ব্লগে আমাদের নিত্যদিনের অনেক জানা শব্দই নতুন মাত্রা পেয়েছে। তাদের নিয়ে আলোচনা না করলেই নয়। নতুন যারা ব্লগে কীবোর্ডার্পণ করেই 'ঝাঝা' কী জিনিস, খায় না মাথায় দেয় অথবা ভাদা-পাদা কী জাতীয় প্রাণী এই প্রশ্নে টালমাটাল অথচ কাউকে জিজ্ঞেস করতে মনকণ্ডুয়ন হচ্ছে, তাদের অশেষ উপকারে আসবে এই কথা মাথায় রেখেই এই পোস্টের অবতারণা।
আগেও এমন চেষ্টা হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। এখানে ১ ২ ৩ ৪ ...(আরও পেলে জুড়ে দেয়া হবে) ভালো পোস্ট আছে এ বিষয়ে। খুব উপকার পেয়েছি এখান থেকে। আমি পুরোটাকে সংহত এবং গোছালো একটা পরিবেশনা হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছি।
যারা আমার চেয়ে ব্লগে পুরাণা এবং ঘাঘু তারা যেন স্বীয় অভিজ্ঞতা থেকে ব্লগীয় পরিভাষা কমেন্টে বলে দেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পূর্বক পোস্টে যুক্ত করা হবে। ধন্যবাদ।
সতর্কীকরণ: এটি ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ক পোষ্ট। সবধরণের শব্দ এবং তার সম্ভাব্য সকল প্রচলিত প্রয়োগ উল্লেখ করার যথাসাধ্য চেষ্টা এখানে করা হয়েছে। তাই অপমানজনক বা বিদ্রুপাত্মক অর্থের শব্দগুলো জানার পর সেগুলোর অপব্যবহার জোরালোভাবে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
১. তালগাছ
অর্থবোধ:
(ক)এই শব্দটা দিয়ে ব্লগে যে অর্থ বোঝায় তা এই বাক্যের অর্থের সংক্ষিপ্ত রূপ 'বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার'। অর্থাৎ কেউ যদি তার নিজের মতকেই সিদ্ধ ধরে বসে থাকে এবং 'ত্যানাপ্যাচাতে' থাকে তাহলে তার ঐ মতকে তালগাছ বলা হয় এবং এই ভাব বা প্রক্রিয়াকে সংক্ষেপে 'তালগাছবাদী' মনোভাব বা কর্মকান্ড বলা হয়।
(খ) তালগাছের আরেকটা ব্যবহার হচ্ছে উচ্চতা বা নাগাল বোঝাতে। যেমন মাথার উপর দিয়ে যাওয়া বলে বোঝানো হয় যে উক্ত বক্তব্যের অর্থ নাগাল পাওয়া দুরুহ অথবা উক্ত বক্তব্য দুর্বোধ্য। অনেক সময় বোধগম্য বক্তব্যকে হেয় করতেও এ বাক্যাংশ ব্যবহৃত হয়। তালগাছের উপর দিয়ে যাওয়া হচ্ছে পূর্বোক্ত বাক্যাংশের বিবর্ধিত অর্থে বোঝায় যে, একে বারেই দুর্বোধ্য। এবং এই বাক্যাংশের ভিতর 'তালগাছবাদী' ইংগীতও পাওয়া যায়, অর্থাৎ বক্তব্যের অর্থ কেবল বক্তাই বোঝেন এমন অর্থ বোঝানো হয়।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
নাস্তিক অথবা আস্তিকতা সম্পর্কিত আলোচনামূলক ব্লগে (ক) অর্থের 'তালগাছ' শব্দের প্রয়োগ অত্যধিক। সাধারণ আলোচনার শেষের দিকেই বেশি আসে। (খ) অর্থের প্রয়োগ কবিতা বা ছবিব্লগ বা বিমূর্ত বর্ণনামূলক রচনার মন্তব্য অংশে দেখা যায়।
সমার্থবোধক:
অ্যান্টেনায় না ধরা, ঠেই না পাওয়া, অকুল পাথারে পড়া ইত্যাদি।
২. ত্যানাপ্যাচানো (ত্যানাপেচানো/তেনাপেচানো)
অর্থবোধ:
