মাগনার দুনিয়া
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
আজকালকার ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের অনেকেই হয়ত নব্বইয়ের দশকের কথা সেভাবে মনে নেই। সবেমাত্র জলপাই আর আঁতেলদের হাত থেকে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য সারা পৃথিবীর কম্পিউটার একত্রিত হচ্ছে। সে এক বিশাল ব্যাপার। সাথে সাথেই আজগুবি সব প্ল্যান প্রোগ্রাম মানুষজন করা শুরু করল। এক অর্থে আজগুবী আর কিভাবে বলি, আজকে দুহাজার আটে যা স্বাভাবিক বিষয় বলে ধরে নিচ্ছি, তার বেশিরভাগই আটানব্বইয়ে ছিল সরাসরি সাইফাই। এইসব আকাশচুম্বী পরিকল্পনাগুলোর অনেকগুলোই হয় ছিল অবাস্তব, আর অনেকগুলো ছিল প্রযুক্তির তুলনায় অগ্রসর আইডিয়া। ফলাফল দুবছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিখ্যাত বাবল বার্স্ট। সেই মাজাভাঙ্গা অবস্থা থেকে উঠে আসতে আরো প্রায় আধাযুগ লেগেছে।
অনলাইনের শৈশবে যেই সমস্যাগুলো ছিল তার অনেকগুলোই এখনো রয়ে গেছে তারপরেও কপিরাইট ইস্যু নিয়ে বিশাল মারদাঙ্গা হয়েছে ন্যাপস্টার সেই ঢেউ বেয়ে আকাশ ছুঁয়েছে একই সাথে মারা পড়েছে(প্রায়) মাঝখান দিয়ে আইটিউনস বছরে বিলিওন ডলারের ইন্ডাস্ট্রী হয়ে গেছে। ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়ার খনি হিসেবে কাজা কিংবাদন্তীর স্থান পেয়েছে, একই সাথে বিটটরেন্ট এসে সেই ঝামেলা কাটিয়ে দিয়েছে। ক্রেডিট কার্ড নিয়ে নিরাপত্তা একটি বড় ইস্যু ছিল, এখনো আছে, কিন্তু পে-প্যালের মত সার্ভিস এসে পুরো প্রক্রিয়াটিই অনেক সহজ করে দিয়েছে।এমনকি তখন ফ্রীপিসি ডট কম নামে একটি কোম্পানী ফ্রীতে আস্ত কম্পিউটার দেয়া শুরু করেছিল এডওয়্যার ভর্তি করে এই আশায় যে সেই বিজ্ঞাপনের পয়সায় তাদের কোম্পানী টিকে যাবে, যদিও বেশিদিন চলেনি তাদের স্বপ্নফানুস।
তবে ইন্টারনেটের মূল শক্তি হল, যা প্রথম ধাক্কাতেই মানুষকে মোহমুগ্ধ করে তুলেছিল, তা হল অবিশ্বাস্য সব প্রযুক্তি শুধু অনলাইনের সংযোগ থাকলেই হাতের মুঠোয়। ইমেইল, আইআরসি, পার্সোনাল ওয়েব পেজ, সার্চ ইঞ্জিন, ইনসাইক্লোপিডিয়া এইরকম বিশাল প্রযুক্তি আর তথ্যভান্ডারগুলো একধাক্কায় পেয়ে গেল। ইন্টারনেট মানেই সবকিছু ফ্রী! এইরকম একটি আইডিয়া আমাদের মাথায় ঘুরঘুর করত। তবে অনলাইনে সংযুক্ত থাকাটা মোটেই ফ্রী ছিলনা, এবং এক হিসেবে এখনকার চেয়ে ব্যায়বহুলই ছিল। তাই আইডিয়া হল অনলাইনে সব ফ্রী। তবে ইন্টারনেট থাকতে হবে।
সময়ের সাথে সঙ্গনকের সন্তঃসংযোগ আগের চেয়ে অনেক দ্রুত, শক্তিশালী আর বাণিজ্যিক হয়ে পড়েছে। সেই আমলের ফ্রীর জমানা আর নেই। এখন বেশরম সুন্দরীদের সৌন্দর্য্য উপভোগের চেয়ে কাজের জন্যই অনেক বেশী ব্যাবহার করে ইন্টারনেট। তারপরেও ফ্রী স্পিরিট অফ ইন্টারনেট কি একেবারেই মারা পড়েছে? সম্ভবত না, সেদিন একটা লিঙ্ক পেলাম আজকালকার অনলাইন ফ্রীস্টাফের ওপরে। এর অনেকগুলো সার্ভিসই পশ্চিমা বিশ্ব বা আমেরিকাকে টার্গেট করা, কিন্তু তারপরেও সফটওয়্যার, এডুকেশনের মত সেকশনগুলোতে সবারই কাজে লাগার মত জিনিষ আছে।
101 Best Web Freebies
৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন
পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়
আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন
নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন
দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।