somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিরপেক্ষ বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজন্ম (গালাগালিমুক্ত!!!!!!!!!!!)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গালাগলি লোকসমাজে অনুশীলন করা একটা নিয়মিত প্রক্রিয়া। এই খানে বিচার্য হইতেছে গালি কে দেয়, কারে দেয়, কখন দেয়। সামহোয়ারইন ব্লগের চুড়ান্ত সর্বনাশ হইছে, হইয়া চলতেছে ফ্যাসীবাদী জামাতের কর্মী,সমর্থক আর যেই সব ভদ্রলোকরা আহাউহু কইরা তাগো কথা বলার জায়গা বানাইয়া দিতাছে তারা। ২০০৬ সালের শুরু থিকা এই প্লাটফর্মে আছি। এইখানে প্রথম গালিটা দিছিল রাজাকাররা। গালাগালির ট্রেডিশন শুরু করার জন্য খুব স্পষ্টভাবে দায়ী জামায়াতে ইসলামী + ইসলামী জঙ্গীবাদের সমর্থকরা। সেই এভিডেন্সগুলা টানতে পারতেছি না পুরানা কমেন্ট কর্তৃপক্ষের কৃপায় হাওয়া হইছে বইলা। এক রাজাকার পুত্র হুমকি দিছিল বেইসবল ব্যাট দিয়া পিটানোর। সেই অবস্থায় যাগো হুমকি দেওয়া হইছে তারা কি করতে পারে? পাল্টা পোস্টাইয়া প্রতিবাদ ছাড়া আর কোন রাস্তা ছিলনা। সেই সময় প্রতিবাদগুলা হইছে স্যাটায়ার ফরম্যাটে। ঠিক তখন থিকাই প্রাতিষ্ঠাণিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কিছু চামচা বুদ্ধিজীবি শুরু করছে সুশীলতা লইয়া গইড়াইয়া কান্দাকাটি। তাগো পোস্টে সহমত জানানোর লিস্টি করলে যাগো নাম পাওন যায় স্যাটায়ারগুলার তারাই টার্গেট ছিল। এর পিছনে কি ছিল জানিনা। আমার নিজের বুদ্ধিতে কয় সস্তা জনপ্রিয়তা নাইলে মালিকপ্রিয়তার পরিচিত সুশীল ধান্দাবাজী। তাগো প্রশ্রয় পাইয়া রাজাকারের ছাওগুলি আস্তে আস্তে এইখানে শিকড় ছড়াইছে। ওরা যত ছড়ানোর চেষ্টা করছে প্রতিবাদ তত বাড়ছে। গালাগলির চরম পরিস্থিতি সৃষ্টি হইছে দাপট বাইড়া যাওনের কারণে। কর্তৃপক্ষের মধ্যে এই প্রশ্নে একচোখা মনোভাব ছিল। সেই কারণে এই ব্লগ থিকা ২০০৭ সালের মে মাসে চরম পরিস্থিতিতে যারা সামহোয়ারইনব্লগের গায়ে একটু একটু কইরা মাংস যোগ করছে তারা চইলা যায়। কিন্তু চইলা গেলে এই প্লাটফর্মটা প্রতিক্রিয়াশীলগো একচেটিয়া দখলে যাইবোগা এই যুক্তিতে তখন অনেকেই থাইকা যায়। এরপর পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। জুলাই মাসে অমি রহমান পিয়াল ব্যান হয়, তার দুই দিন পরে আমি ব্যান হই। এরকম আরো অনেকেই ব্যান হয়। আমার প্রথম পাতায় ব্যান এখনো ঝুলতাছে।

কি কারণে রাজাকারগো লগে সহাবস্থান চাইনা এইটা কোন সুশীলের কাছে ব্যাখ্যা দেওনের কোন দায় আমার বা বাংলাদেশের কোন নাগরিকের নাই। এই দেশে তারা (জামাত) অবৈধ ছিল। বন্দুক দিয়া তাগো বৈধ করা হইছে। করার সময় পাবলিকরে জিগানো হয় নাই। ইন্টেলেকচুয়াল প্লাটফর্মে তারা ছিল না। জামাত ইন্টেলেকচুয়াল অনুশীলনের বিরুদ্ধে। তারা এই উদ্দেশ্যই রগ কাটে, এই উদ্দেশ্যেই ১৪ ডিসেম্বর ঘটায়। লিখতে গেলে যে ইন্টেলেকচুয়াল ফ্লেক্সিবিলিটি লাগে এইটা কোন ধরণের মৌলবাদী বা ফ্যাসিস্টগো থাকে না। এই না পারাটা তাগো একটা মৌলিক অক্ষমতা। দেশের বেশীরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির নিষিদ্ধ। রাষ্ট্রের আইনে নিষিদ্ধ না। জনমতের চাপে নিষিদ্ধ। ভোটের রাজনীতির তাগো সেই অক্ষমতায় মলম লাগাইতে চাওয়া বুদ্ধিগিগোলো বা বুদ্ধিগণিকারা খুব সহজ ফর্মুলায় ফ্যাসীবাদের ভাড়াইটা। এই ক্ষেত্রে আক্রমণের লক্ষ্য বাদে অন্য যে কেউ আক্রমণের ভাষায় আক্রান্তবোধ করা মানে আক্রান্তের সাথে তার অবস্থান হোমোজিনিয়াস, মানে তিনিও তাদের দলেই পড়েন। (এই ক্ষেত্রে তীরন্দাজের অবস্থান খুব পরিস্কার। তিনি নিজে গালি দেন না, গালাগালির বিরোধিতা করেন। কিন্তু কোন রাজাকারের ছাও ভুলেও তার পোস্টের দিক যায় না। কারণ তিনি তার অবস্থান পরিস্কার করছেন। ) এই ভাড়াইটা গুলারে দিয়া নব্বই দশকের ২য় ভাগ থিকা (আগেও করছে কিন্তু এই সময় থিকা ব্যপকভাবে) তারা উত্তরাধুণিকতার কান্দে বন্দুক রাইখা বুদ্ধিবৃত্তিক মতবিনিময় করার জায়গাগুলাতে নিজেগো হালাল করার চেষ্টা চালাইয়া যাইতেছে। সামহোয়ারইন ব্লগ খোলা প্লাটফর্ম হইলেও জায়গাটা লেখার। লিখিত ভাষায় বক্তব্য প্রকাশ করতে গেলে লিখতে জানতে হয়। সেইটা দুর্ভাগ্যবশত ধর্মীয় ফ্যাসীবাদের সমর্থকরা পারে না। তারা শুরুতে তর্ক করতে গিয়াই এইটার প্রমাণ পাইছে। সেই জন্য গালাগালি তারাই শুরু করছে। তারা একদিকে গালাগালি করছে তার পাশাপাশি প্রতিক্রিয়াশীল আর ভোদাইভাবনাপ্রসূত সাম্প্রদায়িক,মৌলবাদী পোস্ট দিয়া গেছে।

ওদের যে ইন্টেলেকচুয়াল আর ঐতিহাসিক অবস্থান তাতে ওরা কোন অবস্থাতেই অন্তত স্বাধীন বাংলাদেশের কোন ফোরামে সহাবস্থান দাবী করতে পারে না। ওরা নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে গলা বাড়াইতে চাইলে সেইটা বন্ধ করতেই হইবো। সেইখানে লড়াই সেই অস্ত্রেই হইবো যেই অস্ত্র তারা নিজেরা চালাইতে পারে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৩১
২১টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×