এই শব্দটি দ্বারা বারংবার একই কথা বা যুক্তি ভিন্ন শব্দবন্ধে উপস্থাপনের প্রক্রিয়ার ব্যাঙ্গাত্মক বা হেয় অর্থে ব্যবহৃত হয়।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
এটা মোটামুটি যেকোনও তর্ক বিকর্ত মূলক পোস্টের মন্তব্য অংশে পাওয়া যাবে। রাজনৈতিক এবং আস্তিক-নাস্তিক বিতর্কের জনপ্রিয় শব্দ।
সমার্থবোধক:
কাদা চটকানো, চটকানো, গেজানো, গাল গেজানো ইত্যাদি।
৩. চখাম
অর্থবোধ:
দারুন, সুন্দর, মারহাবা ইত্যাদি অর্থে প্রয়োগ হয়। সমকালীন বাংলা না্টক থেকে উদ্ধৃত এই প্রশংসাসূচক শব্দটি।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
কবিতা, ছড়া, রসরচনা ইত্যাদি
সমার্থবোধক:
জসিলা, জব্বর, ঝাঝা ইত্যাদি।
৪. হপে
অর্থবোধ:
'হবে' শব্দের ব্লগীয় অপভ্রংশ। হালকা চালের শব্দ।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
হতাশা বোঝাতে বা ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা নির্দেশে।
৫. ছাগু
অর্থবোধ:
'ছাগল' শব্দের সংক্ষিপ্তরূপ। শব্দটি অধিকাংশক্ষেত্রেই অপমানজনক অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
(ক) পাকিস্তানের বা ভারতের পক্ষে বা বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সংশ্লিষ্ট মূল্যবোধের বিপক্ষে বক্তব্য প্রদান কারীদের হেয় অর্থে সাধারণভাবে এই শব্দ ব্যবহৃত হয়।
(খ) অনেক ক্ষেত্রে অপমান করার উদ্দেশ্যে মুখমণ্ডলের কেশ তুলনা করেও এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
(গ) প্রতিপক্ষকে কালিমালেপন অথবা হেয় করার জন্য এটি বহুল ব্যবহৃত।
(ঘ) = ছাত্রলীগের গুন্ডা অর্থে।
(ঙ) শিবির কর্মী বা সমর্থক অর্থে।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
রাজনৈতিক, দেশপ্রেমমূলক, ধর্মলোচনা(স্থানবিশেষে) বিষয়ক পোস্টে/মন্তব্য
সমার্থবোধক:
লাদি, ম্যৎকার(ছাগলের ডাক অর্থে ছাগুর বক্তব্য), ল্যাঞ্জা (ছাগলের লেজ অর্থে ছাগু সমর্থনকারী)
(শব্দার্থসন্ধান: (ঘ) - ১১স্টার )
৭.ভাদা
অর্থবোধ:
ভারতীয় দালাল/ভারতের দালাল এর শব্দসংক্ষেপ।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
রাজনৈতিক পোস্ট/মন্তব্যে
সমার্থবোধক:
দাদা বাবু, মালু(অপমানজনক), গোমুত্র, শিবসেনা, বাল ঠাকরের পুত, ধুতি, বাবু, কাকু, কাগু, কাগা ইত্যাদি
৮. পাদা
অর্থবোধ:
পাকিস্তানী/পাকিস্তানের দালাল এর শব্দ সংক্ষেপ।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
রাজনৈতিক পোস্ট/মন্তব্যে
সমার্থবোধক:
রাজাকার, গোআ (=গোলাম আজম) ইত্যাদি
৯. ধইন্যা পাতা
অর্থবোধ:
ধন্যবাদ অর্থে প্রযুক্ত।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
সকল পোস্টেই।
সমার্থবোধক:
ধইন্যা ইত্যাদি।
১০. মগবাজার
অর্থবোধ:
ছাগু (উপরে দ্রষ্টব্য) দের বিচরণস্থল। কাল্পনিক অর্থে এখানে ছাগুদের পাওয়া যায়, এখানেই বিচরণ করে ইত্যাদি।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
ছাগু দ্রষ্টব্য।
১০. লুল ( লুলীয়, লুলায়িত)
অর্থবোধ:
