রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য প্রিয়া সাহা এমন কান্ড করেছে, এমন মনে করার কোন কারণ নেই। এটা বললে তার অপরাধের গুরুত্ব বরং হালকা হয়ে যাবে। সে যা করেছে তা অতি সুক্ষ্মভাবে বিশেষ কোন গোষ্ঠিীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। এবং ১৯৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধে রাজাকার আলবদরদের থেকেও ঘৃণিত কাজ করেছে এই কুলাঙ্গার মহিলা, প্রিয়া সাহারা এই দেশ থেকে কি পায়নি ?
তারপরও তারা এই দেশের বিরুদ্ধে চক্রন্ত করেছে এখন দেখার বিষয় এতোদিন যাদের চত্র ছায়ায় এই প্রিয়া ছিলো তারা এখন তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অনুরোধ করলেও সে সেখানে থাকতে চাইবে না বলেই আমার বিশ্বাস। আমার আরো বিশ্বাস প্রিয়া সাহা দেশদ্রোহমূলক কথা যাই বলুক না কেন, তিনি দেশে ফিরে আসবেন দম্ভের সাথে এবং আমরা যারা প্রতিবাদ করছি তাদেরকে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিয়ে তিনি তার বক্তব্যের যথার্থতা প্রমান করতে সচেষ্ট হবেন।
তিনি ট্রাম্পকে বলেছেন, আমরা বাংলাদেশে থাকতে চাই। এই বিষয়ে আপনার সহযোগিতা চাই। আরো ১৮ মিলিয়ন আছে তার মতো। তার মানে প্রিয়ার কিছু এজেন্ডা আছে। সেটা হলো বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত করা। অনেকে বলেছেন, প্রিয়া সাহার দুই মেয়ে আমেরিকায় পড়াশুনা করে। স্বামী মলয় সাহা দুদকের সহকারি পরিচালক। আর তিনি নিজেও হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক। শারি নামে একটি এনজিও'র নির্বাহী পরিচালক।
নিজের দেশে এমন সুদৃঢ় অবস্থান ছেড়ে কেউ বিদেশে থাকতে চায় না। ট্রাম্পের দরবারে ১৭ দেশের প্রতিনিধির মধ্যে প্রিয়া সাহা কিভাবে অন্তর্ভুক্ত হলেন সেটা তদন্ত করা দরকার। তাই প্রিয়ার এই কান্ডকে আহ্লাদী দৃষ্টিতে বিবেচনা করা বেমানান।
আর বাংলাদেশ যদি সংখ্যালুগুদের উপর অমানবিক আচরণ করে থাকে তার মতো নারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পৌছায় কিভাবে এবং তার স্বামী দুদকের পরিচালক হয় কিভাবে এবং দুই মেয়ে কিভাবে পড়াশোনা করলো ?
তার কোন বাড়ি ঘর কে কবে দখল করেছে তার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না দিতে পারলে তার নাগিরকত্ব বাতিল করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ গঠন করা এখন ফরজ হয়ে গেছে বলে আমি মনে করি ।
- এম. বোরহান উদ্দিন রতন
ব্লগার ও সামাজিক সংগঠক
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