somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ৬ষ্ট পর্ব) : মহাবিস্ফোরণের আদি-কথা এবং যেভাবে সৃষ্টি হল আমাদের এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড

০৪ ঠা মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ থেকে প্রায় ১৪ বিলিয়ন বছর আগে আমাদের এই চেনাজানা মহাবিশ্ব কেমন ছিল ? আজকের এই মহাবিশ্বে পরিণত হতে কোন অদৃশ্য শক্তি কি কাজ করেছে ? আধুনিক বিজ্ঞান কি বলে এই ব্যাপারে ? প্রশ্ন গুলো আমাকে ভাবিত করে । বিগ-ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের শুরুর সময় ঠিক কি ঘটেছিল আর কিভাবেই বা সৃষ্টি হল আমাদের এই মহাজগৎ , ছায়াপথ এবং সর্বোপরি আমাদের বসবাসযোগ্য পৃথিবী নামের এই গ্রহ ? আজকের লেখায় এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব ।


বিখ্যাত বিজ্ঞানী এডউইন হাবল বিখ্যাত টেলিস্কোপের সাহায্যে আকাশের ছায়াপথগুলোর দিকে তাকিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন ছায়াপথগুলো একে অপর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে যা থেকে বুঝা যায় এক সময় তা খুব ঘন সন্নিবদ্ধ অবস্থায় ছিল যা থেকে মহাবিস্ফোরণের হয়ে আমাদের এই পরিচিত বিশ্বজগৎ এবং পৃথিবী নাযিল হয়। তখনকার সেই ঘন সন্নিবদ্ধ অবস্থার ক্ষুদ্র শিশু বিশ্বজগতের তাপমাত্রা ছিল অনেক বেশী । আমাদের এই শিশু বিশ্বজগৎ মহা-বিস্ফোরিত হয়ে সম্প্রসারিত হতে শুরু করে তখন এর তাপমাত্রা কমতে শুরু করে । মহাজগৎ যখন আকারে দ্বিগুণ হয় তখন তার ভিতরের তাপমাত্রা অর্ধেকে নেমে আসে।

মহাবিস্ফোরণের শুরুর এক সেকেন্ডের পরে তাপমাত্রা কমে ১০ হাজার মিলিয়ন ডিগ্রি হয়ে যায় যেটা কিনা আমাদের এই সূর্যের কেন্দ্রের তাপমাত্রার ১০০ গুন বেশী । এই সময় মহাজগৎ এ হালকা কণা পোট্রন, ইলেকট্রন এবং নিউট্রিনো উপস্থিতি ছিল। তাপমাত্রা যখন আরও কমতে শুরু করে তখন অধিকাংশ ইলেকট্রন তাদের এন্টিইলেকট্রনের সাথে সংঘর্ষণের ফলে হারিয়ে যায় । তবে নিউট্রিনো এবং এন্টি নিউট্রিনো কম ধ্বংস হয়েছে যেহেতু এই পার্টিকেল গুলো নিজেদের মাঝে দুর্বলভাবে সংঘর্ষণ করেছিল। আমাদের শুরুর মহাবিশ্ব কেমন ছিল তার আরও বিশদ ধারনা পাওয়া যেত যদি আমরা এই কণাগুলো অবলোকন করতে পারতাম তবে আফসোসের বিষয় হল এগুলোর এনার্জি এতই কম আমরা তা কখনই পাকরাও করতে পারব না ! পদার্থ বিজ্ঞানী ষ্টিফেন হকিংস তার বিখ্যাত বই এ ব্রিফ হিস্টোরি অব টাইম এ উল্লেখ্য করেন তিন ধরনের কণার মাঝে নিউট্রিনো যদি মাস-লেস না হত তাহলে এর গ্রাভিটির ফলে মহাজগৎ আবার নিজেদের মাঝে ঘুটিয়ে গিয়ে ধ্বংস হয়ে যেত।

বিগ-ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের শুরুর একশত সেকেন্ড পরে তাপমাত্রা কমে দারায় ১০০ মিলিয়ন ডিগ্রি যা কিনা আমাদের এই বিশ্বজগতের সবচেয়ে উত্তপ্ত নক্ষত্রের কেন্দ্রের তাপমাত্রার সমান । এই তাপমাত্রায় পোট্রন এবং নিউট্রন একত্রিত হয়ে তৈরি করে ভারি কণা হাইড্রোজেন (deuterium) । এই হেভি হাইড্রোজেন আরও পোট্রন এবং নিউট্রন এর সাথে মিলে তৈরি করে হিলিয়াম নিউক্লীয়।