(ক) চারিত্রিক স্খলন বা লুচ্চা অর্থে। যেমন, লুল স্বভাব। লুল পোস্ট। পুরাই লুল। ইত্যাদি
(খ) লোল বা LOL (Lough Out Loud) অর্থে। যেমন: লুল রে লুল। ইত্যাদি।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
রম্যরচনা, ১৮+ ইত্যাদি
সমার্থবোধক:
হা হা লু খু গে (হাসতে হাসতে লুঙ্গি খুলে গেল), হা হা প গে (হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম), হা হা ম গে (মরে গেলাম), হা হা চে থে প গে (চেয়ার থেকে পড়ে গেলাম)ইত্যাদি
(শব্দসন্ধান: মাইনাস এইটিন_পন্ডিত , ভজঘট , আরজুপনি , পাতাল পুরের জাহাজ চালক )
১১. গদাম
অর্থবোধ:
(ক) পদাঘাত অর্থে। যেমন গদাম দিয়া বাইর করেন।
(খ) ব্লক করা হয়েছে বা হবে অর্থে। যেমন আর এমন করলে গদাম দেয়া হবে।
(গ) গজারী দ্বারা মার এর শব্দসংক্ষেপ।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
বিতর্কমূলক ব্লগে।
সমার্থবোধক:
পিএল, ঠাপ(অপমানজনক)
১২. কস্কি মমিন
অর্থবোধ:
বিস্ময় প্রকাশ অর্থে, 'বলো কি মমিন!' এর সংক্ষেপ।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
নতুন কোনও সংবাদ প্রকাশ বা জানার ক্ষেত্রে। বিভিন্ন ধরনের বিস্ময় প্রকাশে।
সমার্থবোধক:
কি কইছইন!, ঞঁ! (এ্যাঁ বা এহ! শব্দের ধ্বণাত্মক ভিন্নরূপে প্রকাশ) ইত্যাদি।
১৩. ভাঁজ খুইল্যা গেছে/ থলের বেড়াল বেরিয়েছে
অর্থবোধ:
গোপন কথা, পরিচয় বা লুক্কায়িত উদ্দেশ্য ফাঁস হয়ে গেছে অর্থে।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
বিতর্কমূলক পোস্ট, রাজনৈতিক পোস্ট ইত্যাদি
সমার্থবোধক:
কট (Caught) খাওয়া, হাড়ি ভাঙা, হাড়ি উল্টে যাওয়া ইত্যাদি
১৪. সিন্ডিকেট
অর্থবোধ:
(ক) দলীয় ব্লগিং অর্থে, যেখানে একই অথবা একাধিক নিক নিয়ে একাধিক ব্লগারের সমন্বিত ব্লগিং করেন।
(খ) দলাদলী অর্থে।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
এই শব্দটি এখন খুব বেশি ব্যবহৃত হয় না।
ঐতিহাসিক পয়েন্ট:
দ্য এ টীম নামক একদল ব্লগার একসময় খুব বিখ্যাত বা বিতর্কিত হয়েছিলেন। পরে তারা অন্যত্র ব্লগিং সাইট সৃষ্টি করেন।
১৫. ছাইয়া
অর্থবোধ:
(ক) পুরুষ ব্লগার কর্তৃক পরিচালিত ফেক মহিলা নিক অর্থে (উর্দূ সাঈয়া থেকে)
(খ) হালকা চালের মানসিকতা বা অগভীর অনুভূতি অর্থে।
(গ) উক্ত ভাবে বলা বা চলা অর্থে। যেমন, পুরাই ছাইয়া অবস্থা।
(ঘ) ছেয়ে গেছে বা ঢেকে গেছে এমন অবস্থা অর্থে।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
প্রেমবিষয়ক গল্প, কবিতা বা প্রবন্ধে।
সমার্থবোধক:
সাইয়া, সাইয়্যা, লুল ইত্যাদি।
(শব্দার্থসন্ধান: ১৫, পুত্তুম পিলাচ - রাহি )
১৬. পৈতা টেস্ট
অর্থবোধ:
অপমান জনক অর্থে হিন্দু বা ভারতীয় কিনা তা নির্ণয়ের পরীক্ষা।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
রাজনৈতিক, ধর্মীয়(ক্ষেত্রবিশেষে) পোস্ট/মন্তব্যে
সমার্থবোধক:
