somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

B-)গোলাম আযমের বাড়ি ভেঙ্গে দিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী B-)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গোলাম আযমের বাড়ি জনতা পুড়িয়ে দিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাটাই গ্রামে তার নানা বাড়ি এবং বীরগাও, নবীনগরে তার বাবার বাড়ি।

ঘটনার সূত্রপাত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে যাওয়া কিছু মানুষকে তারা (গোলাম আযমের আত্মীয়) বলে যে “তোরা তো মুক্তিযোদ্ধা না তোরা সন্ত্রাসী” এর পরেই গ্রামবাসীরা একত্র হয়ে গোলাম আযমের বাড়ি ভেঙ্গে, পুড়িয়ে দেয়। ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে কিনা জানা যায় নি। কোন অজানা কারণে ঘটনাটিকে একপক্ষ গুজব বলে আখ্যায়িত করছে আবার অনেকে বলছে যে সত্যিই। তবে তার প্রতিবেশী এক মহিলা ঘটনাটিকে সত্যি বলে দাবী করছেন এবং তিনিই উপরে উল্লেখিত ঘটনার বর্ণনা দেন। আমি নিজে মহিাল সাথে কথা বলেছি। এবং একই বর্ণনা আরো অনেকে দিয়েছেন। তার পাশের গ্রামের একজনকে দিয়েও আমি খোঁজ নিয়েছি। শুক্রবার রাত এগারোটায় এটিএন নিউজেও এই সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। কিন্তু ঠিক কি কারণে পরে তারা এই সংবাদ আর প্রচার করে নাই সেটা রহস্যাবৃত। আর শহরে এই ঘটনা নিয়ে প্রচুর কানা ঘুষা চলছে। ঘটনাটি নিঃসন্দেহে অনেক বড় একটি পদক্ষেপ।

১৯২২ সালের ৭ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জন্মগ্রহণকারী গোলাম আযম প্রথমে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতোকোত্তর করে। ১৯৫৪ সালে জামাতে যোগ দেয়। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত পুর্ব পাকিস্তানের জামায়াত শাখার আমীর ছিলো।

১৯৭১ সালে গোলাম আযম তার দল জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা শুরু করে। ২৫মার্চের কালরাত্রির মাত্র ছয়দিন পরেই গোলাম আযম ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে পাকিস্তানী বাহীনির পক্ষে ভাষন দিয়ে শুরু করে মানবতা বিরোধী অপতৎপরতা এবং যুদ্ধাপরাধ। তার ভাষনে সে বলে “ভারত সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী প্রেরণ করে কার্যত পূর্ব পাকিস্তানিদের দেশপ্রেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে। .....আমি বিশ্বাস করি যে, এই অনুপ্রবেশ কারীরা পূর্ব পাকিস্তানী মুসলমানদের থেকে কোন সহযোগীতা পাবে না।’
৯এপ্রিল পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার ধুয়া তুলে পাকিবহীনির সহযোগীতায় গোলাম আযমদের নেতৃত্বে ঢাকায় শান্তি বাহীনি গঠন করা হয়।

১২ এপ্রিল মিছিল শেষে গোলাম আযমের নেতৃত্বে মোনাজাতের মাধ্যমে দেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত হয় তারা।

গোলাম আযম শুধু মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক ভাবে বিরোধীতাই করেনি বরং তার নেতৃত্বে আলবদর আলশামস বাহীনি গঠন করে সারা দেশে গণহত্যা, লুটপাট, ধর্ষন, আগ্নিসংযোগসহ সকল ধরনের মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়।

স্বাধীনতার আগ মুহুর্তে গোলাম আযম পাকিস্তান চলে যায় এবং পরে পূর্ব পাকিস্তান পুণরুদ্ধার কমিটি গঠন করে। যেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ভাবে প্রচারণা চালাতে পারে।
লন্ডনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ‘সোনার বাংলা’ নামের পত্রিকা সে প্রকাশ করে অপপ্রচার চালানোর জন্যে। সৌদি রাজা ফয়সালের সাথে দেখা করে যেন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া না হয়।

নাগরিকত্ত বাতিল: ১৯৭৩ সালেবঙ্গবন্ধু সরকার আরো ৩৮ জনের সাথে তার নাগরিকত্ত ও বাতিল করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে জিয়াউর রহমানের আনুকূল্যে ১৯৭৮ সালে গোলাম আযম পাকিস্তানি সার্টিফিকেট নিয়ে দেশে ফিরে আসে।মায়ের অসুস্থতার কথা বলে আসে কিন্তু কোন ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশে বাস করতে থাকে যে দেশকে স্বীকৃতি না দিতে সে সৌদি রাজার কাছে সাতবার আবেদন করেছিল। ১৯৯৪ সালে বিএনপি সরকারের সময় আদালতের রায়ে সে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করে।

বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধে তার বিচার কার্যক্রম চলছে।

আমি ছবি যোগাড় করছি। পাওয়া মাত্র আপডেট দেয়া হবে।:D

“আসিতেছে শুভদিন
প্লেইটে সবাই কাচ্চি নিন।”;)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
৫৭টি মন্তব্য ৫৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×