একটি বছর শান্ত পরিবেশে শেষ হতে না হতে আরেকটি অস্থির বছর শুরু হলো। দেশের মেহনতি মানুষ রাজনীতি বুঝে না, কিন্তু তারা চায় নিজেদের রুটি রোজগারের অধিকার। তারা সকলেই সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত নয়, কিন্তু তারা চায় স্বদেশের প্রতি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতৃত্ব।
দেশের জনগণের একটি বড় অংশ নিজেকে নিরপেক্ষ হিসেবে পরিচয় দিতে ভালোবাসে, কারণ তারা রাজনীতির বর্তমান প্র্যাকটিসকে পছন্দ করে না। হয়তো তারা বর্তমান প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিরক্ত অথবা আশাহীন। তারা নিজেদেরকে রাজনৈতিকভাবে পরিচয় দিতে চায় না। তাদের একটি অংশ হয়তো ভোটও দেয় না। আরেকটি অংশ ভোট দেয়, কিন্তু ঠিক পূর্বের রাতে সিদ্ধান্ত নেয় কাকে তারা ভোট দেবে।
দেশের নেতৃবৃন্দের উচিত জনগণের ওই অংশটিকে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসা। এজন্যই দরকার জনমুখী রাজনীতির।
অথচ দেশের রাজনৈতিক শক্তির একটি পক্ষ নির্ভর করে আছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর, অন্য পক্ষটি নির্ভর করে আছে স্ট্রিট আরচিন বা রাস্তার টোকাইদের ওপর, যেন হরতাল অবরোধে তাদের অংশগ্রহণ পাওয়া যায়। তারা একে অন্যকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সব শক্তি প্রয়োগ করছে। সরল বাংলায় একে বলা হয় প্রতিহিংসার রাজনীতি। এই কালচারে কখনও রাজনীতির প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি হবে না। আর সাধারণ মানুষের আগ্রহ এবং অংশগ্রহণ ছাড়া কোন রাজনৈতিক শক্তি স্থায়িভাবে কিছু করতে পারবে না।
এজন্যই প্রয়োজন এমন রাজনীতির, যা দেশের শান্ত সুশীল এবং শান্তিপ্রিয মানুষকে আকর্ষণ করতে পারবে। তবেই গঠিত হবে একটি শান্তিময় স্বদেশ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