কেপি টেস্ট (কাঠালপাতা টেস্ট বা মুখের সামনে কাঠালপাতা ঝুলিয়ে ছাগু কিনা তার পরীক্ষা; শুধু কেপি = খান*** পোলা(অপমানজনক) অর্থেও ব্যবহৃত হয়) ইত্যাদি
(শব্দসন্ধান: ১৩(কট), ১৪, ১৫,১৬(+কেপি) - ট্রোজান হর্স ; কেপি টেস্ট - গোলাম দস্তগীর লিসানি )
১৭. মডু
অর্থবোধ:
মডারেটর এর শব্দসংক্ষেপ।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
সেফ হয়েছি, কেন সেফ হচ্ছিনা, জেনারেল হয়েছি, স্টিকি হোক ধরনের মন্তব্য/পোস্ট এর সাথে।
সমার্থবোধক:
মডারেট, মডুরাম ইত্যাদি
১৮. সুশীল
অর্থবোধ:
(ক) ভদ্র এবং ঝগড়া ও রাজনীতি বিমুখ, সুভাষী সামাজিক ব্যক্তি।
(খ) অপমানজনক অর্থে, কাপুরুষ।
(গ) অপমানজনক অর্থে, সুবিধাবাদি।
(ঘ) ভাল ভাল কথা বলে কিন্তু কাজের বেলায় ফাঁকি অর্থে।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
এটি বাঁধভাঙার আওয়াজ বা অন্যান্য ব্লগের অন্যতম বহুল ব্যবহৃত রাজনৈতিক শব্দ।
সমার্থবোধক:
চুচিল, চুচীল ইত্যাদি
১৯. হাম্বালীগ
অর্থবোধ:
অপমানজনক অর্থে বিশেষ রাজনৈতিক দল।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
রাজনৈতিক, দেশপ্রেম মূলক পোস্টে
সমার্থবোধক:
কুত্তালীগ, বাল(BAL) (অপমানজনক) ইত্যাদি
২০. মুঞ্চায়
অর্থবোধ:
'মন চায়' এর খাঁটি বাংলা সন্ধি বা তার অপভ্রংশ।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
কবিতা, প্রেমের গল্প ইত্যাদি
২১. টেকি/টেকী
অর্থবোধ:
(ক) টেকনোলজি সম্পর্কিত
(খ) এমন ব্লগার যিনি ভাল কম্পিউটার বা প্রযুক্তি জানেন
(গ) ঐ বিষয়ক পোস্ট
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
টেকনোলজি বিষয়ক পোস্ট/ সাহায্য চাই পোস্টে
২২. মাল্টিনিক
অর্থবোধ:
একই ব্লগারের একাধিক নিক থাকলে তাকে এই শব্দ দ্বারা নির্দেশ বা হেয় করা হয়।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
বিভিন্ন পোস্ট
(শব্দসন্ধান: সবুজ ভীমরুল )
২৩. হিজু
অর্থবোধ:
ব্যাঙ্গার্থে হিজবুত তাহরীর বা তার সমর্থক।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
রাজনৈতিক, ধর্মবিষয়ক(স্থানবিশেষে) পোস্টে
সমার্থবোধক:
হিজুতি, হিতা(হিজবুত তাহরীর), হিজুচুতিয়া(অপমানজনক)
২৪. পোড়া গন্ধ
অর্থবোধ:
(ক) অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি হয়ে উত্তেজিত কথাবার্তা অর্থে, ল্যাঞ্জা (পূর্বে দ্রষ্টব্য) পোড়া গন্ধ বেরোচ্ছে এই চিত্রকল্প বোঝাতে।
(খ) বিদ্রুপার্থে উক্ত।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
রাজনৈতিক, আস্তিক নাস্তিক বিতর্ক, ধর্মবিষয়ক(স্থানবিশেষে) পোস্টে
সমার্থবোধক:
জ্বলুনি, জ্বালাপোড়া, ছ্যাক খাওয়া ইত্যাদি
২৫. পাকিজা
অর্থবোধ:
(ক)পাকিস্তান জাত অর্থে।
(খ) অপমানজনক অর্থে, যুদ্ধশিশু।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
রাজনৈতিক পোস্টে
সমার্থবোধক:
পাদা দ্রষ্টব্য।
২৬. গেলমান
অর্থবোধ:
(ক) জান্নাতের শিশু(পুং) খেদমতকারী অর্থে।
(খ) সমকামী(পুং) সঙ্গী অর্থে।
