somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেখ মুজিবুর রহমানের বাকশাল-শেখ হাসিনার সৈরাচার ১৯৭২-৭৫ এর সাথে আশ্চর্যজনক মিল:

২১ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৭২ – ৭৫ এ দেশের পরিস্থিতিঃ
১.১৯৭২ এর ১০ ই জানুয়ারী আওয়ামীলীগ তুমুল জনপ্রিয়। আওয়ামী লীগের মিথ্যা ওয়াদায় ভূলে জনগন ৭৩ এর সাধারন নির্বাচনে আলীগকে ভোট দেয়।
২.১৯৭৩ একদলীয় তোফায়েল বিসিএস সংঘঠিত হয়। ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল এর সুপারিশ ছাড়া কারো ভাল সরকারী চাকরী হয়নি।
৩. ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু।
৪.৭২-৭৫ এ সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল। রক্ষী বাহিনী সেনাবাহিনী থেকে গুরুত্ব বেশী পাচ্ছিল।যুবলীগ সভাপতি কর্তৃক মেজর ডালিমের বউ অপহরন হয় । শেখমুজিবকে সাহেবকে বিচার দেওয়ার পরও বিচার হয়নি। (সংশোধনীঃ যুবলীগ সভাপতি নয় তদানীন্তন রেডক্রসের চেয়ারম্যান ঢাকা মহানগর আলীগের সভাপতি গাজী গোলাম মোস্তফা কর্তৃক মেজর ডালিমের বউ অপহরন হয় )
৫.৭২-৭৫ এ পুলিশ বাহিনী আওয়ামী বাহিনীতে পরিনত হয়।
৬.সিরাজ সিকদারকে হত্যা করে জাতীয় সংসদে দম্ভোক্তি করা হয়। আদালত কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি।
৭.কলাবরেটরস আইন করে বাংলাদেশে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়।পরে শেখ মুজিব সাহেব সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করেন।
৮. জাসদের ৩০ হাজার নেতা কর্মীকে খুন করা হয়। বিরোধীদলকে মামলার পর মামলা দিয়ে বিপর্যস্ত করা হয়।
৯. মুক্তিযোদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল সহ বিরোধী দলীয় অনেক নেতাকে গ্রেফতার করা হয় ।
১০. ত্যাগী নেতা ,মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন সাহেবরা নিগৃহিত হয়।পদত্যাগ করতে হয় মন্ত্রীসভা থেকে।
১১. ৪ টা পত্রিকা রেখে বাকী সব পেপার বন্ধ করে দেয়া হয়।
১২. ২৫ জানুয়ারী ৭৫ সালে পৃথিবীর ইতিহাসের বিখ্যাত কালো আইন বাকশাল জাতীয় সংসদে পাশ করা হয়।
এবার বর্তমান পরিস্থিতির সাথে ৭২-৭৫ এর পরিস্থিতি মিলিয়ে দেখুন।
২০০৮ এর ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগ সাধারন নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় লাভ করে। ষড়যন্ত্রের তথাকথিত নির্বাচনে ফখরু-মইনুরা পিঠবাচানোর জন্য আওয়ামীদের ক্ষমতা দিয়ে যায়।
এখনো হিন্দু , কমিউনিষ্ট , ছাত্রলীগ ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া কারো ভাল সরকারী চাকরী হচ্ছেনা বলে খবরে প্রকাশ । আগে তোফায়েলদের সুপারিশ লাগত এখন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান , নাতি পতি হলেই হল। মেধাবীদের কি দরকার???
বাংলাদেশে চলছে এখন হিডেন হাংগার। ১০ টাকায় চাল খাওয়াবে ওয়াদা করে ৬৫ টাকায় চাল খাওয়াচ্ছে। ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হওয়ার পথে। রিজার্ব ফান্ড খালি। খোদা না করুন এই মূহুর্তে বড় একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে মোকাবেলা কেমনে করবে সরকার???
