somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অন্ধকারের গান: বাংলাদেশে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা

০৬ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই লেখার সূত্রপাত আজ থেকে প্রায় মাস চারেক আগে প্রথম আলোর দ্বিতীয় পাতায় আসা ছোট্ট একটা খবর থেকে। তখন ঈদ শেষ করে সবাই কর্মস্থলে ফিরছেন। ছয় বছরের ছোট্ট ইশরাত হত্যার খবরটি আরও অনেক খবরের মত গুরুত্বহীন ছিল কলমপেশা খবর বণিকদের কাছে। লেখাটির একমাত্র উদ্দেশ্য দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা নিস্তব্ধতার অবসান। লেখার কোন অংশ বা কোন বিশেষ শব্দ বা ঘটনাবলি যদি পাঠকের রুচি-বিরুদ্ধ হয় তার জন্য লেখককে দায়ী না করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

লেখাটি পৃথিবীর সকল নির্বাক নিপীড়িত শিশুদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত


কিছু কিছু লেখার ভূমিকা লেখা খুব শক্ত। আমার কাছে অবশ্য সব কালেই লেখালিখি খুব কষ্টের কাজ বলে মনে হয়। হৃদয়ের কথা মনের খাতায় লিখে যাই কলম ছোঁয়া হয় না। এই লেখাটা আমার জন্য খুব দুরূহ একটা কাজ ছিল-ইউনিসেফের একশ পাতার রিপোর্টটা পড়তে পড়তে একসময় ভয়ংকর হতাশা পেয়ে বসে। মনে হতে থাকে এই সৌরজগতের তিন নম্বর গ্রহ পৃথিবীটা আসলে একটা মহাজাগতিক আস্তাকুড়-আমরা সেটা দেখেও না দেখার ভান করি।



আমেরিকাতে প্রতি ছয়টি ছেলেশিশুর একজন ১৬ বছর বয়সের আগেই সেক্সুয়াল এবিউসের শিকার হয়। আর আমাদের পাশের দেশ ভারতে সেক্সুয়াল এবিউসের শিকার হওয়া শিশুর সংখ্যা প্রায় ৫৩.২২% [১] অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশী। ভাবছেন আমরা খুব ভালো আছি ধর্মীয় রক্ষা কবচের আড়ালে। আমরা ভালো নেই। উপমহাদেশে বিশেষ করে বাংলাদেশে নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান পাওয়া খুব কঠিন। যার কারণ নির্যাতিতদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি এবং নির্মম নিঃস্পৃহতা। আর পাঁচটা ঘটনার মত শিশু নির্যাতনের ঘটনা গুলো আমাদের কাছে অতি স্বাভাবিক। এসব নিয়ে সমাজ আলোচনা করতে ভালোবাসে না। সেক্স শব্দটি আমাদের সমাজে এখনো একটি ট্যাবু ওয়ার্ড। তাই বাংলাদেশের তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র শিশুদের রক্ত ও অশ্রু মিশ্রিত চিৎকার গুলি এই বিরামহীন নিস্তব্ধতার বেষ্টনী পেড়িয়ে কখনোই আমাদের কর্ণ কুহরে সাড়া জাগায় না।

WHO এর হিসেব মতে প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় ৪০ মিলিয়ন।[১] শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। বাংলাদেশে এই সংখ্যাটি কত তার কোন পূর্নাঙ্গ পরিসংখ্যান আমি পাইনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিকাল সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষক ফারাহ দীবার করা সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা যায় স্কুলপড়ুয়া ছেলেদের প্রায় ৭ শতাংশ এবং মেয়েদের ১৬ শতাংশ যৌন হয়রানির শিকার হয়।[২] ইউনিসেফের রিপোর্টটিতে যে ৬৯টি কেস স্টাডি আছে ওতে ডাটা কালেকশনের সময় কোয়ান্টিটির চেয়ে কোয়ালিটিকে অধিক প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। [৩] সরকারীভাবে কোন সমীক্ষা চালানো হয় নাই যেটা কিনা ভারতে হয়েছে। ভারতে সরকারীভাবে Ministry of Women and Child Development এর অধীনে ১৩ টি রাজ্যে চালানো এই সমীক্ষায় দেখা যায় প্রায় ৫২.৯৪% ছেলেশিশু আর ৪৭.০৬% মেয়েশিশু যৌন নির্যাতনের শিকার।[৪] ফারাহ দীবার করা সমীক্ষাটি স্বল্প পরিসরে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে। আর ইউনিসেফের রিপোর্টটিকে আদেও কোন সমীক্ষা বলা চলে না। তবে ধারণা করা যায় পুরো চিত্রটি বুঝি আরও বীভৎস, ভয়ংকর। এটি এমন এক প্লেগ যা বাংলাদেশের সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই এদেশে নির্যাতিত শিশুদের মোট সংখ্যাটি ভারতের কাছাকাছি হবে বলেই মনে হয়।



