ইদানিং খুব লেখালেখি করতে মন চায়। কিন্তু কি লিখব ঠিক করে উঠতে পারতেছি না। কোথা থেকে শুরু করব, তাও বুঝতেছি না। বেকার হওয়ার আগে ভাবছিলাম অনেক বই পড়ব, সামান্য লেখালেখি করব! কিন্তু, বেকার হইলে সমস্যা টাকা পয়সা। ইচ্ছে মতো টাকা পয়সা খরচ করা যায় না। তাই বইও কিনতে পারি না। অতিরিক্ত জমানো কিছু টাকা দিয়ে কিছু বই অবশ্য কিনেছিলাম, পড়া হয়ে গেছে। আর কিনতে পারতেছি না। তাই এখন ইন্টারনেটই ভরসা। কিন্তু, ইন্টারনেটের সমস্যা হলো, ফেসবুক, খবরের কাগজ আর ব্লগ পড়তে পড়তেই দিন কেটে যায়। কিছু একটা চিন্তা ভাবনা করে যে কিছু একটা লেখব, সে সময় পাই না।
মৌলিক কিছু লেখার মতো জ্ঞান আমার নেই, কোনদিন পারবো বলেও মনে হয় না। তাই আমি ঠিক করেছি আমার প্রিয় লেখকদের বই থেকে ধার করে লিখব। উদ্দেশ্য হলো যিনি আমার এই লেখাটি এই মুহূর্তে পড়ছেন তিনি যদি আমার প্রিয় লেখকের কোন বই পড়ে না থাকেন, তার লেখা সম্পর্কে একটু ধারনা দেয়া, সেই বই পড়ে আমি যে আনন্দ পেয়েছি, সম্ভব হলে সে আনন্দ একটু শেয়ার করা।
আজ আমি শুরু করব অত্যন্ত মজার একটি বই “They called me mad” দিয়ে। বইটির লেখক John Monahan. অসম্ভব মেধাবী সব বিজ্ঞানী যাদের পাগলামির ফসল আমাদের বর্তমান বিজ্ঞান, তাদের বিভিন্ন আবিস্কারের কাহিনী নিয়ে বইটি লেখা।
আর্কিমিডিসঃ

আর্কিমিডিসের জন্ম খ্রিস্টপূর্ব ২৮৭ সালের দিকে সাইরাকাসে। দশম শতাব্দীর মুসলিম গনিতবিদ আবু সাহল আল কুহি আর্কিমিডিসের গনিতের পান্ডিত্যে এতই বিমোহিত হন যে, তিনি আর্কিমিডিসকে “গনিতের ইমাম” বলে ভূষিত করেন। ২৭০ খৃস্টপূর্বাব্দের দিকে আর্কিমিডিসের বাবা তাকে উচ্চতর পড়ালেখার জন্য পাঠান বিখ্যাত আলেকজান্দ্রিয়ায়। আলেকজান্ড্রিয়া নিয়ে একটু ছোট করে বলি। আলেকজান্ড্রিয়া দি গ্রেট আলেকজান্ডার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয় টলেমির তত্ত্বাবধানের। আলেকজান্ডারের পর টলেমি যখন সিংহাসনে বসেন, তিনি ঠিক করেন যে আলেকজান্ড্রিয়াকে পৃথিবীর জ্ঞান বিজ্ঞান, শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রে পরিনত করবেন। সেখানে জাদুঘর, লেকচার রুম, ব্যবচ্ছেদ করার স্থান, বোটানিক্যাল গার্ডেন আর চিড়িয়াখানাও ছিল। সারা পৃথিবী থেকে আগত জ্ঞানী গুণী পণ্ডিতরা সেখানে আসলে তাদের থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থাও ছিল। আলেকজান্দ্রিয়ার বিখ্যাত লাইব্রেরীর কথা আমরা কম বেশি সবাই জানি। তখনকার সময়ে এই লাইব্রেরী ছিল পৃথিবীর তথ্য ভান্ডার। তখন পর্যন্ত বিকশিত মানব সভ্যতার ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত তথ্যে ভরপুর প্রায় পাঁচ লক্ষ বই ছিল এই লাইব্রেরীতে!! দুঃখজনকভাবে বিভিন্ন যুদ্ধের সময় এই লাইব্রেরী ক্ষতিগ্রস্থ ও ধ্বংস হয়। সম্রাট সিজার যখন আলেকজান্ড্রিয়া দখল করেন (৪৮ খ্রিস্টপূর্বে), তখন প্রথম এই লাইব্রেরী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তারপরও কিছুকাল এই লাইব্রেরীর কার্যক্রম চলছিল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় যখন