somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেম - বিষবৃক্ষের অংকুরোদগম (৭)

২৪ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্ব পড়ার অনুরোধ
Click This Link

সম্পর্কের পরিবর্তন হয়তো সহসাই ঘটে। কিন্তু নিজের ইচ্ছায় কিংবা নিদৃষ্ট পরিকল্পনা করিয়া ইহার পরিবর্ত অত্যন্ত দূরহ ব্যাপার। আমার ক্ষেত্রে এই দূরহ অবস্থায় উপনীত হইলাম। বিশেষ করে এই নব যৌবনে যখন মন থাকে অস্থির প্রকৃতির, সর্বদা রোমাঞ্চের সন্ধান করে, বাধাহীন দূর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে চায়, প্রকৃতির মতো সমস্ত বাধাকে পদদলিত করে এগিয়ে যাওয়াই যার একমাত্র লক্ষ তাকে আপনি আমি কি দিয়ে ঠেকিয়ে রাখবো। সময় নামক মাত্রা সম্মন্ধে নিতান্ত অনভিজ্ঞ এই মনকে বশ করা বড় কঠিন।


যাইহোক ঢাকা হইতে ফিরে এলাম সমন্ত সত্তা জুরে এক তৃপ্ত অনুভুতি নিয়ে। এখন ও আমি ঠিকভাবে বুঝিতে পারছি না । গ্রীন সিগনাল কি পেয়েছি? মনে মনে ভাবি সে তো আসবে চারদিন পর। এই চারদিন ভেবে একটা সিদ্ধান্ত নিয়া নিব। সে ফিরা আইলো।

তার সাথে আমার প্রতিদিনই কিছু না কিছু ঘটনা ঘটে। সব বলতে গেলে বহু বড় হইয়া যাইবো।

আবার আগের রুটিন মাঝখানে যোগ হইছে সন্ধ্যার আগে আগে টিএসসি তে বইসা আড্ডা মারা এবং সন্ধ্যার পর হল বন্ধ হওয়ার আগে তারে হলে পৌছাইয়া দেওয়া। তাগো হলের সামনে, বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির করিডোর হইলো প্রেমিক প্রেমিকাদের সর্গ রাজ্য। জোড়ায় জোড়ায় তারা বইসা থাকে। তাগোরে দেইখ্যা বড় আফসোস হয়। কবে যে বমু এই জায়গা গুলাতে। তারে কইতে তো মন চায় কিন্তু সাহস হয় না। কারণ গ্রীন সিগনাল তো এখনও পাই নাই।

ইচ্ছা কইরা ইদানিং তার সাথে পড়ালেখার আলাপের চেয় অন্য আলাপ করি বেশী । মনে আশা যদি এই আলাপের মধ্যে গ্রীন সিগনাল পাই। প্রেম বিষয়ক আলোচনা যে হয় না তা নয়। বিভিন্ন টিভি নাটকের প্রেম প্রসঙ্গ ইচ্ছা কইরা আলাপের মাঝে তুইলা দেই। দেখি সে সুন্দর ভাবে আলাপ চালাইয় যায় কিন্তু সিগনাল নামক বস্তুটি সেখানে নাই। তখন পুর্ণেন্দু পত্রীর কথপোকথন এর বিশাল হিট । একদিন একটা কপি জোগার করলাম । এই ডা নিয়াও কথা হয় কিন্ত সিগনাল তো আর পাই না। তারে জিগাই আচ্ছা তুমি কি কাউরে ভালোবাস? সে কয় না। আস্তে আস্তে বুঝতে পারি এড়ায়া যাইতেছে। মনে মনে কই তুমি বড় খতরনাক চিজ্। কিযে আছে কপালে। ভালোবাসার কথা তারে আর বলা হয় না।

আমাদের ক্লাসের এক ছেলে ছিল আমরা সবাই তারে ডাকতাম মামু এবং আমরা একই হলে থাকতাম । সে অনেটা ভারিক্কী চালে চলাফেরা করতো। বিকাল বেলা আমার রুমমেট, মামু আর আমি ঘুরতে বাইর হলাম। এক পর্যায়ে মামু আমারে জিজ্ঞাসা করলো আচ্ছা ভাইগনা তার সাথে তোর কি সম্পর্ক? আমারে সত্য কইরা কত দেখি। আমি তার জবাবে একটা মুস্কি হাসি দিলাম তাতেই যা বুঝার বুইঝা লইলো। আমার মনে তখন অনেক কথা জমা হইয়া রইছে তাছাড়া একটি সিদ্ধান্ত তো নিতে হবে। মামুরে কইলাম তার সাথে আমার এখন পর্যন্ত বন্ধুত্বের সম্পর্ক কিন্তু মামু আমি তো এইডা চাই না। এখন কি করি কওতো। তারে সব কথা কইলাম । শুইনা কয় তলে তলে এই। তুই তো গেছস। আর ফিরা আইতে পারবি না। আমি কইলাম আমিতো মামু ফিরা আইতেও চাই না। সে কইল চিন্তা করিস না তোর প্রেম হইয়া যাইবো। আমি কই কেমনে হইবো। তুই তারে কইয়া দে যে ভালবাসস । আমি কই কেমনে কমু যদি রাজী না হয়। মামু কইলো সে অবশ্যই রাজী হইবো।