আসুন আমরা এখন কিছু শিশুর কথা শুনি-

খবর-১
সূত্র- প্রথম আলো-১২ নভেম্বর ২০১১

ইশরাত জাহান(৬), ৩ নভেম্বর খিলক্ষতের নামাপাড়া বোট এলাকা বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। দুপুরবেলা শিশুটি যখন খেলছিল তখন প্রতিবেশী জাকির(১৮) ছবি আঁকার কথা বলে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ফ্যান চালান। এরপর মুখ চেপে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। ফ্যানের শব্দে শিশুটির মুখ চেপে ধর্ষণ করেন। ফ্যানের শব্দে শিশুটির গোঙ্গানি চাপা পড়ে যায়। এরপর তিনি শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন ও দুই চোখ উপড়ে ফেলেন। তার শরীরে গরম পানিও ঢালা হয়। এ কারণে শিশুটির শরীরে ফোসকা ছিল। জাকির ওই দিন রাতে লাশ বস্তায় ভরেন এবং সুযোগ বুঝে ডোবায় ফেলে দেন।
ঘটনার চারদিন পরে ইশরাতের লাশ মেলে বাসা সংলগ্ন ডোবায়। ইশরাতের বাবা ইউসুফ আলী বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থার (বিআরটিসির সামান্য বাসচালক। জাকির ইশরাতদের প্রতিবেশী এবং টঙ্গী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র।

খবর ২
সূত্র প্রথম আলো – ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২

সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল সাত বছরের মেয়েটি। এক যুবক এসে রুটি-কলা খাওয়ানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে যায়। পরের দিন রোববার সকালে মেয়েটিকে পাওয়া যায় জঙ্গলের ভেতরের একটি গর্তে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি তখন কাঁপছিল ভয়ে। পাশবিক নির্যাতনের শিকার ওই মেয়েটির মা পেশায় পোশাক শ্রমিক, বাবা ভ্যানচালক। থাকেন রাজধানীর অদূরে আশুলিয়ায়।

স্থানীয় লোকজন ও মেয়েটির খেলার সাথিদের ভাষ্যমতে, গত শনিবার সন্ধ্যায় মেয়েটি বাসার পাশে খোলা জায়গায় সমবয়সীদের সঙ্গে খেলছিল। এ সময় তাঁর বাবা-মা বাসায় ছিলেন না। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে এক যুবক এসে মেয়েটিকে আদর করে কোলে নেয়। ওই যুবক মেয়েটিকে রুটি-কলা খাওয়ানো এবং তাদের বাসায় বেড়ানোর কথা বলে সেখান থেকে নিয়ে যায়।

ওই এলাকার ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রোববার সকাল সাতটার দিকে তিনি বাসা থেকে কয়েক শ গজ দূরে একটি জঙ্গলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় মেয়েটি ‘আঙ্কেল, আমাকে বাঁচান’ বলে চিৎকার করতে থাকে। তিনি এগিয়ে গিয়ে একটি গভীর গর্তে মেয়েটিকে দেখতে পান। তখনো ওই গর্ত থেকে ওপরে ওঠার চেষ্টা করছিল মেয়েটি। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে তিনি বাসায় পৌঁছে দেন।
আনোয়ার বলেন, গর্ত থেকে তোলার সময় শিশুটির শরীর দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং সে ভয়ে কাঁপছিল।
----------------------------------------------
শিশুটির বাবা মামলা করতে চাইছিলেন না। প্রভাবশালীদের ভয়ে। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টারও বেশী সময় পড়ে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ইজাজ উদ্দিন নামের এক যুবককে আটক করে। আর মেয়েটিকে রাজধানীর একটি থানায় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
------------------------------------------------
খবর - প্রথম আলো – ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২

শিশু নির্যাতনের শুরু কোথায়?

শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন কোন নতুন ঘটনা নয়। প্রাচীন গ্রীসে ছেলেশিশুদের সাথে বয়স্ক ব্যক্তিদের যৌন সম্ভোগকে শিক্ষার অংশ বলে মনে করা হত। প্রাচীন এথেনিয়ান উচ্চবিত্ত সমাজে এটি ছিল একটি শিক্ষা – সম্বন্ধীয় প্রথা যেখানে একটি সদ্য কৈশোরপ্রাপ্ত ছেলেদের পরিবার বহির্ভভূত বয়স্ক পুরুষদের সাথে যৌন সঙ্গম ঘটে। উপমহাদেশে নারী শিশুদের বাল্য বিবাহ প্রথা বিরুদ্ধে আন্দলন শুরু হয় অষ্টাদশ শতকে এসে। ঠিক কবে কোন গোত্রে এই প্রথার শুরু হয়েছে সেটা জানা না গেলেও এই প্রথা উপমহাদেশের সমাজ সংস্কৃতির স্বাভাবিক অনুষঙ্গ ছিল বলে ধারণা পাওয়া যায় বিভিন্ন ইউরোপীয় পরিব্রাজকদের বর্ণনায়। ঐ যুগে অবিবাহিত নারী ছিল সমাজের চোখে একটি নিন্দনীয় বিষয়। আবুল ফজলের ‘আইন-ই-আকবরী’তে তৎকালীন সমাজের বাল্য বিবাহ প্রথার প্রমাণ পাওয়া যায়। অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাল্যবিবাহ সম্বন্ধে স্ক্রাফটনের মন্তব্য, “এই উপমহাদেশের ছেলেমেয়েদের শিশুকালে বিয়ে দেয়া হতো। ১২ বছর বয়সে একজন রমনীর কোলে একটি সন্তান- এটা ছিলো সাধারণ দৃশ্য”। সে যুগে ৬-৭ বছর বয়সের পর অবিবাহিত নারী ঘরে থাকা মানেই অসম্মানজনক একটি বিষয়। অবিবাহিত নারীর বাবা-মা সমাজের সকলের চোখে ছিলো নিন্দনীয়।

এখন আসেন দেখি আব্রাহামিক ধর্ম গুলি এ সন্মন্ধে কি বলছে-

জিউয়িজম

প্রাচীন ইহুদীয় প্রথায় মেয়ে শিশুদের সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালের আগেই বিবাহ দিয়ে দেওয়া হত। ইহুদীয় আচার সম্পর্কিত আরো তথ্য পাওয়া যায় ইহুদীয় ধর্ম গ্রন্থ তালমূদে-যেখানে সুপারিশ করা হচ্ছে নারী ও পুরুষদের বিবাহের নিম্ন বয়স যথাক্রমে ১২ বছর এবং ১৩ বছর। ইহুদি পিতা তার কন্যার বাগদান সম্পন্ন করতে পারবেন এবং বাগদান সম্পন্ন হওয়ার বৈধ উপায় হল যৌন সঙ্গম।

এক্ষেত্রে তালমূদ বলছেঃ

“A girl of the age of three years and one day may be betrothed by intercourse”
Niddah 44b, The Babylonian Talmud: Seder Tohoroth, trans. I. Epstein (London: Soncino Press, 1948), 308.