সীমান্তে বিএসএফের উপর্যুপুরী হত্যাকান্ডে মনে হয় সেনাবাহিনী ভারতের অনুগত। বিডিয়ার বিদ্রোহের মাধ্যমে সেনাবাহিনী একটা মেসেজ পেয়েছে আর সেটি হল ভারতের স্বার্থের বিপক্ষে গেলে ৫৭ জন সেনা অফিসার হারানোর মত বড় ঘটনা আরও ঘটবে। সাবেক গোয়েন্দা প্রধানদের গ্রেফতার করে দেশের পক্ষে কাজ করাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। মেজর জিয়াদের মত সার্ভিং মেজরদের গুম করে র এর এদেশীয় সদর দপ্তরে আটকে নির্যাতন ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে দৈনিক আমারদেশ সহ জাতীয় পত্রিকায় খবরে প্রকাশ। সেনাবাহিনীর অনেক দেশপ্রেমিক অফিসার নিজেকে নিরাপদ ভাবছেন কিনা প্রশ্ন তোলার অবকাশ সৃষ্টি হয়েছে। সেনাবাহিনীর দেশপ্রেমিক অংশ কোনঠাসা বলে খবরে প্রকাশ।
বর্তমান সরকারের আমলে পুলিশের কিছু সাবেক আইজিকে গ্রেফতার করে পুলিশের ভিতরে সরকার বিরোধীদের মানসিকভাবে শায়েস্তা করা হয়েছে।
চীফ হুইফ জয়নাল আবেদীন ফারুকের উপর নির্যাতন কারী এএসপি হারুন এখন প্রমোশন পেয়ে এসপি। কি দারুন সাজা ! হারুন এখন রাজা।
হরতালের সময়ে বিরোধী দলীয় নেতা কর্র্মীদের থানায় ধরে এনে নির্যাতন কারী অছি কামরুল এখন সাসপেন্ড হয়ে প্রমোশন পেয়ে মডেল থানার অছি।
ঢাকায় বেশীরভাগ পুলিশ গোপালগঞ্জের ও ফরিদপুরের। ঢাকার বেশীরভাগ পুলিশ কমিশনারগন কোন জেলার??? এভাবে পুলিশ ৭২-৭৫ এর মত আওয়ামী পুলিশ এ রুপান্তরিত হয়েছে।
ইলিয়াস আলীকে গুম করে ইলিয়াস এর বিপক্ষে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।সালাহউদ্দিন আহমেদ
অবৈধ সরকারের আইন শৃংখলা বাহীনি তুলে নেওয়ার পর অনেক নাটকের পর সিমানা পিলারের উপারে ভারতের শিলংয়ের ছেরে এক্ষেত্রে কিছু মিডিয়াকে ব্যবহার করা হয়েছে। গুম , ক্রসফায়ার , এনকাউন্টার নিয়ে আদালত কিছুই করতে পারেনি। বরং বিএনপি, জামাত, বিজেপি , এলডিপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করতে হুকুম দিতে পেরেছে। গায়ের জোরে ইতিহাস চর্চার বিষয়ে তাদের আগ্রহটা ভাল। স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে তাদের রায় না দিলেই নয়। আওয়ামী ট্রাইবুনালে কি হচ্ছে দেশবাশী ও বিশ্ববাসী ইতিমধ্যে জেনেছে । এসব ক্ষেত্রে আদালত চরম বিজ্ঞতার পরিচয় দিচ্ছে। আমার মত বাচ্চা লোকমানদের বিপক্ষে আদালত যেকোন কিছু করতে পারঙ্গম কিন্তু পারেনা ফেলানীদের জন্য কিছু করতে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নাটকে আওয়ামী হায়েনা ছাড়া সবাই বিরক্ত। ইযাহিয়া খান, জুলফিকার আলী ভুট্টো, টিক্কা খানরা সহ ৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তা ও ৯৩ হাজার সেনা যারা যারা রেসকোর্স ময়দানে আত্বসমর্পন করেছিল তাদের বিচারের কথা বলা হচ্ছেনা। রাজনৈতিক বিরোধিতার কারনে জামাত নেতাদের বিচার হলে চীনপন্থী কমিউনিষ্টদেরও বিচার নয় কেন?? যারা ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী টিকিটে এমএনএ নির্বাচিত হয়ে পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য পোষন করেছিল তাদের বিচার নয় কেন???
জাতীয় নেতাদের ডান্ডাবেড়ী পড়ানো হল। বিনএপি জামাতের অনেক কেন্দ্রীয় নেতা সহ ২ লাখের ও বেশী নেতাকর্মী গ্রেফতার ও মামলার শিকার। অবশেষে বিএনপি ও ২০ দলের শীর্ষ নেতাদের কারাগারে পাঠানো হল যেখানে শীর্ষ নেতাদের মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ করছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সরকার পরিবর্তনের ধারাকে প্রতিরোধ করে আওয়ামীদের ভিশন- ২০২১ পূর্ণ করতে ৭২ এর সংবিধানে ফিরে যেতে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী আনা হয়েছে। আন্তধর্ম বিয়ে কুরআনের মিরাসী আইনের উপর হাত দেয়ার চেষ্টা এর নাম আওয়ামীলীগ
সবাই ঐক্যবদ্ধাই এ সৈরাচার আওয়ামীলীগ কে বিদায়ই করা সম্ভব
হে জিয়ার সৈনিক বাংলার ভবিষ্যত,
তোমরা কেন ঘুমিয়ে? ওঠ, জাগ, জাগাও।
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×