মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রথম পূর্ণাঙ্গ ই-সঙ্কলন বের হয়েছে 'ফিরে দেখা একাত্তর' বইটির প্রচ্ছদ, সম্পাদনা, বিন্যাসশৈলি ও উপস্থাপনা সবকিছুই যে কারো নজর কেড়ে নেবার জন্য যথেষ্ট। আমার নিজেরো সঙ্কলিত একটি লেখা অন্তর্ভূক্ত হয়েছে এই বইয়ে। তাই আমি নিজেও ব্যাক্তিগতভাবে বেশ আগ্রহী ছিলাম বইটির বিষয়ে।
বইটি প্রকাশিত হবার প্রায় দুদিন পরে আমার নজরে আসে বইটি। মাঝখানে অন্য ঝামেলায় দুদিনের জন্য ব্লগে ঢুঁ মারা হয়নি। কর্তৃপক্ষ পোস্টটিকে স্টিকি না করলে হয়তো আমারো নজরে আসতো না। তাই সেদিক থেকে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। দ্বিতীয় দিনে আমার অনুরোধে লোকালটক বইটির জন্য আমার সাইটের লিঙ্কটিকে প্রথমে নিয়ে আসেন। সেই সময়ে আমার আশা/আশঙ্কা ছিল, যে ব্যাবহারকারীর চাপে আমার সাইটটি ক্র্যাশ করতে পারে। কারণ ইতিপুর্বে এরকম হাই ভলিউমের কোন ফাইল আমাকে হোস্ট করতে হয়নি।
আজকে এক সপ্তাহ পরে বইটির প্রগ্রেস দেখে আমি মাঝারি ধরণের হতাশ। আমার হিসেবে প্রতিদিন কয়েক হাজার ব্যাবহারকারী এসে সার্ভারের মাথার তালু গরম করে ফেলবে। কিন্তু যা দেখলাম প্রতিদিন শখানেক দর্শকের ঘুরাঘুরি। যা এক অর্থে যে বিশাল প্রোডাকশন করা হয়েছে তারে অসম্মান করারই শামিল। কারণ যদি আমরা ফ্যাক্টস হিসেব করি তাহলে,
বাংলাদেশে পরিসংখ্যান অনুসারে, নিয়মিত-অনিয়মিত ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী আছেন পনের থেকে বিশ লক্ষের মত। আমি ধরে নেব এদের মধ্যে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ লক্ষ ব্যাবহারকারী আছেন যারা সপ্তাহে, দু-সপ্তাহে অনলাইনে আসেন। সরাসরি ব্লগের লেখক, পাঠক, বা ব্লগ প্ল্যাটফর্মের সাথে সংযুক্ত এরকম হয়ত আছেন পনের থেকে বিশ হাজার ব্যাবহারকারী। একই সাথে আমাদের মনে রাখতে হবে, আরো বেশ কয়েক লক্ষ ব্যাবহারকারী আছেন দেশের বাইরে প্রবাসে বিভিন্ন দেশে, তারাও এই প্রকাশনার সম্ভাব্য পাঠক।
প্রশ্ন হল, গুটিকয়েক হাজার পাঠক থেকে লক্ষ পাঠকের কাছে পৌছানোর আহসান তরিকা কি হতে পারে।
১। ব্লগের অনেকেই মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার সাথে সংযুক্ত আছেন। সংবাদপত্র, রেডিও বা টিভিতে এর প্রসঙ্গ টেনে আনা যেতে পারে। সাধারণ ব্যাবহারকারীরা উৎসাহী হয়ে জেনে নিতে পারবেন।
২। নিজের ব্যাক্তিগত বন্ধুমহল, আত্মীয়, পরিচিতদের ইমেইল করে লিঙ্ক ছড়িয়ে দেয়া। কারণ যারা মাসে-দুমাসেও ইমেইল চেক করেন তারা দিব্যি পড়ে নিতে পারবেন।
৩। সামাজিক সংযোগের জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলোর সাহায্য নেয়া। ফেসবুক, হাইফাইভ, মাইস্পেস, অর্কুট এদের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। আমার পছন্দের মিডিয়াম হল ফেসবুক। কারণ, ফেসবুকের এক বিরক্তিকর ফিচার হল, আপনার বন্ধুবান্ধব একটু মাথা চুলকালে বা কাশি দিলেও সেটি আপনার পেজে খবর হিসেবে চলে আসে। তাই সকল পাঠক যদি যার যার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে 'পছন্দের লিঙ্ক' বা এই ধরনের যায়গায় বইটিকে সংযুক্ত করে নেন তাহলে আপনার সংযোগ আরো অন্য মানুষকে কৌতুহলী করে তুলবে।
৪। অনেকেই ডিগ বা স্টাম্বলআপনের মত বুকমার্কিং সাইটের ব্যাবহারকারী। কোন লিঙ্কের হাজার পাঁচেক ডিগ বা স্টাম্বলআপন এর হিট থাকলে, দেখা যায় অটোমেটিক সেটি অন্যদের উৎসাহিত করে পড়ে দেখার।
প্রথম লিঙ্কঃ
Click This Link
দ্বিতীয় লিঙ্কঃ
Click This Link
ছবিঃ প্রথমটি দৈনিক ওয়েবসাইটের দর্শক সংখ্যা দ্বিতীয়টি ফিরে দেখা একাত্তর বইটির ডাউনলোড স্ট্যাট
ফিরে দেখা একাত্তরঃ ফার্স্ট ক্লাস প্রোডাকশন, সেকেন্ড ক্লাস মার্কেটিং
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৯টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
অল্প পুঁজিতে অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসার সন্ধান, যে কেউ চাইলে শুরু করতে পারে

কেউ একজন জানতে চেয়েছেন ১০/১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে কিভাবে মাসে ১/২ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়? বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করে দেখলাম বাংলাদেশে ১০/১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন
নীল নকশার অন্ধকার রাত

কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে
আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[
স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।