গত সপ্তাহে, ভুমধ্যসাগর পার হয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে ১২০০ এশিয়ান ও আফ্রিকান রিফিউজি নৌকা ডুবে প্রাণ হারায়েছেন; ১৪০০০ রিফিউজি ইতালী পৌঁচেছেন, ৭০০০ গিয়েছেন গ্রীস; এ ছাড়া অন্যান্য দেশেও গেছে সামান্য পরিমাণ। সপ্তাহে গড়ে যদি ২০,০০০ রিফিজি ইউরোপ পৌঁচতে চায়, গড়ে দেড় হাজারকে প্রাণ হারাতে হচ্ছে; কি হচ্ছে এশিয়ায় ও আফ্রিকায়, কেন মানুষ এভাবে সমুদ্রে ঝাপ দিচ্ছে?
ভুমধ্যসাগরে যদি মানুষ ডুবে মরে, তার মাঝে কয়েকজন বাংগালী ও কয়েকজন রোহিংগা থাকবে অবশ্যই, থাকতে পারে কয়েকজন পাকিস্তানী, আফগান, বাকীরা আরব, আফ্রিকান আরব ও কালো আফ্রিকান।
আফ্রিকায় একমাত্র আলজিরিয়া ব্যতিত সব দেশেই মানুষ নিজেদের সরকারকে ভয় পায়, কমপক্ষে বিশ্বাস করে না, বা সরকারেরউপর কোন আস্হা নেই দেশবাসীর। বাংলাদেশ থেকে মানুষ আফ্রিকা হয়ে ইউরোপ যাচ্ছে অনেকদিন থেকে। আফ্রিকার প্রায় দেশেই জনসাধারণের একটা বিরাট অংশের সাথে সরাকরের কোন সম্পর্ক নেই, এরা আফ্রিকার ভেতরেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভেসে বেড়ায়; কালো আফ্রিকানরা দক্ষিণ আফ্রিকা,নাইজেরিয়া, গিনি, সেনেগালে চলে যায় সহজেই। আফ্রিকান আরবেরা সোজাসুজি ইউরোপ রওয়ানা দেয়।
এশিয়ার আরবদের মাঝে সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, তিউনেশিয়া ও মরক্কো থেকে মানুষ প্রতিদিনই নৌকায় করে ইউরোপ রওয়ানা হচ্ছে। এই মহুর্তে লিবিয়ার উপকুল এলাকায় কোন সরকার নেই, এসব এলাকা এখন মুক্ত এলাকা, এখান থেকে মানষ যেদিকে ইচ্ছা সেইদিকে রওয়ানা দিচ্ছে নৌকায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:২৭