অর্থাৎ তিন বছরের শিশুর যদি তার পিতা কতৃক পাণিদান সম্পন্ন হয় তার সাথে যৌন সঙ্গম করা যাবে।

বাইবেলে চার প্রকার মিলনের উপর নিষেধাজ্ঞা আছে – সমকামিতা অজাচার ব্যাভিচার ও পশ্বাচার।

তালমূদ অনুসারে শিশুদের সাথে যৌন সঙ্গম বিবলিকাল ল’ গুলি ভঙ্গ করে না। কেবল মাত্র তখনি এগুলো আঈনবিরুদ্ধ হবে যখন দায়ীদের মাঝে সুষ্পষ্ট লৈঙ্গিক বৈশিষ্ট্য উপস্থিত থাকবে –পুরুষের জন্য এই বয়স নয় বছর একদিন এবং নারীদের জন্য তিন বছর একদিন। [৭]

[Homosexual] pederasty with a child below nine years of age is not deemed as pederasty with a child above that. . . . only he who is able to engage in sexual intercourse, may, as the passive subject of pederasty throw guilt [upon the active offender]. . . . [Thus only] pederasty at the age of nine years and a day [and above] . . . is liable to punishment.

Sanhedrin 54a-55a, The Babylonian Talmud: Seder Nezikin, vol. 3, 367, 370-71.

ক্রিশ্চিয়ানিটি

ক্রিশ্চিয়ানিটি রোমান আঈন অনুসরন করে। ক্রিশ্চিয়ান ক্যানন ল বলছে বিবাহের নিম্ন বয়স নারীদের জন্য ১২ ও পুরুষের জন্য ১৪ বছর। এর পেছনে যুক্তি হল এই বয়সটা হল উভয় লিঙ্গের জন্য বয়ঃসন্ধি আনুমানিক বয়স যখন তারা জননক্রিয়া সম্পাদনে সক্ষম হয়ে যায়। প্রাচীন রোমে প্যাগান-খৃষ্ট উভয় সম্পদায়ের মাঝেই শিশু বিবাহ ছিল একটি নিত্য নৈমত্তিক ঘটনা ছিল।


একজন ইতিহাসবিদের মতে
“with a woman young enough to be his daughter or even granddaughter was generally accepted”
Treggiari, 102; John C. O'Dea, The Matrimonial Impediment of Nonage (Washington, DC: Catholic University of America Press, 1944), 1.

এই রকম অসম বিয়ের প্রমান পাওয়া যায় সাধু অগাস্টিনের জীবনচরিতে। ৩১ বছর বয়সি সেন্ট অগাস্টিনের বাগদত্তার বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। সেন্ট অগাস্টিনের জন্য এই বালিকার জন্য অপেক্ষা করা ছিল অত্যন্ত কঠিন তাই হতাশ অগাস্টিন উপপত্নি গ্রহন করেন যা তার মাঝে তীব্র অপরাধবোধ সৃষ্টি করে এবং পরে তিনি খ্রীষ্টধর্ম গ্রহন করেন।

Augustine: Confessions and Enchiridion, trans. Albert C. Outler (Philadelphia: Westminster Press, 1955), Book 6, Chapters 13-16; Vern L. Bullough, “History in Adult Human Sexual Behavior with Children and Adolescents in Western Societies,” in Jay R. Feierman, ed., Pedophilia: Biosocial Dimensions (New York: Springer-Verlag, 1990), 70-71.

ক্যাথলিক চার্চে বিভিন্ন যুগে বিবাহ উপযুক্ততার বয়স নিয়ে তর্ক হলেও পুরো মধ্যযুগ ধরেই নারী শিশুর বিবাহ উপযুক্তা হবার বয়স ১২ তেই স্থির ছিল। মধ্যযুগে অভিভাবকদের নাবালক শিশুদের বাল্যবিবাহে উৎসাহের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কারণ রয়েছে। আর প্রায় সব ক্ষেত্রেই বিবাহের সম্পূর্ণতা সূচক মিলনের (intercourse) গড় বয়স ছিল ১২। [৭]

