somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানব মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে আসছে ! বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি আমাদের পিছনে নিয়ে যাচ্ছে নাতো ?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানব মস্তিষ্কের আকার দিন দিন ছোট হয়ে আসছে । উইসকন্সিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক মানুষের কঙ্কাল এবং খুলির উপর গবেষণা করে পেয়েছেন যে বিগত ২০ হাজার বছর ধরে মানুষের মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে আসছে । ২০ হাজার বছর আগে মানুষের মস্তিষ্কের আয়তন ছিল ১৫০০ কিউবিক সেন্টিমিটার সংক্ষেপে সি.সি, বর্তমানে কমে তা ১৩৫০ সি.সিতে দাঁড়িয়েছে (কমেছে ১৫০ সিসি যা আকারে একটা টেনিস বলের সমান) । এর মানে আমরা দিনকে দিন উন্নত জাতের শিম্পাজিতে বা নির্বোধে পরিণত হতে চলেছি!

বিজ্ঞান প্রযুক্তির সাথে মানুষের জ্ঞানের ’ট্রেড-অব’ সম্পর্ক মানে একটা বাড়লে আরেকটা কমবে । এখন আমরা একটা অপ্টিমাম পয়েন্টে আছি যেখানে প্রযুক্তি এবং মানুষের জ্ঞান ব্যালেন্স আছে ! তাই এখন বিজ্ঞান যত প্রযুক্তি আবিষ্কার করবে মানুষ ততই বোদাই হবে ! বিজ্ঞানীদের ধারনা আজ থেকে ২০ হাজার বছর পরে মানব মস্তিষ্কের আয়তন হবে ১১০০ সি.সি যেটা কিনা মানুষের আগের প্রজাতি হোমো ইরেক্ট্রাস এর সমান ! প্রযুক্তি ধরে রাখার মত জ্ঞান মানুষ হারিয়ে ফেলবে এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় ! তাই টাইম মেশিন নিয়ে যদি কয়েক শতাব্দী পরে যাওয়া যায় তাহলে সেখানে হয়ত দেখা যাবে মানুষ আবার তরওয়াল যুদ্ধের যুগে ফিরে গেছে অথবা নিউটনের গতি সূত্র আবিষ্কারে কাজ করছে নতুন করে !

যাই হোক মানব মস্তিষ্কের আকার কেন ছোট হয়ে আসছে তার কিছু উদাহারন দিচ্ছি !

বিজ্ঞান মানুষকে অলস করে দিচ্ছে । জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চাই মানুষকে অনেক বুদ্ধিদীপ্ত করে তোলে । জ্ঞানের চর্চার অভাবেই মানুষের মস্তিষ্কের অনেক অংশ অকেজো হয়ে পরেছে ! আর অকেজো অংশ বা অব্যাহত অংশ আস্তে আসতে হারিয়ে যাচ্ছে কালের গহ্বরে , এটা একটা ন্যাচারাল প্রসেস ! এবার উদাহারনে আসা যাক , বিজ্ঞান আমাদের উন্নত প্রযুক্তির কফি মেশিন দিয়েছে , আমাদের কফি খেতে মন চাইলেই মেশিনের নিচে কাপ দিয়ে পছন্দমত কফির বাটন ক্লিক করলে কাপে কফি ঢেলে দিচ্ছে ! কফি কিভাবে তৈরি হচ্ছে আমাদের জানার কোন প্রয়োজন নাই , আজ থেকে ১০০ শত বছর আগে ব্যাপারটা এমন ছিল না । তখন কফি বানাতে হত ম্যানুয়ালি বানাতে হত মানে মানুষের অবধান ছিল বানাতে ! যেহেতু অনেক কিছুতেই আর মাথা খাটাতে হয় না তাই আমাদের ব্রেনের অনেক অংশই বেকার হয়ে বসে থাকে চর্চার অভাবে ! অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন মানুষ যদি চিন্তা বা জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা না করত তাহলে স্মার্ট ডিভাইস বা উন্নত জাতের মোবাইল, ক্যামেরা কিভাবে বানাল ! সংক্ষেপে উওর দিলে এই চর্চাটা করছে শুধু মাত্র ০.৫ শতাংশ মানুষ আর সাধারণ মানুষ শুধুতা ব্যাবহার করছে!

এর উপর আরেকটা উদাহারণ দিচ্ছি , বর্তমানের শিক্ষিত জনগোষ্টি নিজেরা সন্তান নিচ্ছে না বা কম সন্তান নিচ্ছে কারণ তারা বাচ্চা নেবার আগে চিন্তা করছে বাচ্চাকে ঠিকমত পড়াশুনা করাতে পারবে কিনা, বাচ্চার উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারবে কিনা ! আর আমরা যদি আমাদের দেশের অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই তারা পেটে ভাত নাই কিন্তু ধুমায়া বাচ্চা কাচ্চা উৎপাদন করে দেশের চালের দাম বাড়িয়ে চলছে ! এভাবেই শিক্ষিত বা জ্ঞানের চর্চাকারি মানুষের সংখ্যা কমছে !

যেহেতু মানব জাতির মস্তিষ্কের আয়তন সবচেয়ে বড় ছিল প্রায় ২০ হাজার বছর আগে তাই আমরা স্বাভাবিকভাবেই বলতে পারি সবচেয়ে স্মার্ট এবং বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের প্রজন্ম আমরা রেখে এসেছি আজ থেকে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে । তাহলে প্রশ্ন হল বর্তমানের হাবা হাসমত মানুষগুলো (২০ হাজার বছর আগের তুলনায়) বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে কিভাবে এত উন্নতি সাধন করল ? যৌক্তিক প্রশ্ন , এই প্রশ্নের উত্তর আমি আমার আগের লেখায় দিয়েছি !

লেখার শুরুতেই আমি বলেছিলাম মানব সম্প্রদায় উন্নত জাতের শিম্পাঞ্জিতে পরিণত হতে চলেছে মানে আবার ষ্টোন বা পাথর যুগের আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ি ! মানুষ এবং শিম্পাঞ্জির ডিএনএর মধ্যে মিল প্রায় ৯৯ শতাংশ । পৃথিবীর বুদ্ধিমান প্রাণীর মধ্যে মানুষের পরেই শিম্পাঞ্জির অবস্থান । প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে নেয়ার মত অসাধারণ দক্ষতা আছে তাদের । শিম্পাঞ্জির সবচেয়ে বড় গুন হল এরা পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করে নিদিষ্ট কোন কাজ সম্পাদন করতে পারে। বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুসারে জ্ঞান এবং দক্ষতার বিচারে মানুষের পরেই এদের অবস্থান ! তাই কয়েক শতাব্দী পর মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞানের লেবেল শিম্পাঞ্জিদের কাছাকাছি যাবে ভাবলে অবাস্তব কিছু না ! !

এই বিষয়ের উপর হলিউডের একটা ছবি আছে, নাম ইডিওক্রেসি যেখানে দুজন তরুণ তরুণীকে ফ্রিজিং করে রেখে দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা যাদের আইও-কিউ এভারেজ । এই তরুণ তরুণ কয়েক শতাব্দী পরে ঘুম থেকে উঠে দেখে মানব জাতি সব উন্নত জাতের বলদ ! আই কিউ লেভেল খুবই নিম্ন মানের তারা দুজনই হল পৃথিবীর সবচেয়ে ইন্টিলিজেন্ট ! কেউ চাইলে মুভিটা দেখতে পারেন মজা পাবেন নিশ্চিত ! ট্রেইলার


সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×