বৃষ্টিতে ভিজে সময়ের স্যাঁতস্যাঁতে অবগাহন কুমারীপাড়ায়_
স্মৃতির উপগ্রহ নক্ষত্রের ভেতরে চালিয়ে ভাবি;
পৃথিবীতে অদ্যাবধি সময়কে কখনো
একা চলতে দেখিনি।
সে গাছ-পালা, বন-বাদাড়, পশু-পাখি,
নদী-নালা, সাগর-মহাসগর,
এমন কী আকাশ, বাতাস, ঝর্ণাধারা,
পাহাড়, বৃষ্টি, চন্দ্র-তারা,
মানুষ এবং নারী,
অতপর স্মৃতি-বিস্মৃতিকে সঙ্গে নিয়ে তারপরেই ছোটে।
আজো কুমারীপাড়ায় একা আসেনি সময়,
সারা দিনের ক্লান্তি জড়িয়ে অবসন্ন সন্ধ্যায়
এসেছে একগাদা স্মৃতিকথার পাণ্ডুলিপি নিয়ে।
এখানে একদা আসতে হতো সময়ের হাত ধরে
রিক্সা এবং নারীর খোঁজে।
রিক্সার উপর আমি, আমার উপর নারী, নারীর উপরে সময়_
সময়ের পেছনে নারী, নারীর পেছনে আমি।
উপস্থিত সন্ধ্যায় বৃষ্টি প্লাবন এই শহরে_
মেহেরুন অথবা গোলাপী অথবা তার চেয়ে ধুসর সেই
রঙের প্রতি অন্ধ ভালোবাসা উচ্ছ্বাসে একাকার,
টোল পড়া চোয়ালে টপটপ করে বৃষ্টির ফোটা
পিচ্ছিল খেয়ে আমার চোখে লাবণ্য এঁকে দিয়েছিল,
কালো কাজল টানা চোখের আরতি দ্রোহের কলে
নাসিকা ভেদ করে মাঝখানে
আরো একটি চোখ দিয়ে দেখতে বাধ্য করেছিল।
উসখুস কাঁচা শরীরে হেলেদুলে পারফিউমের ঘ্রাণ আর
খোঁপা খোলা চুলের ওড়াওড়ি করেছিল বেসামাল।
আদ্যোপান্ত টেনে সময় আজো এখানে
রাস্তাঘাট, রিক্সা, বৃষ্টি আর সেই গন্ধ বয়ে আনে;
আমি দাঁড়িয়ে আছি বৃষ্টিতে ভিজে
সেই নারী কোথায় সময় কী তা জানে?
১৭ জুলাই ২০০৯
হুছাইন মঞ্জিল, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১০ রাত ১:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



