রঙমঞ্চ
~~~~~
মুখোশ চাই মুখোশ,
মুখোশ চাই মুখোশ...
নিবে?
আছে কিন্তু একটাই।
জান???
আমার নিজের কিন্তু কখনো মুখোশ পরা হয়নি।
কেননা আমি মুখোশধারী নই।
তবে আমি এক ফেরিওয়ালা তাও নিরেট মুখোশের।
তাইতো পলকা আর নিরেট মুখোশের পার্থক্যটা
আমি বেশ ভালোই ধরতে পারি,
কারণ- আমি যে এক ফেরিওয়ালা।
দাম কিন্তু পানির দামে,
নাওনা একটা।
তুমি কি জান!!!
তোমার মুখে লাগানো ঐ পলকা মুখোশে,
তোমাকে একটুও মানায় না।
বরং আমার কাছ থেকেই কিনে নাও,
কঠিন নিরেট একটা মুখোশ।
যে পলকা মুখোশের আড়ালে
মুখটা এতোদিন ঢেকেছিলে,
তা এতোই ঠুনকো যে-
যখন তখন খুলে পড়তে পারে জনসম্মুখে।
আচ্ছা, তোমার কি জানা আছে যে-
তোমার সম্পূর্ণ অস্তিত্ব আটকে আছে,
ভাণ করা এক অভিনয়গৃহে?
ভাণ করা ঐ অস্তিত্বহীন অস্তিত্ব নিয়ে
আর কতদিন চলবে?
এবার নাহয় একটু বিরতি দাও...
বিরতিহীন যাত্রা ভারসাম্যহীনতার কাণ্ডারি,
ওপারের জবাবদিহিতায়ও তুমি হেরে যাবে।
তখন একূল ওকূল সবই হারাবে।
বরং এক কূল নিয়েই থাকোনা কেন?
তাই বলছি-
কিনে নাও সুন্দর এই কঠিন নিরেট মুখোশ।
গুটি কজনা ছাড়া,
কারো বোঝার সাধ্য নেই যে,
তুমি অভিনয়ে কতটা পারদর্শি!!!
তবে সাবধান!!!
মুখোশ যেন না খুলে,
মুখোশ খুললেই তুমি শেষ।
আর যদি সাময়ীক আনন্দ চাও,
তাহলে ওই পলকা মুখোশেই,
ঢেকে রাখো তোমার ঐ মেকী চেহারা।
একের পর এক অভিনয় কর রঙমঞ্চে।
আসলে ওখানেই তোমাকে মানাবে ভালো।
নির্দেশনারও প্রয়োজন নেই।
তুমি নিজেই রচয়িতা,
নিজেই পরিচালক,
নিজেই অভিনেতা।
বাহ বেশ মজারতো!!!
কবি তাও এক রঙ মঞ্চের অভিনেতা।
সুস্বাগতম কবি-
তোমার ওই ঠুনকো রঙমঞ্চে...!!!
ছবি: সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