আমরা একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিশ জানলাম মহাবিস্ফোরণের শুরুতে এ হালকা কণা পোট্রন, ইলেকট্রন এবং নিউট্রিনো উপস্থিতি ছিল তা থেকে হেভি হাইড্রোজেন এবং হিলিয়ামের সৃষ্টি হয় । মূলত এই উপাদানগুলোই আমাদের ছায়াপথ , গ্রহ , নক্ষত্র এবং ব্ল্যাক হোল তৈরিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন । এখানে বলে রাখা প্রয়োজন জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য্য উপাদান অক্সিজেন এবং কার্বন তখনও উৎপাদন হয় নাই।

যেভাবে সৃষ্টি হল ছায়াপথ

মহাবিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পরে হিলিয়াম এবং অন্য গ্যাস উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার কয়েক মিলিয়ন বছর পর্যন্ত আমাদের এই চেনা মহাজগৎ সম্প্রসারিত হয়েছে এবং তাপমাত্রা কমেছে কয়েক হাজার ডিগ্রি পর্যন্ত। যেহেতু তাপমাত্রা কমেছে তাই হিলিয়াম এবং অবশিষ্ট ইলেকট্রন মিলে জন্ম দেয় পরমাণুর। বিজ্ঞানী হকিং তার বইতে বলেছেন যেহেতু মহাবিশ্ব ক্রমশ বড় এবং এর তাপমাত্রা কমার ফলে কিছু অঞ্চলের ঘনত্ব হয়ত গড় ঘনত্বের থেকে বেড়ে গিয়েছিল । যেহেতু কিছু অঞ্চলের ঘনত্ব বেড়ে গিয়েছিল সেখানে হয়ত তৈরি হয়েছিল শক্তিশালী গ্রাভিটির । এই শক্তিশালী গ্রাভিটির ফলে সেই এলাকায় সম্প্রসারণ কমে গিয়ে নিজেদের মাঝে ঘুটিয়ে যাওয়া শুরু করে এবং সেখানে ঘূর্ণনের সৃষ্টি হয় । আর এভাবেই তৈরি হয় ঘূর্নয়নমান গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের , আর যেই অঞ্চলে এই ধরনের ঘূর্ণন হয় নাই সেখানে তৈরি হয়েছে উপবৃত্তাকার ছায়াপথের ।




যেভাবে সৃষ্টি হল গ্রহ, নক্ষত্র এবং ব্ল্যাক হোল

সময়ের পরিক্রমায় ছায়াপথ থেকে হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম খণ্ড খণ্ড মেঘ আকারে ভেঙ্গে গিয়ে সাতার কাটতে থাকে ছায়াপথে । এই মেঘ খণ্ড নিজেদের গ্রাভিটির ফলে আবার একত্রিত হয়ে তৈরি করে নক্ষত্রের । যেহেতু একত্রিত হয়েছে তাই নিজেদের মাঝে আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয় যার ফলে নিজেদের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে হাইড্রোজেন পুরে হিলিয়াম পরিণত হতে থাকে । আর প্রক্রিয়া চলতে থাকে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর তাই আমরা নক্ষত্রকে এত উজ্জ্বল দেখতে পাই ।



যাইহোক নক্ষত্রের সব হাইড্রোজেন যখন পুরে শেষ হবে তখন কি হবে ? যৌক্তিক প্রশ্ন সব হাইড্রোজেন যখন পুরে হিলিয়ামে পরিণত হবে তখন এক ধরনের শূন্যতার সৃষ্টি হবে । হিলিয়াম আবার পুরে ভারি কণা অক্সিজেন এবং কার্বন এ পরিণত হয় । আর এভাবেই নক্ষত্রের হায়াতের জিন্দেগী শেষ হয়ে যায় তার সামনে এসে দাঁড়ায় মালাকুল মৌউত ! যাইহোক একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বলে নেই নক্ষত্র মরার আগ দিয়ে জীবন ধারণের জন্য শুরুত্বপূর্ন্য উপাদান হিলিয়াম পুরে ভারি কণা অক্সিজেন এবং কার্বন এর জন্ম দিয়ে যায় ।

অনেকেই প্রশ্ন করেন বিগ-ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের এত বিলিয়ন বছর কেন লাগল প্রাণ আসতে তার খাস বাংলায় উত্তর হল অক্সিজেন এবং কার্বন উৎপাদনের জন্য নক্ষত্রের হায়াতের জিন্দেগী শেষ হতে হয় ।