দিন যায় আমার ভালোবাসর দিন আর আসে না। তারে নিয়া সারাদিন থাকি বিভিন্ন কাহীনির রচনা দেই মাগার গ্রীন সিগনাল তো আর পাই না।
ভাবি যা শালা কইয়া দেই। যা হইবার হইবো। একদিন মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে তারে কমুই । যথারীতি তারে কইলাম চলো ঘুরি । আর কিছু না কইয়া একটা একটা রিক্সা ভাড়া করলাম ঘন্টা হিসাবে। তারে নিয়া ৪ ঘন্টা ঘুরলাম । তারে কইলাম ঐ দিনে গানটা তো শেষ করা নাই আজকে গাও। সে গাইলো। গান শেষ হওয়ার পর মনে হইলো এইবার কইয়া দেই। কিন্তু মুখে আটকাইয়া গেল। কইতে পারলাম না।

পরদিন ক্লাসের ফাকে সে মামুরে ডাইকা কয় । তোমার সাথে কথা আছে । আমি মনে মনে ভাবি মামু সাথে তার কি কথা আবার কই কথা তো থাকতেই পারে। ক্লাস শেষে সে মামুর সাথে বাইর হইয়া গেল। আমি মনে করলাম টিএসসি তে যায়। টি এসসি গিয়া দেখি তারা নাই। হলে যামু বইলা বাহির হইতেছি দেখি অন্য ফ্যকাল্টির ব্ন্ধুর সাথে দেখা। সে জিগাইলো কই যাস । আমি কইলাম মামু আর তারে খুজতে আইছিলা না পাইয়া হরে যাইতেছি। সে কইলো তাগোরে দেখছি নদীর দিকে যায়। আমি পুরা টাশকি। কি কয় ? কইলা তুই দেখলি কই। সে কয় আমি মেডিকেল এ গেছিলাম আসার সময় দেখি। আমাদের মেডিক্যালটা আবার নদীর পাশে ছিল। আমি কইরা আচ্ছা। মনে মনে চিন্তা করি ঘটনা কি। কৌতুহল না বাড়াইয়া গেলাম নদীর পারে । দেখি তারা দুইজন নদী পাড়ে বইয়া রইছে। বিকালে মামুরে জাগাই মামু সে তোমারে কি কইলো। মামু কয় না । রহস্য করে। তারে হাতে পায়ে ধইরা কই প্লিজ মামু কও। তুমি যা খাইতে চাইবা তাই খাওয়ামু। মামু সিরিয়াস ভঙ্গি লইয়া কইলো সে কইছে আমি মনে হয় তারে ভালবাসার কথা কইতে চাই। কিভাবে তাড়ে এড়নো যায় সে বিষয়ে পরামর্শ চাইছে। কারণ আমি তার গ্রুপমেট, লাইব্রেরীমেট। আমি কইলাম মামু তুমি আমার পক্ষ লইয়া কিছু কও নাই। মামু কয় তারে আমি কইছি যদি তুমি প্রেম নাই করবা তয় তাড়ে লইয়া এতদিন ঘুরলা কেন। আবার এইটাও কইছি কালকে থাইক্যা তারে আস্তে আস্তে এড়াইয়া চলা শুরু করো প্রয়োজনের বেশী ঘুরাঘুরি কইরো না। আস্তে আস্তে ঠিক হইয়া যাইবো।

আমি কইলাম শালা সাপও মারলা লাঠিও ভাঙ্গলা। সে কয় শোন সবকিছু বাদ দে কালকে সকালে তর তারে গিয়া কইতে হইবো। নাইলে তোর আমও যাইবো ছালা ও যাইবো। বুঝেন আমার অবস্থা । ভাগ্য ভালো বন্ধের দিনছিলো । সাররাত তার সাথে আমার ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলা ভাবলাম। শেষ রাত্র সিদ্ধান্ত নিলাম কালেই তারে কমু। তখন ঘড়িতে ভোর ৪:২৩মি । সকাল তো হইয়াই গেছে। রাতটা জাইগা কাটাইয়া দেই। সকলা ৭টার সময় তারে হলের সামনে আমি উপস্থিত । গেটের দারোয়ান রে দিয়া তারে খবর দিলাম । সে আইলো আমি তারে কইলাম চলো টি এস সি তে যাই । সে খানিক ইতস্তত করলো। আগে কোন দিন তারে ইতস্তত করতে দেখি নাই । সাথে সাথেই আবার আমার সাথে টিএসসির দিকে রওনা দিল। গেলাম টিএসসি তে । গিয়া বইলাম পিছনের দিকে খালি জায়গা দেইখা। চা এর কথা কইয়া সোজা কোন ভনিতা না কইরা কইলাম। শোন তোমারে এখন আমি কিছু কথা কমু। মন দিয়া শোনা। কালকে সারা রাত ধইরা চিন্তা কইরা বাইর করছি আমি প্রেম পড়ছি। এইখানে আশা করছিলাম সে জিগাইবো কেডা । সে চুপ কইরা বইসা রইলো। আমি কইলাম সেই মাইয়া ডা হইলো তুমি।
এখনই আমারে তোমার সিদ্ধান্ত জানানোর দরকার নাই। তুমি সময় নেও। ভাইবা চিন্তা আমারে সিদ্ধান্ত জানাইয়ো।

সে চুপর কইরা বইসা রইলো।

এইখানেই বিষবৃক্ষের অংকুরোদগম হইলো।

কিছুক্ষন ধইরা নিজের সামলাইলো । আমি তার চোখের দিকে চাইয়া রইলাম । কিঞ্চিত মুক্তা বিন্দু সেখান থেক ঝড়ে পড়লো । কইলো...


আগামী পর্ব সেই কথা কমু। কাহিনী অনেক লম্বা



চলেবে...
পরের পর্ব
Click This Link



সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৩৪
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×