ইসলাম

মুহম্মদের আবির্ভাবের আগেই বেদুইন সম্প্রদায়ের মাঝে শিশু বিবাহ প্রথা চালু ছিল। মুহম্মদের শিশু স্ত্রী আয়শার বয়স সম্পর্কিত রেফারেন্স সংখ্যা অনেক। প্রায় সকল ইসলামিক স্ক্রিপচারেই কেবল আল তাবারী বাদে মুহম্মদের স্ত্রী আয়শার কথা প্রসঙ্গে বলা আছে আয়শার বয়স ছিল ৬ বছর যখন তিনি মুহম্মদের বাগদত্তা হন এবং ৯ বছর বয়সে মুহম্মদ বিবাহের সম্পূর্নতা আনেন। শিশু আয়শা তার খেলনা নিয়ে মোহাম্মদের সাথে চলে আসেন

Sahih Muslim Book 008, Number 3310:
'Aisha (Allah be pleased with her) reported: Allah's Apostle (may peace be upon him) married me when I was six years old, and I was admitted to his house when I was nine years old.

Sahih Bukhari Volume 7, Book 62, Number 64
Narrated 'Aisha:
that the Prophet married her when she was six years old and he consummated his marriage when she was nine years old, and then she remained with him for nine years (i.e., till his death).


যদিও কিছু ইসলামি চিন্তাবিদ এই তথ্যটিকে মেন নেন নাই। একমাত্র আল তাবারি বাদে আর সব ইসলামিক ক্রিপচারেই অর্থাৎ সহিহ্‌ হাদিসের উৎস গুলিতে আয়শার বয়স ৯ বছর এবং আল তাবারি মতে ১০ বছর ছিল যখন মোহাম্মদ বিয়েতে পূর্নতা আনেন। এদের যুক্তিকে খন্ডন করে বলা যায় যে তৃতীয় উতস গুলির সাহায্যে আয়শার বয়স মতান্তরে ১৯ সেগুলি কোনটিই সহি নয়। হাদিসের কথা বাদ দিলেও এটা বলা যায় ইসলামে বিয়ের বয়স তাই সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় নাই।

The Quran in Sura 65:1, 4 says:
And if you are in doubt about those of your women who have despaired of menstruation, (you should know that) their waiting period is three months, and the same applies to those who have not menstruated as yet. As for pregnant women, their period ends when they have delivered their burden.

অনুবাদঃ তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের ঋতুবর্তী হওয়ার আশা নেই, তাদের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাদের ইদ্দত হবে তিন মাস। আর যারা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি, তাদেরও অনুরূপ ইদ্দতকাল হবে।


পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে বিশেষ করে পশতু অধ্যুষতি এলাকা গুলোতে বাচ্চা বাজি নামক এক ব্যাবসা প্রচলিত আছে।[৫] নাবালক ছেলেশিশু গুলিকে ধনী যুদ্ধবাজ নেতারা কিনে নেন মনোরঞ্জন আর যৌন ক্রীড়ার জন্য। এদের মালিক হওয়া আফগানিস্তানে একটি সম্মানের বিষয়। এই রকম এক প্রাক্তন যুদ্ধবাজ নেতা ২০ বছরে প্রায় ৩০০০ শিশুর মালিক হয়েছিলেন। তার নিজেরো দুটি পুত্র সন্তান আছে। এই উনবিংশ শতাব্দিতেও এই ব্যাবসা আফগানিস্তানে চালু আছে পুরোদমে । প্রমান মেলে নাজিবুল্লাহ কুরায়েশির ২০১০ সালে তৈরী একটি ডকুমেন্টারীতে।[৬]

(চলবে)
---------------------------------------------------------
১. উইকিপিডিয়া - চাইল্ড সেক্সুয়াল এবিউস

২. 6.6pc boys, 15.3 percent girls face sexual harassment...Daily Star August 17, 2011

৩. Child_Abuse_Exploitation_and_Trafficking.pdf

৪. Study on Child Abuse: INDIA 2007

৫. উইকিপিডিয়া - বাচ্চা বাজি

৬. ড্যান্সিং বয়েজ ডকুমেন্টারী

৭.Homosexuality and Child Sexual Abuse: Science, Religion, and the Slippery Slope by Mark E. Pietrzyk
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:৫৯
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×