপচাপ স্বভাবের ছিল। কিন্তু বিপদের কথা হইল, হ্যারে ভাইভাতে স্যারেরা যা জিগাইত, সবকিছুরই উত্তর পটাপট বইলা দিত। আমি আর ২য় জন যেইগুলা পারতাম না হ্যায় সেইগুলা যেন বেশি পারত। ফলাফলঃ আমি সাকা চৌধুরীর মত োদনা হইয়া যাইতাম। (বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারছি ইদানীং তাঁরে নাকি আড়ালে আবডালে সাবানা নামে ডাকা হইতেছে আর জসীমও হইল আমাদের ব্যাচেরই আরেকজন)। এই সুন্দরি আমার লাইফটা এক বছরের জন্য কঠিন কইরা দিছিল।

ক্যাম্পাসগুলার একা অলিখিত নিয়ম হইল, নতুন ভর্তি হওয়া সুন্দরিগুলার উপর সিনিয়র ভাইগুলা বাজপাখির মত চাইয়া থাকে। সেরকমই ফোরথ ব্যাচের এক বড় ভাই আমাদের সাথের এক লাল বোরকাওয়ালির পিরিতে হাবুডুবু খাইতেছিল। সামহাউ এই লোকেরে কেউ বলছে যে আমি নাকি অরে শাদি কইরা লগে কইরা আম্রিকা লইয়া চইলা আসমু। এই লোকের তো পুরাই ঘুম ছুইট্টা গেছিল। এই ভদ্রলোক আমারে রীতিমত পাহারা করতেছিল। চক্ষে চক্ষে রাখত। মাগার কিচ্ছু ডাইরেক্টলি কইতেও পারত না। তিন ব্যাচ সিনিয়র বইলা কথা! তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আমার অনুপস্থিতি সত্ত্বেও উনার সকল চেষ্টা ব্যারথতায় পর্যবসিত হইছে। আর এই সুন্দরি ডিভিএম কমপ্লিট কইরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এস করা অবস্থায় এক ছাওয়ালের সাথে হলে পিরিতে মত্ত! সেই ভাইয়ের জইন্ন আপচুচ!!


এরকম অনিশ্চয়তার মধ্যে প্রায় ছয় মাস কাটানোর পর একটা মেইলের রিপ্লাই পাইলাম যে আমার এপয়েন্মেন্টের পেপার নাকি মেইলে পাঠাই দিছে। এবং সাপ্লিমেন্ট হিসেবে আমারে চিঠির কপিটা ই-মেইলে এটাচ কইরা পাঠাই দিছে। মজার ব্যাপার হইল দালাল মামাগোর সাথে তখন আমার মিনিমাল কন্ট্যাক্ট ছিল। এইটা পাওয়ার পর অগোরে তাড়া দিলাম। তখন ওরা কয় তাইলে পাসপোর্ট করেন। এপ্লাই করলাম পাসপোর্টের!
কিছুদিন পর থানা থেইকা পুলিশ গেল ভেরিফিকেশ্নের জন্য। আমি লাকিলি তখন গ্রামের বাজারের পাশেই ছিলাম। পুলিশ মামারা আমারে ডাইকা নামধাম জিগাইয়া ছাইড়া দিল আরকি। আর লোকজনরে হয়তো জিগাইছে দুই এক কথা। এলাকায় স্পটলেস রেপুটেশনের অধিকারী হওয়ায় পুলিশ মামারা মনে হয় কোনরূপ টাকা পয়সার ভ্যাজালে না যাইয়া সেইবারের মত চুপচাপ চইলা গেছিল!

(চলতে থাকপে......।)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩১
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×