ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গোলাম আযমের বাড়ি জনতা পুড়িয়ে দিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাটাই গ্রামে তার নানা বাড়ি এবং বীরগাও, নবীনগরে তার বাবার বাড়ি।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে যাওয়া কিছু মানুষকে তারা (গোলাম আযমের আত্মীয়) বলে যে “তোরা তো মুক্তিযোদ্ধা না তোরা সন্ত্রাসী” এর পরেই গ্রামবাসীরা একত্র হয়ে গোলাম আযমের বাড়ি ভেঙ্গে, পুড়িয়ে দেয়। ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে কিনা জানা যায় নি। কোন অজানা কারণে ঘটনাটিকে একপক্ষ গুজব বলে আখ্যায়িত করছে আবার অনেকে বলছে যে সত্যিই। তবে তার প্রতিবেশী এক মহিলা ঘটনাটিকে সত্যি বলে দাবী করছেন এবং তিনিই উপরে উল্লেখিত ঘটনার বর্ণনা দেন। আমি নিজে মহিাল সাথে কথা বলেছি। এবং একই বর্ণনা আরো অনেকে দিয়েছেন। তার পাশের গ্রামের একজনকে দিয়েও আমি খোঁজ নিয়েছি। শুক্রবার রাত এগারোটায় এটিএন নিউজেও এই সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। কিন্তু ঠিক কি কারণে পরে তারা এই সংবাদ আর প্রচার করে নাই সেটা রহস্যাবৃত। আর শহরে এই ঘটনা নিয়ে প্রচুর কানা ঘুষা চলছে। ঘটনাটি নিঃসন্দেহে অনেক বড় একটি পদক্ষেপ।
১৯২২ সালের ৭ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জন্মগ্রহণকারী গোলাম আযম প্রথমে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতোকোত্তর করে। ১৯৫৪ সালে জামাতে যোগ দেয়। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত পুর্ব পাকিস্তানের জামায়াত শাখার আমীর ছিলো।
১৯৭১ সালে গোলাম আযম তার দল জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা শুরু করে। ২৫মার্চের কালরাত্রির মাত্র ছয়দিন পরেই গোলাম আযম ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে পাকিস্তানী বাহীনির পক্ষে ভাষন দিয়ে শুরু করে মানবতা বিরোধী অপতৎপরতা এবং যুদ্ধাপরাধ। তার ভাষনে সে বলে “ভারত সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী প্রেরণ করে কার্যত পূর্ব পাকিস্তানিদের দেশপ্রেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে। .....আমি বিশ্বাস করি যে, এই অনুপ্রবেশ কারীরা পূর্ব পাকিস্তানী মুসলমানদের থেকে কোন সহযোগীতা পাবে না।’
৯এপ্রিল পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার ধুয়া তুলে পাকিবহীনির সহযোগীতায় গোলাম আযমদের নেতৃত্বে ঢাকায় শান্তি বাহীনি গঠন করা হয়।
১২ এপ্রিল মিছিল শেষে গোলাম আযমের নেতৃত্বে মোনাজাতের মাধ্যমে দেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত হয় তারা।
গোলাম আযম শুধু মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক ভাবে বিরোধীতাই করেনি বরং তার নেতৃত্বে আলবদর আলশামস বাহীনি গঠন করে সারা দেশে গণহত্যা, লুটপাট, ধর্ষন, আগ্নিসংযোগসহ সকল ধরনের মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়।
স্বাধীনতার আগ মুহুর্তে গোলাম আযম পাকিস্তান চলে যায় এবং পরে পূর্ব পাকিস্তান পুণরুদ্ধার কমিটি গঠন করে। যেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ভাবে প্রচারণা চালাতে পারে।
লন্ডনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ‘সোনার বাংলা’ নামের পত্রিকা সে প্রকাশ করে অপপ্রচার চালানোর জন্যে। সৌদি রাজা ফয়সালের সাথে দেখা করে যেন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া না হয়।
নাগরিকত্ত বাতিল: ১৯৭৩ সালেবঙ্গবন্ধু সরকার আরো ৩৮ জনের সাথে তার নাগরিকত্ত ও বাতিল করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে জিয়াউর রহমানের আনুকূল্যে ১৯৭৮ সালে গোলাম আযম পাকিস্তানি সার্টিফিকেট নিয়ে দেশে ফিরে আসে।মায়ের অসুস্থতার কথা বলে আসে কিন্তু কোন ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশে বাস করতে থাকে যে দেশকে স্বীকৃতি না দিতে সে সৌদি রাজার কাছে সাতবার আবেদন করেছিল। ১৯৯৪ সালে বিএনপি সরকারের সময় আদালতের রায়ে সে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করে।
বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধে তার বিচার কার্যক্রম চলছে।
আমি ছবি যোগাড় করছি। পাওয়া মাত্র আপডেট দেয়া হবে।
“আসিতেছে শুভদিন
প্লেইটে সবাই কাচ্চি নিন।”
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