(গ) অপমানজনক প্রয়োগ উক্ত।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
আস্তিক-নাস্তিকতা বিষয়ক ব্লগে, ধর্মসম্পর্কিত(বিশেষক্ষেত্রে) পোস্টে
সমার্থবোধক:
গে, হোগামারা(অপমানজনক)
(শব্দসন্ধান: ২৬, ২৪, ২৩, ১৭, ১৫, ৫ - প্রবাদ ১,২ - সতর্কীকরণ - ভাম_বেড়াল )
২৭. কাঁঠালপাতা
অর্থবোধ:
ছাগলে প্রিয় খাদ্য অর্থে ছাগুর যেসব জিনিস অতি প্রিয়। (ছাগু দ্রষ্টব্য)
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
ছাগু দ্রষ্টব্য
সমার্থবোধক:
ছাগু দ্রষ্টব্য
(শব্দসন্ধান: মাইনাস এইটিন_পন্ডিত )
২৮. কোবতে
অর্থবোধ:
(ক) ব্যাঙ্গার্থে কবিতা
(খ) ধন্বাত্মক বা সুরকেন্দ্রিক বিকৃতি সহকারে সংগীতের ব্যাঙ্গরূপ। উদাহরণ
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
খুব বেশি ব্যবহৃত হয় না। কবিতা, পদ্য, প্যারোডি পোস্ট ইত্যাদি।
সমার্থবোধক:
কুবিতা, কভিথা, খবিতা ইত্যাদি।
(শব্দ ও শব্দার্থসন্ধান: রাহি )
২৯. পুত্তুম পিলাচ (/পুত্তম পেলাচ)
অর্থবোধ:
প্রথম প্লাস। অর্থাৎ পোস্টে প্রথম পোস্টটির 'ভাল লাগলো' বাটন ক্লিক করা হয়েছে।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
জনপ্রিয় ব্লগারদের গুরুত্বপূর্ণ বা অভিনব পোস্টে।
সমার্থবোধক:
প্লাসাইলাম, তাঁরাইলাম, বিপ্লব(প্লাস দিলাম অর্থে ক্রিয়াপদে প্রয়োগ) ইত্যাদি।
ঐতিহাসিক পয়েন্ট:
বাঁধভাঙার আওয়াজ ব্লগে একসময় পোস্টে প্লাস মাইনাস দেয়ার রীতি ছিলো।
কালক্রমে সেটা উঠে গেছে। মাইনাস দেয়া বলতে এখন বোঝায় 'পোস্টটি আপত্তিকর' মত দেয়া।
৩০. হেল্পান/হেল্পানো
অর্থবোধ:
হেল্প করুন, হেল্প করা।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
টেকিপোস্ট বা সাহায্য চেয়ে পোস্টে।
একই ধরনের:
ফটোশপানো, ফটোশপায়িত, ড্রুপালায়িত(ড্রুপাল নামক কনটেন্ট ম্যনেজমেন্ট সিস্টেম দিয়ে তৈরী)
৩১. বলগ
অর্থবোধ:
'ব্লগ' এর বর্ণক্রমিক বিস্তৃত উচ্চারণ। 'বলো গো' এর সাথে মিল আছে।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
সাধারণত ব্যাঙ্গার্থ ব্লগ বোঝাতে বিভিন্ন পোস্টে।
সমার্থবোধক:
ব্লগ, বলগা ইত্যাদি।
(শব্দসন্ধান: ৩০, ৩১ পাতালপুরের জাহাজ চালক )
৩২. পেক পেক পেক
অর্থবোধ:
হাঁসে ডাক, ব্যাঙ্গার্থে বক্তব্য সার শূন্য বা ভিত্তিহীন বা পৌনপুনিক।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
বিতর্কমূলক পোস্টে
সমার্থবোধক:
তালগাছ(১) দ্রষ্টব্য
(শব্দসন্ধান: প িথক )
৩৩. ডান্ডামেন্টালিস্ট
অর্থবোধ:
ফান্ডামেন্টালিস্ট এর অপভ্রংশ। যারা ফান্ডামেন্টালিস্ট বা মৌলবাদী এবং বিপরীত/ভিন্নমতালম্বীদের উপর নির্যাতনকামী তাদের জন্য ব্যাঙ্গার্থে উক্ত।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
ছাগু সম্পর্কিত পোস্ট, নাস্তিকতা-আস্তিকতা বিষয়ক পোস্ট।
সমার্থবোধক:
ছাগু, মুলাবাদী, মুলোবাদী, তালগাছবাদী ইত্যাদি।
৩৪. পুরাণ পাপী/পুরাতন পাপী
অর্থবোধ:
