somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টিউটোরিয়ালঃ কিভাবে চক্রাকার ব্যাথা বৃদ্ধি হারে নিজের পা নিজে ভাঙ্গবেন--০১ !!!!

২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগে সবার জ্ঞানী জ্ঞানী টিউটোরিয়াল পড়তে পড়তে আমারও মাঝে মাঝে জ্ঞানী জ্ঞানী টিউটোরিয়াল লেখতে ইচ্ছা করে। কিন্তু আমার মাথায়তো জ্ঞান নাই, তাইলে জ্ঞানী জ্ঞানী টিউটোরিয়াল কিভাপে লেখপ? /:)। চিন্তা করলাম, জ্ঞান নাইতো কি হয়েছে, আমার মাথায়তো অনেক গোবর আছে। তাইলে আমি গোবরী গোবরী টিউটোরিয়াল লেখার চেষ্টা করি না কেন!! আপনাগো বদ-দোয়ায় টিউটোরিয়ালডা শুরু করলাম।

পা ভাঙ্গতে যা যা লাগপেঃ
চলমান একখান শরীর, ব্যাথলেটিক মানে বাতের ব্যাথাওয়ালা শরীর হলে ভাল হয়,
একটা ভারী পাটের বস্তা (স্লীপিং ব্যাগ),
এক জোড়া ঢালিউডি জুতা যেইগুলো খুব ভারী কিন্তু কোন কাজের না, শুধু কোনমতে হাটা যায়,
এক জোড়া হলিউডি বুট (হাইকিং বুট), বলিউডি হইলেও চলপে যেইগুলা হাল্কা এবং পাহাড়ে-জংগলে হাটার জন্য খুব কাজের,
হাওয়া নিরোধক, ফার্নিচারবিহীন, তলাযুক্ত একটা ভাসমান ঘর(তাবু)
এক বস্তা জামা-কাপড় (আপনি যদি ক্ষ্যাত না হন আর আপনি যদি খুব পোষাক সচেতন হিশ্মার্ট হন তাইলে আপনি নিজের পা ভাঙ্গার যোগ্যতা রাখেন না, সোজা কথায় আপনে বাদ :P),
কয়েক পাহাড় শীত (শীত না থাকলে আপনি শুধু চেষ্টাই করবেন কিন্তু আপনার পা ভাঙ্গপে না),
কয়েকজন নাডা বন্ধু, পুতুপুতু বন্ধু না আবার। নাডা বন্ধু না থাকলে আপনি পা ভাঙ্গতে গিয়ে দেখবেন আপনি এমন ঘুম দিছেন যে সে ঘুম আর নাও ভাঙ্গতে পারে,
শুকনা কুখাদ্য, মনে রাখবেন খাবার যত কম নিবেন আপনার পা তত তাড়াতাড়ি ভাঙ্গপে । তবে আমাগো মত নাডা হইলে রান্না করার জন্য পুরা চুলাই সাথে নিতে পারেন।

জরুরী না কিন্তু থাকা ভালঃ
মশা-মাছি মারার কামান (বাগ স্প্রে),
হেলের ট্রয় সরি আপনের টয়লেট কিট। ভুল করেও যদি কোন ছৌন্দর্য-প্রসাধন ব্যাগে নেন তাইলে দয়া এখনই ফেলে দেন। আপনে পা ভাঙ্গতে যাচ্ছেন, কোন পার্টিতে না। ছৌন্দর্য বাড়াইতে হলে পা ভাঙ্গা বাদ দিয়ে এখনই বিউটি পার্লারে দৌড় দেন,
কান গরম করা থাপ্পড় না মানে কান গরম করা টুপি, এবং
হালকা- পাতলা হাবিজাবি।