যাইহোক নক্ষত্রের মৃত্যুর পরে তৈরি হতে পারে ব্লাকহোক এবং নিজেদের গ্রাভিটির ফলে সুপারনোভা আকারের বিস্ফোরিত হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় চারদিকে । এই রকমই একটা ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি হয়েছে আবার আমাদের সূর্য নামের নতুন এক নক্ষত্রের এবং অবশিষ্ট কার্বন এবং অক্সিজেন এবং অন্যান্য কিছু মিলে তৈরি করেছে আমাদের এই পৃথিবী।আমাদের সূর্যকে বলা হয় ২য় বা ৩য় প্রজন্মের নক্ষত্র কারণে এখানে আগের জেনারেশনের ২% কার্বন এবং অক্সিজেন পাওয়া গেছে । গ্রহগুলো আসলে নক্ষত্রের ধূলিকণাই বলা যায় । এর পরেই পৃথিবীতে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে।




যাহোক নক্ষত্রের ধূলিকণা থেকে আমাদের গ্রহ এবং তারপর প্রাণ এই ব্যাপারে বিজ্ঞানী লরেন্স ক্রাউস তার ‘ইউনিভার্স ফ্রম নাথিং’ গ্রন্থে বলেছেন

‘আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে সবচেয়ে কাব্যিক যে সত্যটা আমি জানি তা হল, আপনার দেহের প্রতিটি অণু পরমাণু একসময় লুকিয়ে ছিল একটি বিস্ফোরিত নক্ষত্রের অভ্যন্তরে। অধিকন্তু, আপনার বাম হাতের পরমাণুগুলো হয়তো এসেছে এক নক্ষত্র থেকে, আর ডান হাতের গুলো এসেছে ভিন্ন আরেকটি নক্ষত্র থেকে। আমরা আক্ষরিক ভাবেই সবাই নক্ষত্রের সন্তান, আমাদের সবার দেহ তৈরি হয়েছে কেবল নাক্ষত্রিক ধূলিকণা দিয়ে’।

অনেক তত্বিয় বিষয় নিয়ে খাজুইরা আলাপ পারলাম এবার মূল বিষয়ে আশা যাক। মহাবিশ্ব সৃষ্টি নিয়ে বেশ কিছু ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয় যায় উত্তর বিজ্ঞান দিতে পারে নি । বিজ্ঞানী ষ্টিফেন হকিংস তার বিখ্যাত বই এ ব্রিফ হিস্টোরি অব টাইম এ এই নিয়ে বেশ কিছু মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন । আমি আমার মত করে প্রশ্নগুলো লেখা চেষ্টা করছি ।

• মহাবিস্ফোরণের সময়ে আমরা দেখলাম বিশ্ব জগৎ অনেক উত্তপ্ত ছিল মানে তাপমাত্রা অনেক বেশী ছিল । উপরের আলোচনা থেকে বুঝা গেল তাপমাত্রা বিভিন্ন পার্টি-কেলের উপর দারুণ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। প্রশ্ন থেকে যায় মহাবিস্ফোরণের এর প্রাথমিক পর্যায়ে শিশু মহাজগৎ এত উত্তপ্ত কেন ছিল ?
• শিশু মহাজগৎ সম্প্রসারণের হার এমন ভাবে হয়েছিল যদি মহাবিস্ফোরণের এক সেকেন্ড পরেও কোন অংশে এর সম্প্রসারণের হের ফের হত তাহলে তা নিজেদের মাঝে সংঘর্ষে আবার ধ্বংস হয়ে যেতে পারত । কিভাবে এই সূত্রগুলো নির্ধারিত হরেছে।
• উপরের আলোচনা থেকে জানলাম ইলেকট্রনের চার্জ যদি একটু কম হত তাহলে হাইড্রোজেন পুরে হিলিয়াম হত না । ফলে পৃথিবী সৃষ্টির প্রশ্নেই আসে না । এই মান গুলো এমন ভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে এই মহা বিশ্বে প্রাণের বিকাশ ঘটে ।

হকিং এই ব্যাপারগুলো ব্যাখ্যায় এক-জায়গায় বলেন সৃষ্টি কর্তা হয়তবা সৃষ্টির শুরুতে পদার্থ বিজ্ঞানের বিভিন্ন সূত্রের নিয়মাবলী এবং এর মান নির্ধারণ করে দিয়েছেন কিন্তু এরপর তিনি ভেগে গেছেন, মহাজগৎ তার পরে এমনিতেই বিবর্তনের ধারা অব্যাহত রেখে বর্তমান পর্যায়ে এসেছে । আরেক যায়গায় তিনি বলেন স্রষ্টা হয়ত মহাজগৎ তৈরি করেছেন কিন্তু তিনি এর মাঝে আর হস্তক্ষেপ করবেন না।