সম্রাট অরেলিয়ান আলেকজান্ড্রিয়া আক্রমণ করেন (২৭০-২৭৫ সালে)। সম্রাট থিওডসিস (৩৯১ সালে) প্যাগানিজম (অগ্নিপূজা, বহুঈশ্বরবাদী, মুসলিম খ্রিস্টান বা ইহুদি নয় যারা) নিষিদ্ধ করেন এবং প্যাগানদের সব মন্দির ধ্বংস করেন। প্যাগানদের কিছু মন্দিরের অংশ এই লাইব্রেরীর অংশ ছিল। তাই প্যাগানদের মন্দির ধ্বংসের সময় এই লাইব্রেরিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যদিও ঘটনাটি বিতর্কিত, ৬৪২ সালে আলেকজান্ড্রিয়া লাইব্রেরি আরেকবার ধ্বংস হয় খলিফা ওমর (রঃ) এর নির্দেশে। খলিফা ওমর (রঃ) নাকি বলেছিলেন, “ লাইব্রেরীর বইগুলো যদি কোরানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয় বা কোরানের সমার্থক হয়, তাহলে বইগুলোর আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই, আর যদি কোরান বিরোধী হয়, তাহলে বইগুলো ধ্বংস করো।“
যা হোক, ক্ষমতা আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে এই মহামূল্যবান লাইব্রেরী ধ্বংস হয়ে মানব সভ্যতার যে ক্ষতি হয়েছে সে ক্ষতি আমরা এখনো পুষিয়ে উঠতে পেরেছি কিনা জানি না। আবার ফিরে আসি আর্কিমিডিসে। আর্কিমিডিসের সোনার মুকুটের বিশুদ্ধতার সেই বিখ্যাত গল্প (ইউরেকা ইউরেকা) আমরা সবাই জানি। সে গল্প আমি বলবো না। আমি অন্য গল্প করি। আর্কিমিডিস বৃত্ত খুব ভালবাসতেন। অন্য গ্রিক গণিতবিদগণ বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসার্ধের সম্পর্ক জানতেন, যা আমরা গ্রিক অক্ষর “পাই” দিয়ে প্রকাশ করি। আর্কিমিডিস জানতেন যে বৃত্তের পরিধি বৃত্তের ব্যাসার্ধের তিনগুনের কিছু বেশি। কিন্তু, তিনি আরও নিখুঁত মাপ জানতে চান। তিনি পাইয়ের যে মান বের করলেন তা হল, ৩ ১/৭ ও ৩ ১০/৭১ এর মাঝামাঝি। আর্কিমিডিস ডেসিমেলের ব্যবহার জানতেন না, তাই এভাবে প্রকাশ করলেন পাইয়ের মান। যা এখন আমরা পাইয়ের মান যা জানি তার খুব কাছাকাছি।
আর্কিমিডিস এক আত্মভোলা বিজ্ঞানী ছিলেন। প্রায়ই নাওয়া খাওয়া ভুলে যেতেন। তাকে দেখলে মনে হতো কোন এক অংকের ভূত ভর করেছে তার উপর। হাতের কাছে যা পেতেন তার উপরই আঁকি বুকি হিসাব নিকাশ করতেন। গণিতের মৌলিক ও বিশুদ্ধতম বিষয়গুলোতে তিনি এমনভাবে মগ্ন থাকতেন যে প্রাত্যহিক জীবনের কদর্য চাহিদা তাকে স্পর্শ করত না। অংক কষেই আর্কিমিডিস সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেতেন। তার অন্যান্য আবিস্কার ও প্রকৌশল পারদর্শিতা তাকে গনিতের মৌলিক হিসাব নিকাশ থেকে বিরত করত, যা ছিল তার জন্য সত্যিই বিরক্তিকর। কিন্তু, তার কাজই ছিল তার বন্ধু ও সম্রাটকে বিভিন্ন প্রযুক্তি সহায়তা দেয়া। আর্কিমিডিস একবার দাবী করলেন যে তাকে যদি দাঁড়ানোর জায়গা দেয়া হয়, তিনি পৃথিবীকে সরিয়ে দেখাবেন!! এই কথা গেল সম্রাটের কানে। সেসময় সম্রাট এক বিশাল জাহাজ তৈরী করছিলেন মিশরের শাসক টলেমিকে উপহার দেয়ার জন্য। এই জাহাজের ওজন দুই হাজার টন!! আর্কিমিডিসকে বললেন এই জাহাজকে ডাঙা থেকে পানিতে ভাসাও, তাইলেই বুঝবো তুমি কেমন পন্ডিত!! আর্কিমিডিস কাজে লেগে গেলেন। রশি আর পুলি দিয়ে আর্কিমিডিস এক