প্রস্তুত মানে ভাঙ্গা প্রনালীঃ
উপরের সব কিছু সংগ্রহ করার পরে একটা ব্যাকপ্যাকে ভরে কোন এক বৃষ্টির দিনে ড্রাইভ করা শুরু করেন বা বাসে বা ট্রেনে বা ট্রাকে বা গরু/ঘোড়ার গাড়িতে উঠে পড়েন। আপনার গন্তব্য হবে কোন এক ছোটখাট পাহাড়ের পাদদেশ। গন্তব্যে পৌছেই বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে আপনার ভাসমান ঘরখানা বেসক্যাম্প হিসাবে সেট করে ফেলেন। কিভাবে সেট করতে হয় না জানলে, কাক-পক্ষীকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। গন্তব্যে সকালে পৌছালে নাডামি শুরু করেন আর বিকালে পৌছালে আপনার ঢালিউডি জুতা পরে পাশের জংগলের ২/৩ মাইল ভচভচে কর্দমাক্ত ট্রেইল হেঁটে আসুন। সন্ধ্যায় আপনার ভাসমান ঘরে ফিরে এসে রান্না শুরু করেন বা শুকনা কুখাদ্য থাকলে সেইটা খেয়ে তাস পিডায়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। কিন্তু আপনার পাটের বস্তা পাতলা হলে দেখবেন শীতে আপনার ঘুম আসপে না। ঘুমিয়ে পড়লেও দেখবেন আপনার নাডা বন্ধু আপনাকে ধাক্কা দিয়ে বলবে-
- "দোস্ত, ঘুমাস নি?" বা
আপনার ঘুমন্ত ফডু তুলে মুখবইয়ে আপলোড করে আপনাগো কমন সব বন্ধুদের সেই ফডুতে ট্যাগ করে আপনার অজান্তে আপনাকে পচানো শুরু করবে। "তাবুর শত্রু বিভীষন" বলে বাংলায় একটা কথা আছে সেইডা পরের দিন সকালে আপনার মুখবই খুলেই বন্ধুদের কমেন্টে কমেন্টে টের পাইবেন।
আপনার বল্টুরা ভদ্র হলে হয়ত দেখপেন আপনার পাশের ভাসমান ঘর থেকে ভেসে আসা চান্তেকদের হাউ-কাউতে( এই হাউ-কাউকে ওরা বলবে "গান") আপনার ঘুমের ভোর ৪টা বেজে যাবে। ভোর ৪টা উঠে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে নাস্তা বানাইবেন। ঘন্টা খানেকের মধ্যে রেডি হয়ে দেখবেন আপনার ২/৩ জন বন্ধু বলবে তাদের শইলডা ভালা না, গতকাল ২/৩ মাইল হাঁটার কারনে তাদের চুলে ব্যাথা, শার্টে ব্যাথা। এদেরকে বেইস ক্যাম্পে রেখেই অন্য নাডাদের সাথে আপনার মেইন পা ভাঙ্গা পর্ব শুরু হবে।

ধুর!! পোষ্ট এত বড় হয়ে গেছে !! ভাবছিলাম এক পোষ্টেই পা ভাঙ্গা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এখন দেখছি পা ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে পোষ্টটাকেও ভাঙ্গতে হবে। আফসুস।

পরের পর্ব আসলেও আসতে পারে !!







উৎসর্গঃ নাআমি আপুকে, উচ্ছল, প্রানবন্ত, মমতাময়ী একজন বোনকে, একজন দূরন্ত, মেধাবী ব্লগারকে। ব্লগিং শুরু করার পর থেকে কিছু প্রিয় মানুষ আমার মত একজন নগন্য মানুষকে, ঠিক মত টাইপ করতে না জানা একজন ব্লগারকে(?) এত ভালবাসা দিয়েছে যে আমার মাঝে মাঝে মনে হয় জীবন খুব বেশী সুন্দর !! শ্রদ্ধায়, ভালবাসায় সেই সব প্রিয় মানুষদের সাথে সব সময় আমার একটা অদৃশ্য আত্মিক বন্ধন থাকে যা আমাকে বেঁচে থাকার প্রেরনা দেয়, ভাল মানুষ হওয়ার প্রেরনা দেয়। নাআমি আপু তাদের একজন। থ্যাঙ্কু আপু।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৯
৪২টি মন্তব্য ৪০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×