যাইহোক বিজ্ঞানী হকিং তার বইতে উল্লেখ্য করেছেন তিনি এক জায়গায় মহাবিশ্ব নিয়ে একটা লেকচার দিতে গিয়েছিলেন , সেখানে আয়োজকরা তাকে বলেছিল মহাবিশ্বের যে একটা শুরু ছিল তিনি তা যেন না প্রকাশ করেন। কারণ কোন জিনিষের শুরু থাকা মানে সেই জিনিশ কেউ না কেউ সৃষ্টি করেছেন বুঝায় । যাইহোক হকিং সাহেব এই ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সীমানা-হীন বা নো-বাউন্ডারি তও্ব দিয়ে , তিনি তার সীমানা-হীন থিওরিতে বলেন , হয়তবা বিগ-ব্যাং বলে আমরা যা জানি তা কেবল স্পেস এবং টাইমের এক বিন্দুমাত্র অন্য কিছু না । সত্যিকার অর্থে এর কোন শুরু নাই । যেহেতু বিশ্ব জগতের কোন শুরু নাই তাই সৃষ্টি কর্তার কোন ভূমিকা নাই আমাদের এই মহাজগৎ সৃষ্টির ।

হকিং সাহেবের কল্পনা প্রসূত সীমানা-হীন থিওরিকে আমার মনে হয়েছে স্রষ্টার এই মহাজগৎ সৃষ্টির হাত নেই এই ব্যাপারটা প্রমাণের একটা দুর্বল অজুহাত মাত্র । কারণ সেই থিওরির বাস্তবতা নাই এবং বিগ-ব্যাং সম্পর্কে যেই প্রশ্ন উত্থাপিত হয় তার মীমাংসা হয় না তার থিওরিতে।

বিজ্ঞানী হকিং তার বই এর শেষের দিকে উল্লেখ্য করেছেন আমরা যদি কমপ্লিট থিওরি বা পরিপূর্ন্য থিওরি দার করাতে পারি তাহলে সৃষ্টিকর্তার মন বুঝতে পারব (সৃষ্টির কারণ সম্পর্কে) । এই বাক্যটি দিয়ে হকিং সাহেব কি পক্ষান্তরে স্রষ্টার অস্তিত্ব স্বীকার করলেন না ! অবিশ্বাসীরা অবশ্য এই ব্যাপারে বলেন তিই এটা লিখেছেন বইয়ের কাটতি বাড়ানোর জন্য ! এত বড় একজন বিজ্ঞানী বই কাটতির জন্য এ রকম পথ অবলম্বন করবেন না এটা বুঝার জন্য আইনস্টাইন হতে হয় নাহ ! সৃষ্টির কারণ এবং অমীমাংসিত বিষয়গুলোই তাকে এই বাক্য লেখতে তাড়িত করেছে বলে ধরে নেয়া যায়।

যাইহোক এই মহাজগতের ভবিষ্যৎ কি এই ব্যাপারে বিখ্যাত বিজ্ঞানী এডউইন হাবল বলেছেন মহাজগৎ সারাজীবন সম্প্রসারিত হতেই থাকবে । ডার্ক এনার্জি এবং ডার্ক ম্যাটার এবং এর গঠন মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ।

ব্যাপারটা যাইঘটুক আমাদের এই সূর্য নামের নক্ষত্র যে হাইড্রোজেন সব পুরে শেষ হয়ে গিয়ে ধ্বংস হবে সেটা নিশ্চিতই বলা যায় ! পরিশেষ বলতে চাই মহাজগৎ এবং আমাদের এই গ্রহের ভবিষ্যৎ কি হবে সেটা মহান আল্লাহই ভাল জানেন ।
-( শেষ )-

আগের পর্ব
মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ১ম পর্ব ): স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করল, নাস্তিকেরাই কি অন্ধ বিশ্বাসী নয় !
মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ২য় পর্ব) : ধর্ম এবং উন্নয়ন কি সাংঘর্ষিক বিষয় !
মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ৩য় পর্ব ) : মানব মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে আসছে ! বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি আমাদের পিছনে নিয়ে যাচ্ছে নাতো ?!
মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ৪র্থ পর্ব ) : বিগ ব্যাং কি আমাদের মহাবিশ্ব সৃষ্টির ব্যাখ্যা দিতে পারে ? ষ্টিফেন হকিং এর সাথে আমার দ্বিমত
মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ৫ম পর্ব ) : বিবর্তন তও্বের পোষ্টমোর্টেম রিপোর্ট
মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ৬ষ্ট পর্ব ) : আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তও্ব এবং আমাদের তকদীর
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×