শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার জনপ্রিয় সরকার নয়; খালেদা জিয়ার সরকার জনপ্রিয় ছিলো না; এরশাদের সরকার জনপ্রিয় ছিলো না; সাময়িকভাবে জিয়ার সরকার জনপ্রিয় ছিলো, শেখ সাহেবের সরকার জনপ্রিয় ছিলো না; সমসয়া কোথায়?
সমস্যা ছিল, উনারা বৃহত্তর জনতার জন্য জন্য পদক্ষেপ না নিয়ে, সিলেকটেড একটা গ্রুপের মন মাফিক ও সুবিধার্থে দেশ চালায়েছেন।
শেখ হাসিনার এবারের সরকার, গতবারের যেকোন সময় থেকে কম জনপ্রিয়; তবে, এবার শেখ হাসিনা উনার সাধ্য মতো ভালোভাবে দেশ চালনার চেস্টা করছেন। উনি বাবার অনেক অপবাদের উত্তরাধীকারিও।
মুক্তিযুদ্ধে উনার পরিবার সরাসরি কাউকে হারাননি; আসলে, যুদ্ধটা এমনভাবে হয়েছে যে, যুদ্ধে প্রাণ হারায়েছেন নিম্ন মধ্যবর্তী পরিবারের লোকেরা; আবার সেই শ্রেণীর মানুষের নারীরাও বেশী নির্যাতিত হয়েছে; ফলে, আজ ৪৪ বছর পর, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনেকেই চাচ্ছে না।
যাক, শেখ হাসিনা চাচ্ছে, ও সিমবোলিক বিচার হয়েছে; বিচারের সরাসরি বিপক্ষে দাঁরায়েছে ততকালীন পরাজিত শক্তি ও তাদের নতুন জেনারেশন; তাদের সাথে যোগ দিয়েছে বিএনপি দল। বিএনপি একটু ডিপ্লোমেটিক হয়েছে, বলছে সুবিচার হচ্ছে না; জল্লাদদের সুবিচারই হচ্ছে; বাংগালীরা এর থেকে ভালো বিচার করতে পারেনি অতীতে।
শেখ সাহেবের মৃত্যুর বিচারই করতে দেয়নি বিএনপি; তাদের মতে সুবিচার কোনটি? গ্রেনেড হত্যায় জর্জ মিয়ার বিচার, সুবিচার?
যাক, সরকার সন্দেহ করেছে যে, বিচার কার্যের সুবিধার জন্য কিছু সামাজিক যোগাযোগ সফটওয়ার বন্ধ রাখতে হবে; ভুল হোক, শুদ্ধ হোক, এটা সরকারী সিদ্ধান্ত; আবার সামাজিক যোগাযোগ হলো সরকার কর্তৃক দেয়া "সুযোগ", কোন মৌলিক অধিকার নয়।
সরকার কর্তৃক দেয়া "সুযোগ" যদি সরকার আইন শৃংখলার অধীনে বন্ধ করে, তাকে আইনী পদক্ষেপ হিসেবে নিতে হবে; তাকে ভাংগার মনোভাব দেখানো প্রতিবাদ নয়, বরং আইনের প্রতি বৃদ্ধাংগুল দেখানো; সরকার আইন ভংগকারীদের তেমন কিছু করতে পারবে না; আবার এসব লোকও সঠিকভাবে জাতির জন্য কিছু করতে পারবে না; কারণ, আইন ভংগকারীরা কোনদিন অবদান রাখার অবস্হানে থাকে না।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