জটিল কাঠামো বানালেন। রশির এক মাথা যুক্ত করলেন জাহাজের সাথে, আরেক মাথা স্ক্রুর মতো হেলিক্স আকৃতির এক যন্ত্রের সাথে। শহরের সব লোক চলে আসলো এই জাদু দেখার জন্য। সম্রাট আসলেন। সবার দৃষ্টি আর্কিমিডিসের দিকে। আর্কিমিডিস শান্তভাবে বসলেন। তারপর ঘোরানো শুরু করলেন তার সেই হেলিক্স আকৃতির যন্ত্র, রশি ধীরে ধীরে শক্ত হচ্ছে, সবাই রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছে কি ঘটে দেখার জন্য। তারপর হঠাৎ সেই বিশাল ভারি জাহাজ নড়তে শুরু করল এবং ধীরে ধীরে সমুদ্রের পানিতে গিয়ে ভাসল। সবাই উল্লাসে ফেটে পড়ল আর সম্রাট ঘোষণা করলেন, “এখন থেকে আর্কিমিডিস যা বলবেন, তাই বিশ্বাস করা হবে।” সময় বয়ে গেল, আর্কিমিডিস আরও অনেক চমৎকার কাজ করে দেখালেন। সবসময় তিনি অদ্ভুত সব হিসাব নিকাশ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেই ভালবাসতেন। যেমন, একবার তার খেয়াল হলো মহাবিশ্বের আয়তন বের করবেন এবং এই আয়তন পূর্ণ করতে কতগুলো বালুকনা লাগবে সেটাও তিনি হিসেব করে বের করবেন!!! তিনি বের করলেন মহাবিশ্বের ব্যাসার্ধ দশ ট্রিলিয়ন মাইল!!! তিনি হিসেব শুরু করেছিলেন পৃথিবীর ব্যাসার্ধ আর কক্ষপথ দিয়ে। যদিও তখন পৃথিবী কেন্দ্রিক বিশ্বের মডেল প্রচলিত ছিল, কিন্তু আর্কিমিডিস সূর্য কেন্দ্রিক মডেলই ব্যবহার করলেন। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে তা হলো সূর্য কেন্দ্রিক মডেল প্রতিষ্ঠিত হবার ১৮০০ বছর আগের ঘটনা। সূর্য কেন্দ্রিক মডেলের ধারনা প্রথম দেন বিখ্যাত গ্রিক পন্ডিত এরিস্থাকাস। আর্কিমিডিস বালুকনার সংখ্যা বের করলেন এক হাজার ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন টি। যা আমরা ১০(৬৩) দিয়ে প্রকাশ করতে পারি। আমাদের আধুনিক সংখ্যা পদ্ধতি তখনও আবিস্কার হয় নি, তাই তাকে গ্রিক সংখ্যা পদ্ধতিই ব্যবহার করতে হয়। গ্রিক পদ্ধতিতে সবচেয়ে বড় সংখ্যা ছিল মাইরাড বা দশ হাজার। তাই আর্কিমিডিসকে বড় সংখ্যা প্রকাশ করার জন্য নতুন পদ্ধতি আবিস্কার করতে হয়।
কালের পরিক্রমায় আর্কিমিডিসের সম্রাট মারা গেলেন, নতুন সম্রাট শাসন ক্ষমতায় আসলেন। রোমান সম্রাজ্য বন্ধু থেকে শত্রু রাষ্ট্রে পরিনত হলো। রোমানরা তাদের জেনারেল মারকাস ক্লডিয়াস মারসেলাসকে পাঠালেন আর্কিমিডিসের রাজ্য সাইরাকাসকে দখল করার জন্য। মারসেলাস জানতেন সাইরাকাসের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভালো, কিন্তু তার যে সামরিক শক্তি, তাতে সাইরাকাস দখল করতে তার বড় জোর পাঁচ দিন লাগবে। কিন্তু তিনি ভাবেন নি আর্কিমিডিসের মতো একজন জিনিয়াস যদি প্রতিপক্ষ শিবিরে থাকে, তাহলে এই একজন জিনিয়াস যেকোনো সংখ্যক সেনাকে প্রতিহত করতে পারে। রোমান নৌবহর সাইরাকাস আক্রমন করে তখনকার সরবাধুনিক সব যুদ্ধজাহাজ নিয়ে। আর্কিমিডিস তখন তার জাদু দেখালেন। তিনি ব্যবহার করলেন পৃথিবীর প্রথম “death ray”. অনেকগুলো অবতল দর্পণ ব্যবহার করে তিনি মারসেলাসের যুদ্ধজাহাজগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিলেন। মারসেলাশ পিছু হঠতে বাধ্য হলেন।