(ক) এর আগে কোথাও অপকর্ম (ব্লগ সংক্রান্ত) করে ধরা পড়ে পরে আবার নতুন নিক নিয়ে ব্লগে পরিচয় ফাঁস হলে তাকে অপমানজনক বা ব্যঙ্গার্থে প্রদত্ত পরিচয়।
(খ) কোনও অপকর্ম যা আগে প্রচলিত ছিল তার সংঘটকদের বোঝাতে।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
সাইয়া/ছাইয়া ধরা বা বিতর্কিত পরিচয় উদ্ঘাটন সংক্রান্ত পোস্টে। ছাগু সংক্রান্ত পোস্টে।
৩৫. অভিনন্দনপার্ক
অর্থবোধ:
অভিনন্দন বা উদযাপন উপলক্ষে প্রযুক্ত ধন্যবাদ সূচক অর্থবোধক শব্দ। নন্দনপার্ক এবং অভিনন্দন এর যৌগিক শব্দরূপ।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
অভিনন্দন জানাতে, বিবাহ, জন্মদিন, ব্যক্তিগত সাফল্য বা অর্জন ইত্যাদিতে অভিবাদন জানাতে পোস্টে এবং মন্তব্যে।
(শব্দ এবং শব্দার্থসন্ধান: ৩৪, ৩৫ - দি ফ্লাইং ডাচম্যান )
৩৬. সিটিএন/পিটিএন/ডিজিএম
অর্থবোধ:
চো** টাইম নাই(অপমানজনক), পোছার টাইম নাই এবং দূরে গিয়া মর ইত্যাদি অপমানজনক/তুচ্ছার্থে।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
বিভিন্ন ধরণের পোস্টে, টেকী পোস্ট থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, ধর্মীয় আলোচনা/বিতর্ক, নাস্তিক-আস্তিক বিতর্ক, মতামত প্রার্থনা ইত্যাদি পোস্টে দেখা যায়।
৩৭. অশ্লিষ
অর্থবোধ:
অশ্লিল শব্দের বর্ণ বিকৃতির মাধ্যমে অর্থবিবর্ধন। শব্দটিতে 'শীষ' এবং 'আশ্লেষ' এর ধ্বণ্যাত্মক সাজুয্য লক্ষ্য করা যায়।
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
১৮+ ধরণের পোস্ট, বিশেষ ছবি ব্লগে ইত্যাদি
সমার্থবোধক:
ন্যাক্কার ইত্যাদ
৩৮. কাফি
অর্থবোধ:
যথেষ্ট, শেষ, সমাপ্ত, উদ্দেশ্য সাধিত ইত্যাদি অর্থে
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
বিভিন্ন ধরণের পোস্টে, সাহিত্যালোচনামূলক পোস্টে
৩৯. মনু
অর্থবোধ:
ক. ব্যাঙ্গার্থে সম্বোধন, (কিতা কও মনু; মনু ব্যাডা মোরে চিনো?)
খ. মানুষ
গ. হিন্দুধর্মীয় দেবতা বিশেষ
বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে:
বিভিন্ন পোস্ট।
ব্লগীয় প্রবাদ প্রবচন
১. ল্যাঞ্জা ইজ ভেরি মাচ ডিফিকাল্ট টু হাইড - (ছাগু(৫) যতই সুশীল(১৮) ছদ্মবেশ ধারণ করুক না কেন, তার আচরণে পাকিপ্রেম প্রকাশ পাবেই।)
২. ধুতির গিট্টু ইজ ভেরি মাচ ডিফিকাল্ট টু ফিক্স - (অনুরূপ, ভাদা(৭) দ্রষ্টব্য)
৩. ভিক্ষা চাইনা মা, তোর কুত্তা সামলা - (নিদারুণ বিপত্তিগ্রস্থ হয়ে মূল উদ্দেশ্য পরিত্যাগ, সাধারণত রাজনৈতিক পোস্টে ব্যবহৃত হয়)
৪. বুথে আয় বায়তুল - (আবেগের অসংলগ্ন অসংযত প্রকাশকে সংযত করতে বলার জন্য ব্যবহৃত) [এই প্রবচনের প্রকাশ এবং বানান ও অর্থ নিয়ে মতভেদ আছে, ১০১-১০৭ নং মন্তব্য দেখুন।]
৫. বাঁচাও কালা কুদ্দুস - (রক্ষা করো ইত্যাদি অর্থে)
৬. পপকর্ণ নিয়ে গ্যালারীতে বসা - (ব্লগীয় ঝগড়াঝাটি, কোন্দল ইত্যাদি উপভোগ করার জন্য কমেন্ট সেকশনে সতত পর্যবেক্ষণ)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:০৭