তারপর মারসেলাস রাতে আক্রমন করার পরিকল্পনা করলেন। মারসেলাসের সেনারা যখন প্রতিরক্ষা দেয়ালের কাছাকাছি পোছল, তাদের উপর তীরের বৃষ্টি হতে লাগল। আরিকিমিডিস সারিবদ্ধ লুপহোল তৈরি করেছিলেন দেয়ালে, এই লুপহোলের ভেতর দিয়ে দেয়ালের আড়াল থেকে নিরাপদে তীর বর্ষণ করা যেত। আর্কিমিডিস কার্গো ক্রেন তৈরি করে বড় বড় পাথরের টুকরো ছুড়ে রোমান জাহাজ ভেঙ্গে দিতেন দেয়ালের আড়াল থেকেই। আর্কিমিডিস আরেক ধরনের কার্গো ক্রেন তৈরি করলেন। এটাতে ছিল লিভার আর একপাশে থাকতো ভারি ওজন। রাতের আধারে আর্কিমিডিসের সেনারা পানিতে এই লিভারে বাধা রশি নামিয়ে রোমান জাহাজগুলোকে আটকে ফেলত, তারপর পানি থেকে উঠিয়ে আছড়ে ফেলত পাথুরে কোন পাড়ে বা এমন ঝাকি দিত যে জাহাজের নাবিক বা সেনারা সব পানিতে পড়ে যেত। আর্কিমিডিস রোমান সেনাদের মনে এমন ভীতি তৈরি করেছিলেন যে রোমানরা যদি একটুকরো রশি বা কাঠের কোন টুকরোও যদি প্রতিরক্ষা দেয়ালের কাছে দেখতে পেত, তাহলে ভয়ে চিৎকার করতে করতে পালিয়ে যেত।
মারসেলাস যেখানে ভেবেছিলেন পাঁচদিনে সাইরাকাস দখল করবেন, সেখানে দুই বছর কেটে গেল কিন্তু তিনি কিছুই করতে পারলেন না। প্রতিটা ক্ষেত্রেই তারা আর্কিমিডিসের বুদ্ধিমত্তার কাছে পরাজিত হলো। কিন্তু, অবশেষে রোমানরা তাদের ধৈর্যের ফল পেল। এক উৎসবের রাতে সাইরাকাসের প্রতিরক্ষা দেয়ালের এক অংশের সেনারা অতিরিক্ত মদ খেয়ে মাতাল ছিল, তাই সে অংশ অরক্ষিত হয়ে পড়ল। রোমান সেনারা সেদিক দিয়ে ঢুকে পড়ল আর বড় একটা গেইট খুলে দিল। মুহূর্তে রোমান সেনারা শহরে ঢুকে তান্ডব শুরু করে দিল। সাইরাকাস রাজ্যের পতন হলো। আর আমাদের আত্মভোলা আর্কিমিডিসের এসবের কোন খেয়াল ছিল না। সে তার অভ্যাসমতো তার বাড়ির সামনে বালিতে বৃত্ত আঁকছিলেন, আঁকিবুঁকি করছিলেন আর জটিল কোন হিসেব কষছিলেন। সেখানে এক রোমান সেনা উপস্থিত হলো। মারসেলাস বিশেষ নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন যে আর্কিমিডিসকে যেন হত্যা করা না হয়, তাকে কোনরকম আচড় না দিয়ে যেন মারসেলাসের কাছে নিয়ে আসা হয়। কারন, মারসেলাস এরকম একজন জিনিয়াসের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু, দুর্ভাগ্য!! সেই রোমান সেনাকে দেখে আর্কিমিডিস ভয়ে পালিয়ে না গিয়ে বা আত্মসমর্পণ না করে ধমকে উঠলেন! বললেন, আমার বৃত্তকে নষ্ট করবে না। ক্রুদ্ধ সৈনিক আর্কিমিডিসকে চিনতে পারলো না। সেসময় পর্যন্ত পৃথিবীর বুকে বিচরন করা সবচেয়ে মেধাবী মানুষটিকে হত্যা করলো। জেনারেল মারসেলাস যখন এই ঘটনা জানতে পারলেন, রাগে দুঃখে হতাশায় তখনই সেই সৈনিককে হত্যা করলেন। যে নিষ্ঠুর জেনারেল নির্বিকার চিত্তে প্রতিপক্ষের দুই হাজার লোকের শিরচ্ছেদ করলেন, তিনি আর্কিমিডিসের সম্মানে বিশেষ সৎকারের ব্যবস্থা করলেন। আর্কিমিডিসকে সর্বচ্চো সম্মানে ভূষিত করলেন। আর্কিমিডিস যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবেই তাকে সমাহিত করা হলো।
আজ এ পর্যন্তই। আবার হয়তো হাজির হব অন্য কোন গল্প নিয়ে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



